তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা করোনাকালে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে নেওয়া ঋণের অর্থ ১৮ কিস্তির পরিবর্তে ৩৬ কিস্তিতে পরিশোধের সুবিধা চান । এই দাবি আদায়ে গত সপ্তাহে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতারা। একই দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আরও পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
বিজিএমইএর সহসভাপতি এস এম মান্নানের নেতৃত্বে সংগঠনটির প্রতিনিধিদলে ছিলেন সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন, পরিচালক আসিফ আশরাফ প্রমুখ। গভর্নরের সঙ্গে বিজিএমইএর প্রতিনিধিদলের বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের উপস্থিত ছিলেন। বিজিএমইএর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
গভর্নরের কাছে বিজিএমইএর নেতারা দাবি করেন, বর্তমান সংকটময় সময়ে পোশাকশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য সরকারের ঋণের কিস্তির সংখ্যা ১৮ থেকে বৃদ্ধি করে ৩৬ করা। এ ছাড়া কোনো একটি শিল্পগোষ্ঠীর বা গ্রুপ অব কোম্পানির একটি প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হলে তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের চলমান ঋণ বন্ধ না করে খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিলের সুযোগ দেওয়া। করোনাকালে ইডিএফ ফান্ডের সুদের হার ২ শতাংশ থেকে হ্রাস করে দেড় শতাংশ করা।
গভর্নরের কাছে করোনাকালে পোশাক খাতের যেসব উদ্যোক্তা ব্যাংকঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারেনি, তাদের ওপর আরোপিত-অনারোপিত সুদ, কস্ট অব ফান্ডসহ সব ধরনের চার্জ মওকুফ করার দাবি করেছেন বিজিএমইএর নেতারা। একই সঙ্গে অবশিষ্ট ঋণকে আগামী জানুয়ারিভিত্তিক হিসাব করে স্থিতির ওপর ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে দুই বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ দশ বছর মেয়াদে ঋণ হিসাব পুনঃ তফসিল করার সুযোগ চেয়েছেন তারা।
করোনার কারণে গত বছরের মার্চে একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতাদেশ আসতে থাকে। তখন পোশাকশিল্পের মালিকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লে সরকার রপ্তানিমুখী শ্রমিকদের পরের তিন মাস এপ্রিল, মে ও জুনের মজুরি দেওয়ার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এই ঋণের বিপরীতে সেবা মাশুল ছিল ২ শতাংশ। পরে পোশাকশিল্পের মালিকেরা আরও এক মাসের মজুরি দিতে আবার ঋণ দাবি করেন। সরকারও তা মেনে নেয়। তখন তহবিলের আকার বেড়ে ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। তবে চতুর্থ মাসের জন্য ঋণের মালিকদের সেবা মাশুল ধরা হয় সাড়ে ৪ শতাংশ। বাকি সাড়ে ৪ শতাংশ সরকারের ভর্তুকি দেওয়ার কথা।
এই তহবিল থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কারখানার মালিক ঋণ নিয়েছেন। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ছয় মাস। পরবর্তী ১৮ মাসের কিস্তিতে সেই ঋণ পরিশোধের শর্ত ছিল। তবে গত বছরের শেষ দিকে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ প্রণোদনা ঋণের গ্রেস পিরিয়ডের সময় বাড়ানোর দাবি জানায়। তখন অর্থ মন্ত্রণালয় ঋণ পরিশোধের সময় গত (১ মার্চ) থেকে আরও ছয় মাস বাড়ানোর নির্দেশনা দেয়। সে জন্য এত দিন প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি দিতে হয়নি কারখানার মালিকদের।
বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা করোনাকালে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে নেওয়া ঋণের অর্থ ১৮ কিস্তির পরিবর্তে ৩৬ কিস্তিতে পরিশোধের সুবিধা চান । এই দাবি আদায়ে গত সপ্তাহে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতারা। একই দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আরও পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
বিজিএমইএর সহসভাপতি এস এম মান্নানের নেতৃত্বে সংগঠনটির প্রতিনিধিদলে ছিলেন সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন, পরিচালক আসিফ আশরাফ প্রমুখ। গভর্নরের সঙ্গে বিজিএমইএর প্রতিনিধিদলের বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের উপস্থিত ছিলেন। বিজিএমইএর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
গভর্নরের কাছে বিজিএমইএর নেতারা দাবি করেন, বর্তমান সংকটময় সময়ে পোশাকশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য সরকারের ঋণের কিস্তির সংখ্যা ১৮ থেকে বৃদ্ধি করে ৩৬ করা। এ ছাড়া কোনো একটি শিল্পগোষ্ঠীর বা গ্রুপ অব কোম্পানির একটি প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হলে তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের চলমান ঋণ বন্ধ না করে খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিলের সুযোগ দেওয়া। করোনাকালে ইডিএফ ফান্ডের সুদের হার ২ শতাংশ থেকে হ্রাস করে দেড় শতাংশ করা।
গভর্নরের কাছে করোনাকালে পোশাক খাতের যেসব উদ্যোক্তা ব্যাংকঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারেনি, তাদের ওপর আরোপিত-অনারোপিত সুদ, কস্ট অব ফান্ডসহ সব ধরনের চার্জ মওকুফ করার দাবি করেছেন বিজিএমইএর নেতারা। একই সঙ্গে অবশিষ্ট ঋণকে আগামী জানুয়ারিভিত্তিক হিসাব করে স্থিতির ওপর ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে দুই বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ দশ বছর মেয়াদে ঋণ হিসাব পুনঃ তফসিল করার সুযোগ চেয়েছেন তারা।
করোনার কারণে গত বছরের মার্চে একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতাদেশ আসতে থাকে। তখন পোশাকশিল্পের মালিকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লে সরকার রপ্তানিমুখী শ্রমিকদের পরের তিন মাস এপ্রিল, মে ও জুনের মজুরি দেওয়ার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এই ঋণের বিপরীতে সেবা মাশুল ছিল ২ শতাংশ। পরে পোশাকশিল্পের মালিকেরা আরও এক মাসের মজুরি দিতে আবার ঋণ দাবি করেন। সরকারও তা মেনে নেয়। তখন তহবিলের আকার বেড়ে ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। তবে চতুর্থ মাসের জন্য ঋণের মালিকদের সেবা মাশুল ধরা হয় সাড়ে ৪ শতাংশ। বাকি সাড়ে ৪ শতাংশ সরকারের ভর্তুকি দেওয়ার কথা।
এই তহবিল থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কারখানার মালিক ঋণ নিয়েছেন। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ছয় মাস। পরবর্তী ১৮ মাসের কিস্তিতে সেই ঋণ পরিশোধের শর্ত ছিল। তবে গত বছরের শেষ দিকে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ প্রণোদনা ঋণের গ্রেস পিরিয়ডের সময় বাড়ানোর দাবি জানায়। তখন অর্থ মন্ত্রণালয় ঋণ পরিশোধের সময় গত (১ মার্চ) থেকে আরও ছয় মাস বাড়ানোর নির্দেশনা দেয়। সে জন্য এত দিন প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি দিতে হয়নি কারখানার মালিকদের।