alt

অর্থ-বাণিজ্য

একাধিক সুযোগ চান তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা করোনাকালে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে নেওয়া ঋণের অর্থ ১৮ কিস্তির পরিবর্তে ৩৬ কিস্তিতে পরিশোধের সুবিধা চান । এই দাবি আদায়ে গত সপ্তাহে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতারা। একই দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আরও পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

বিজিএমইএর সহসভাপতি এস এম মান্নানের নেতৃত্বে সংগঠনটির প্রতিনিধিদলে ছিলেন সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন, পরিচালক আসিফ আশরাফ প্রমুখ। গভর্নরের সঙ্গে বিজিএমইএর প্রতিনিধিদলের বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের উপস্থিত ছিলেন। বিজিএমইএর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

গভর্নরের কাছে বিজিএমইএর নেতারা দাবি করেন, বর্তমান সংকটময় সময়ে পোশাকশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য সরকারের ঋণের কিস্তির সংখ্যা ১৮ থেকে বৃদ্ধি করে ৩৬ করা। এ ছাড়া কোনো একটি শিল্পগোষ্ঠীর বা গ্রুপ অব কোম্পানির একটি প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হলে তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের চলমান ঋণ বন্ধ না করে খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিলের সুযোগ দেওয়া। করোনাকালে ইডিএফ ফান্ডের সুদের হার ২ শতাংশ থেকে হ্রাস করে দেড় শতাংশ করা।

গভর্নরের কাছে করোনাকালে পোশাক খাতের যেসব উদ্যোক্তা ব্যাংকঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারেনি, তাদের ওপর আরোপিত-অনারোপিত সুদ, কস্ট অব ফান্ডসহ সব ধরনের চার্জ মওকুফ করার দাবি করেছেন বিজিএমইএর নেতারা। একই সঙ্গে অবশিষ্ট ঋণকে আগামী জানুয়ারিভিত্তিক হিসাব করে স্থিতির ওপর ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে দুই বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ দশ বছর মেয়াদে ঋণ হিসাব পুনঃ তফসিল করার সুযোগ চেয়েছেন তারা।

করোনার কারণে গত বছরের মার্চে একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতাদেশ আসতে থাকে। তখন পোশাকশিল্পের মালিকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লে সরকার রপ্তানিমুখী শ্রমিকদের পরের তিন মাস এপ্রিল, মে ও জুনের মজুরি দেওয়ার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এই ঋণের বিপরীতে সেবা মাশুল ছিল ২ শতাংশ। পরে পোশাকশিল্পের মালিকেরা আরও এক মাসের মজুরি দিতে আবার ঋণ দাবি করেন। সরকারও তা মেনে নেয়। তখন তহবিলের আকার বেড়ে ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। তবে চতুর্থ মাসের জন্য ঋণের মালিকদের সেবা মাশুল ধরা হয় সাড়ে ৪ শতাংশ। বাকি সাড়ে ৪ শতাংশ সরকারের ভর্তুকি দেওয়ার কথা।

এই তহবিল থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কারখানার মালিক ঋণ নিয়েছেন। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ছয় মাস। পরবর্তী ১৮ মাসের কিস্তিতে সেই ঋণ পরিশোধের শর্ত ছিল। তবে গত বছরের শেষ দিকে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ প্রণোদনা ঋণের গ্রেস পিরিয়ডের সময় বাড়ানোর দাবি জানায়। তখন অর্থ মন্ত্রণালয় ঋণ পরিশোধের সময় গত (১ মার্চ) থেকে আরও ছয় মাস বাড়ানোর নির্দেশনা দেয়। সে জন্য এত দিন প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি দিতে হয়নি কারখানার মালিকদের।

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

ছবি

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক

ছবি

বিজিএমইএর দায়িত্ব নিলেন এস এম মান্নান কচি

ছবি

বাজার মূলধন কিছুটা বাড়লো, তবু লাখ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি

ছবি

নতুন বিদেশী ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে সরকার : সিপিডি

