বৈশ্বিক মহামারীতে করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) ব্যয় করছে না বেশ কিছু ব্যাংক। ফলে চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকের সিএসআর খাতে ব্যয় কমেছে ৫৬ কোটি টাকা।
গত বছরের (২০২০) জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলো এ খাতে ব্যয় করেছিল ৫১৭ কোটি টাকা। আর চলতি বছরের (২০২১) প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ৪৬১ কোটি টাকা খরচ করেছে ব্যাংকগুলো। আর ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিকপ্রতিষ্ঠানগুলো সিএসআর খাতে ব্যয় করেছে ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত সামাজিক কর্যক্রমে কোন ব্যয় করেনি, এমন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯টি। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- বিকেবি, রাকাব, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং উরি ব্যাংক। আর নামসর্বস্ব ব্যয় করেছে ১২ ব্যাংক, যাদের ব্যয় লাখ টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
সিএসআর খাতে ব্যয় না করা আর্থিকপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০টি। এসব প্রতিষ্ঠানে মধ্যে রয়েছে- অগ্রণী এসএমই ফিন্যান্সিং কোম্পানি লিমিটেড, আভিভা ফিন্যান্স লিমিটেড, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড, বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, সিভিসি ফিন্যান্স লিমিটেড, ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, এফএএস ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, ফার্স্ট ফিন্যান্স লিমিটেড, জিএসপি ফিন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, ইসলামিক ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, লংকান অ্যালায়েন্স ফিন্যান্স লিমিটেড, মেরিডিয়ান ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, মাইডাস ফিন্যান্সিং লিমিটেড, ন্যাশনাল ফিন্যান্স লিমিটেড, প্রাইম ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, দি ইউএই বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, ইউনাইটেড ফিন্যান্স লিমিটেড এবং উত্তরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনার মধ্যে অন্যান্য ব্যাংক শুধু স্বাস্থ্য খাতেই কোটি টাকা ব্যয় করছে। সেখানে করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতায় নামমাত্র ব্যয় এ খাতের ওপর অনাগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। ব্যাংকগুলোর সামাজিক কার্যক্রমে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে, তার মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় হয়েছে ২৩৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। যা মোট ব্যায়ের ৫১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত ষান্মাসিকে সিএসআর তিন কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। এ সময়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানও সর্বোচ্চ ব্যয় করেছে স্বাস্থ্যখাতে, যার পরিমাণ ১ কোটি টাকা বা মোট ব্যয়ের ৩২ দশমিক ২৭ শতাংশ।
ব্যাংকগুলোর মোট সিএসআর ব্যয়ের ৬০ শতাংশই স্বাস্থ্যখাতে ব্যয়ের নির্দেশনা রয়েছে। বাকি ৪০ শতাংশের মধ্যে ৩০ শতাংশ শিক্ষা এবং ১০ শতাংশ অন্যান্য খাতে ব্যয় করতে বলা হয়েছে। ব্যাংকগুলোর সিএসআর খাতের ব্যয়ের দিকটি দেখাশোনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফিন্যান্স বিভাগ। কোন খাতে সিএসআরের কত শতাংশ ব্যয় করছে বা করবে, তা বিভিন্ন সময়ে নির্দেশনার মাধ্যমে জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
বৈশ্বিক মহামারীতে করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) ব্যয় করছে না বেশ কিছু ব্যাংক। ফলে চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকের সিএসআর খাতে ব্যয় কমেছে ৫৬ কোটি টাকা।
গত বছরের (২০২০) জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলো এ খাতে ব্যয় করেছিল ৫১৭ কোটি টাকা। আর চলতি বছরের (২০২১) প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ৪৬১ কোটি টাকা খরচ করেছে ব্যাংকগুলো। আর ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিকপ্রতিষ্ঠানগুলো সিএসআর খাতে ব্যয় করেছে ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত সামাজিক কর্যক্রমে কোন ব্যয় করেনি, এমন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯টি। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- বিকেবি, রাকাব, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং উরি ব্যাংক। আর নামসর্বস্ব ব্যয় করেছে ১২ ব্যাংক, যাদের ব্যয় লাখ টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
সিএসআর খাতে ব্যয় না করা আর্থিকপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০টি। এসব প্রতিষ্ঠানে মধ্যে রয়েছে- অগ্রণী এসএমই ফিন্যান্সিং কোম্পানি লিমিটেড, আভিভা ফিন্যান্স লিমিটেড, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড, বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, সিভিসি ফিন্যান্স লিমিটেড, ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, এফএএস ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, ফার্স্ট ফিন্যান্স লিমিটেড, জিএসপি ফিন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, ইসলামিক ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, লংকান অ্যালায়েন্স ফিন্যান্স লিমিটেড, মেরিডিয়ান ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, মাইডাস ফিন্যান্সিং লিমিটেড, ন্যাশনাল ফিন্যান্স লিমিটেড, প্রাইম ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, দি ইউএই বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, ইউনাইটেড ফিন্যান্স লিমিটেড এবং উত্তরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনার মধ্যে অন্যান্য ব্যাংক শুধু স্বাস্থ্য খাতেই কোটি টাকা ব্যয় করছে। সেখানে করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতায় নামমাত্র ব্যয় এ খাতের ওপর অনাগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। ব্যাংকগুলোর সামাজিক কার্যক্রমে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে, তার মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় হয়েছে ২৩৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। যা মোট ব্যায়ের ৫১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত ষান্মাসিকে সিএসআর তিন কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। এ সময়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানও সর্বোচ্চ ব্যয় করেছে স্বাস্থ্যখাতে, যার পরিমাণ ১ কোটি টাকা বা মোট ব্যয়ের ৩২ দশমিক ২৭ শতাংশ।
ব্যাংকগুলোর মোট সিএসআর ব্যয়ের ৬০ শতাংশই স্বাস্থ্যখাতে ব্যয়ের নির্দেশনা রয়েছে। বাকি ৪০ শতাংশের মধ্যে ৩০ শতাংশ শিক্ষা এবং ১০ শতাংশ অন্যান্য খাতে ব্যয় করতে বলা হয়েছে। ব্যাংকগুলোর সিএসআর খাতের ব্যয়ের দিকটি দেখাশোনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফিন্যান্স বিভাগ। কোন খাতে সিএসআরের কত শতাংশ ব্যয় করছে বা করবে, তা বিভিন্ন সময়ে নির্দেশনার মাধ্যমে জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।