alt

অর্থ-বাণিজ্য

গ্যাসের তীব্র সংকটের কথা জানালেন টেক্সটাইল খাতের ব্যবসায়ীরা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

টেক্সটাইল শিল্পে গ্যাসের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে দিনে ১৩ ঘণ্টার বেশি গ্যাসের চাপ থাকে না। মেশিনের উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র ৩০ শতাংশ কাজ হচ্ছে। গ্যাসের চাপ ক্রমাগত ওঠা-নামার কারণে একদিকে দামি দামি মেশিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে শ্রমিকদের বসিয়ে বেতন দিতে হচ্ছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে পুরো রপ্তানি খাত বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) পক্ষ থেকে গ্যাস সংকটের এ ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিটিএমএ-এর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন।

লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘গ্যাসই টেক্সটাইল শিল্প তথা স্পিনিং, উইভিং, ডাইং-প্রিন্টিং-ফিনিশিং মিলের মূল জ্বালানি। সাম্প্রতিক সময়ে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ, সাভার, ধামরাই, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি ১ দশমিক ৫০ পিএসআইতে নেমে গেছে। ফলে মিলগুলোয় স্থাপিত মেশিন ক্ষমতার ৭০ শতাংশ বন্ধ রেখে চালু রাখতে হচ্ছে। তিনি বলেন, শ্রমবাজার এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর ভর করে দেশে প্রাইমারি টেক্সটাইল শিল্প গড়ে উঠেছে। বর্তমানে রপ্তানিতে টেক্সটাইল শিল্পের অবদান ২৩ বিলিয়ন ডলার। আজকের গার্মেন্ট খাতের জয়জয়কারের পেছনে টেক্সটাইল শিল্পের অবদান অনেক। কিন্তু গ্যাসের চাপ না থাকায় এ শিল্প অনেক দুরবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে পুরো রপ্তানি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খোকন বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এ সময়ে গ্যাসের বিল বা জরিমানা মওকুফ করা হয়নি। লোকসান সত্ত্বেও শিল্প মালিকদের সারচার্জ পরিশোধ করতে হয়েছে। তারপরও মালিকরা আশায় বুক বেঁধেছিল, গ্যাসের চাপ স্বাভাবিক থাকলে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যাবে। কিন্তু তিতাস বারবার অঙ্গীকার করলেও চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসের সরবরাহ দিতে পারেনি। কারণ জানতে চাইলে বারবার একই জবাব, পাইপলাইন সংস্কারের কাজ চলছে। এখন মিল মালিকরা গ্যাসের বদলে বাতাসের বিল দিচ্ছে। যেসব কারখানার ইভিসি মিটার নেই, সেসব কারখানা মালিকরা চরম বেকায়দায় আছেন। এলএনজির মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের কথা বলে গত ৫ বছরে ২০০ শতাংশ গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। শিল্প মালিকরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের আশায় সেটা মেনে নিয়েছেন। নিরবচ্ছিন্ন তো দূরের কথা, গ্যাসের চাপই থাকছে না।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রণোদনা চাই না, গ্যাস চাই। আপৎকালীন সার কারখানার গ্যাস শিল্পে দেয়া যেতে পারে।

ছবি

বিআইসিএমের উদ্যোগে হবে পুঁজিবাজার সম্মেলন

ছবি

যমুনা ব্যাংক ও ডেল্টা লাইফের মধ্যে চুক্তি

ছবি

সোনার দাম আরও কমলো

ছবি

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার

ছবি

রিজার্ভ কমায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ছে

ছবি

তড়িঘড়ি ব্যাংক একীভূতকরণ খেলাপিদের দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি

ছবি

হঠাৎ ঝলকের পর আবার পতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

পদত্যাগ করেছেন পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ

ঈদের পর শেয়ারবাজার কিছুটা ভালো হতে শুরু করেছে

ছবি

দিনাজপুরে বাঁশ ফুলের চাল তৈরি

ছবি

অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন

ছবি

বিআইপিডি’র অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করছে : এফএফআইএল

ছবি

চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

ছবি

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক

ছবি

বিজিএমইএর দায়িত্ব নিলেন এস এম মান্নান কচি

ছবি

বাজার মূলধন কিছুটা বাড়লো, তবু লাখ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি

ছবি

নতুন বিদেশী ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে সরকার : সিপিডি

ছবি

ব্যাংক একীভুতকরনে নীতিমালা জারি

tab

অর্থ-বাণিজ্য

গ্যাসের তীব্র সংকটের কথা জানালেন টেক্সটাইল খাতের ব্যবসায়ীরা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

টেক্সটাইল শিল্পে গ্যাসের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে দিনে ১৩ ঘণ্টার বেশি গ্যাসের চাপ থাকে না। মেশিনের উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র ৩০ শতাংশ কাজ হচ্ছে। গ্যাসের চাপ ক্রমাগত ওঠা-নামার কারণে একদিকে দামি দামি মেশিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে শ্রমিকদের বসিয়ে বেতন দিতে হচ্ছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে পুরো রপ্তানি খাত বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) পক্ষ থেকে গ্যাস সংকটের এ ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিটিএমএ-এর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন।

লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘গ্যাসই টেক্সটাইল শিল্প তথা স্পিনিং, উইভিং, ডাইং-প্রিন্টিং-ফিনিশিং মিলের মূল জ্বালানি। সাম্প্রতিক সময়ে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ, সাভার, ধামরাই, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি ১ দশমিক ৫০ পিএসআইতে নেমে গেছে। ফলে মিলগুলোয় স্থাপিত মেশিন ক্ষমতার ৭০ শতাংশ বন্ধ রেখে চালু রাখতে হচ্ছে। তিনি বলেন, শ্রমবাজার এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর ভর করে দেশে প্রাইমারি টেক্সটাইল শিল্প গড়ে উঠেছে। বর্তমানে রপ্তানিতে টেক্সটাইল শিল্পের অবদান ২৩ বিলিয়ন ডলার। আজকের গার্মেন্ট খাতের জয়জয়কারের পেছনে টেক্সটাইল শিল্পের অবদান অনেক। কিন্তু গ্যাসের চাপ না থাকায় এ শিল্প অনেক দুরবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে পুরো রপ্তানি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খোকন বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এ সময়ে গ্যাসের বিল বা জরিমানা মওকুফ করা হয়নি। লোকসান সত্ত্বেও শিল্প মালিকদের সারচার্জ পরিশোধ করতে হয়েছে। তারপরও মালিকরা আশায় বুক বেঁধেছিল, গ্যাসের চাপ স্বাভাবিক থাকলে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যাবে। কিন্তু তিতাস বারবার অঙ্গীকার করলেও চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসের সরবরাহ দিতে পারেনি। কারণ জানতে চাইলে বারবার একই জবাব, পাইপলাইন সংস্কারের কাজ চলছে। এখন মিল মালিকরা গ্যাসের বদলে বাতাসের বিল দিচ্ছে। যেসব কারখানার ইভিসি মিটার নেই, সেসব কারখানা মালিকরা চরম বেকায়দায় আছেন। এলএনজির মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের কথা বলে গত ৫ বছরে ২০০ শতাংশ গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। শিল্প মালিকরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের আশায় সেটা মেনে নিয়েছেন। নিরবচ্ছিন্ন তো দূরের কথা, গ্যাসের চাপই থাকছে না।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রণোদনা চাই না, গ্যাস চাই। আপৎকালীন সার কারখানার গ্যাস শিল্পে দেয়া যেতে পারে।

back to top