গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কিছুটা পতন আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কিছুটা উত্থান হয়েছে। সপ্তাহটিতে উভয় শেয়ারবাজারে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। সূচক আর লেনদেনের সঙ্গে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা সাড়ে ১১ হাজার টাকার বাজার মূলধন হারিয়েছে।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩১৮ কোটি ৯৫ লাখ ৬১ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৪৭৫ কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১১ হাজার ৮৪৩ কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে।
গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১১ হাজার ১২২ কোটি ৩৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮০৬ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৩ হাজার ৮৮৮ কোটি ১৮ লাখ ২৪ হাজার ৬৮৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন দুই হাজার ৭৬৫ কোটি ৭৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮৮০ টাকা বা ২০ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ২২৮ দশমিক ৩১ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৫ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৯৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৭৭ দশমিক ১০ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ২৭ দশমিক ৪১ পয়েন্ট ১ দশমিক ০৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬৭৪ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৪টির বা ২২.২২ শতাংশের, কমেছে ২৮২টির বা ৭৪ দশমিক ৬০ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির বা ৩ দশমিক ১৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪০৬ কোটি ৫০ লাখ ৬১ হাজার ২৪৩ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪৬৮ কোটি ১৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৭৪ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৬১ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার ১৩১টাকা বা ১৩ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯.৯৭ পয়েন্ট বা ০.০৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ১৪১.৩৫ পয়েন্টে।
সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৯.৫৪ পয়েন্ট বা ০.০৭ শতাংশ ও সিএসই-৫০ সূচক ৮.১৮ পয়েন্ট বা ০.৫৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ৬৮২.৫৮ পয়েন্টে ও এক হাজার ৫৫১.৮৭ পয়েন্টে। তবে সিএসই-৩০ সূচক ১৩২.৭৬ পয়েন্ট বা ০.৮৫ শতাংশ ও সিএসআই ১২.৭২ পয়েন্ট বা ০.৯৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪৬১.৪১ পয়েন্টে ও এক হাজার ৩৪২.১৭ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮৪টির বা ২৪.৪৯ শতাংশের দর বেড়েছে, ২৫০টির বা ৭২.৮৯ শতাংশের কমেছে এবং ৯টির বা ২.৬২ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) আড়াই শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ২১.১৬ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ২০.৬০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৫৬ পয়েন্ট বা ২.৬৫ শতাংশ কমেছে।
সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৮৭ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৩১.০৩ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৪৬.৭০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২১.৫৫ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৬.৩৮ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২২.০৪ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৩৫.৬৬ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৩৭.৫৯ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩.২০ শতাংশ, চামড়া খাতের ১৪৯.৫৮ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৮.৪১ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ২৮৭.১৩ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের (-) ৪০৮৯.২৭ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৫০.৯৫ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৪.৮৬ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ৩০.৮১ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৩৬.৪৫ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৪৫.০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮৪টির বা ২২.২২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। সপ্তাহটিতে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬৮.৪০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৮৭.৪০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৯ টাকা বা ২৭.৭৮ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।
ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ২৬.৬৩ শতাংশ, ফরচুন সুজের ১৮.৮৫ শতাংশ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৬.৬২ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টসের ১৬.৪৯ শতাংশ, বেক্সিমকোর ১৫.৬৫ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের ১৫.৪৭ শতাংশ, আইপিডিসির ১৪.১৪ শতাংশ, শমরিতা হসপিটালের ১৩.০৬ শতাংশ এবং ফার্মা এইডসের শেয়ার দর ১১.৩৪ শতাংশ বেড়েছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৮২টির বা ৭৪.৬০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। সপ্তাহটিতে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে ওয়ালটনের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৪৪৭.৪০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ১২০৬.৪০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ২৪১ টাকা বা ১৬.৬৫ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে ওয়ালটন ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।
ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সাফকো স্পিনিংয়ের ১৫.৯৭ শতাংশ, কাট্টালি টেক্সটাইলের ১৫.৪৮ শতাংশ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ১৩.৫৯ শতাংশ, কেয়ার ১৩.৪০ শতাংশ, সুহৃদের ১১.২৪ শতাংশ, সাভার রিফ্রাক্টরিজের ১১ শতাংশ, দুলামিয়া কটনের ১০.৯৯ শতাংশ, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৯.৯৫ শতাংশ এবং সেন্ট্রাল ফার্মার শেয়ার দর ৯.৭৪ শতাংশ কমেছে।
শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কিছুটা পতন আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কিছুটা উত্থান হয়েছে। সপ্তাহটিতে উভয় শেয়ারবাজারে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। সূচক আর লেনদেনের সঙ্গে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা সাড়ে ১১ হাজার টাকার বাজার মূলধন হারিয়েছে।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩১৮ কোটি ৯৫ লাখ ৬১ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৪৭৫ কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১১ হাজার ৮৪৩ কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে।
গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১১ হাজার ১২২ কোটি ৩৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮০৬ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৩ হাজার ৮৮৮ কোটি ১৮ লাখ ২৪ হাজার ৬৮৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন দুই হাজার ৭৬৫ কোটি ৭৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮৮০ টাকা বা ২০ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ২২৮ দশমিক ৩১ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৫ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৯৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৭৭ দশমিক ১০ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ২৭ দশমিক ৪১ পয়েন্ট ১ দশমিক ০৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬৭৪ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৪টির বা ২২.২২ শতাংশের, কমেছে ২৮২টির বা ৭৪ দশমিক ৬০ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির বা ৩ দশমিক ১৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪০৬ কোটি ৫০ লাখ ৬১ হাজার ২৪৩ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪৬৮ কোটি ১৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৭৪ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৬১ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার ১৩১টাকা বা ১৩ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯.৯৭ পয়েন্ট বা ০.০৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ১৪১.৩৫ পয়েন্টে।
সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৯.৫৪ পয়েন্ট বা ০.০৭ শতাংশ ও সিএসই-৫০ সূচক ৮.১৮ পয়েন্ট বা ০.৫৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ৬৮২.৫৮ পয়েন্টে ও এক হাজার ৫৫১.৮৭ পয়েন্টে। তবে সিএসই-৩০ সূচক ১৩২.৭৬ পয়েন্ট বা ০.৮৫ শতাংশ ও সিএসআই ১২.৭২ পয়েন্ট বা ০.৯৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪৬১.৪১ পয়েন্টে ও এক হাজার ৩৪২.১৭ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮৪টির বা ২৪.৪৯ শতাংশের দর বেড়েছে, ২৫০টির বা ৭২.৮৯ শতাংশের কমেছে এবং ৯টির বা ২.৬২ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) আড়াই শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ২১.১৬ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ২০.৬০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৫৬ পয়েন্ট বা ২.৬৫ শতাংশ কমেছে।
সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৮৭ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৩১.০৩ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৪৬.৭০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২১.৫৫ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৬.৩৮ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২২.০৪ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৩৫.৬৬ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৩৭.৫৯ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩.২০ শতাংশ, চামড়া খাতের ১৪৯.৫৮ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৮.৪১ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ২৮৭.১৩ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের (-) ৪০৮৯.২৭ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৫০.৯৫ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৪.৮৬ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ৩০.৮১ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৩৬.৪৫ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৪৫.০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮৪টির বা ২২.২২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। সপ্তাহটিতে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬৮.৪০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৮৭.৪০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৯ টাকা বা ২৭.৭৮ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।
ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ২৬.৬৩ শতাংশ, ফরচুন সুজের ১৮.৮৫ শতাংশ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৬.৬২ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টসের ১৬.৪৯ শতাংশ, বেক্সিমকোর ১৫.৬৫ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের ১৫.৪৭ শতাংশ, আইপিডিসির ১৪.১৪ শতাংশ, শমরিতা হসপিটালের ১৩.০৬ শতাংশ এবং ফার্মা এইডসের শেয়ার দর ১১.৩৪ শতাংশ বেড়েছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৮২টির বা ৭৪.৬০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। সপ্তাহটিতে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে ওয়ালটনের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৪৪৭.৪০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ১২০৬.৪০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ২৪১ টাকা বা ১৬.৬৫ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে ওয়ালটন ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।
ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সাফকো স্পিনিংয়ের ১৫.৯৭ শতাংশ, কাট্টালি টেক্সটাইলের ১৫.৪৮ শতাংশ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ১৩.৫৯ শতাংশ, কেয়ার ১৩.৪০ শতাংশ, সুহৃদের ১১.২৪ শতাংশ, সাভার রিফ্রাক্টরিজের ১১ শতাংশ, দুলামিয়া কটনের ১০.৯৯ শতাংশ, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৯.৯৫ শতাংশ এবং সেন্ট্রাল ফার্মার শেয়ার দর ৯.৭৪ শতাংশ কমেছে।