ছবি

ব্যাংক একীভুতকরনে নীতিমালা জারি

রাষ্ট্রীয় চার ব্যাংক একীভূত হয়ে হবে দুই

ছবি

এবার একীভূত হচ্ছে ‘সোনালীর সাথে বিডিবিএল’ ও ‘কৃষির সাথে রাকাব’

ছবি

শেয়ার প্রতি ১ পয়সা লভ্যাংশ দেবে একমি পেস্টিসাইড

এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেডের কর্মীদের জন্য মেটলাইফের বীমা সুরক্ষা

গাজীপুরে এক বছরে ট্রাফিক পুলিশের ৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয়

ছবি

প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হবে: বিশ্বব্যাংক

ছবি

সিএসআর ফান্ডের আওতায় কৃষকদের আর্থিক সহযোগিতা করল সাউথইস্ট ব্যাংক

ছবি

ডেমরায় বাস গ্যারেজে আগুন

ছবি

নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও সেইহারে বাড়েনি তামাকপণ্যের দাম

ছবি

প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়া সেই ভূমি অফিস কর্মী সাময়িক বরখাস্ত

ব্যাংক ঋণের সুদহার আরও বাড়লো

ছবি

বেক্সিমকোর ২ হাজার ৬২৫ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন দিলো বিএসইসি

শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে কাজ করব : শ্রম প্রতিমন্ত্রী

ছবি

ঈদে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বাড়াল বিমান

tab

অর্থ-বাণিজ্য

একাধিক সুযোগ চান তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা করোনাকালে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে নেওয়া ঋণের অর্থ ১৮ কিস্তির পরিবর্তে ৩৬ কিস্তিতে পরিশোধের সুবিধা চান । এই দাবি আদায়ে গত সপ্তাহে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতারা। একই দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আরও পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

বিজিএমইএর সহসভাপতি এস এম মান্নানের নেতৃত্বে সংগঠনটির প্রতিনিধিদলে ছিলেন সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন, পরিচালক আসিফ আশরাফ প্রমুখ। গভর্নরের সঙ্গে বিজিএমইএর প্রতিনিধিদলের বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের উপস্থিত ছিলেন। বিজিএমইএর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

গভর্নরের কাছে বিজিএমইএর নেতারা দাবি করেন, বর্তমান সংকটময় সময়ে পোশাকশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য সরকারের ঋণের কিস্তির সংখ্যা ১৮ থেকে বৃদ্ধি করে ৩৬ করা। এ ছাড়া কোনো একটি শিল্পগোষ্ঠীর বা গ্রুপ অব কোম্পানির একটি প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হলে তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের চলমান ঋণ বন্ধ না করে খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিলের সুযোগ দেওয়া। করোনাকালে ইডিএফ ফান্ডের সুদের হার ২ শতাংশ থেকে হ্রাস করে দেড় শতাংশ করা।

গভর্নরের কাছে করোনাকালে পোশাক খাতের যেসব উদ্যোক্তা ব্যাংকঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারেনি, তাদের ওপর আরোপিত-অনারোপিত সুদ, কস্ট অব ফান্ডসহ সব ধরনের চার্জ মওকুফ করার দাবি করেছেন বিজিএমইএর নেতারা। একই সঙ্গে অবশিষ্ট ঋণকে আগামী জানুয়ারিভিত্তিক হিসাব করে স্থিতির ওপর ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে দুই বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ দশ বছর মেয়াদে ঋণ হিসাব পুনঃ তফসিল করার সুযোগ চেয়েছেন তারা।

করোনার কারণে গত বছরের মার্চে একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতাদেশ আসতে থাকে। তখন পোশাকশিল্পের মালিকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লে সরকার রপ্তানিমুখী শ্রমিকদের পরের তিন মাস এপ্রিল, মে ও জুনের মজুরি দেওয়ার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এই ঋণের বিপরীতে সেবা মাশুল ছিল ২ শতাংশ। পরে পোশাকশিল্পের মালিকেরা আরও এক মাসের মজুরি দিতে আবার ঋণ দাবি করেন। সরকারও তা মেনে নেয়। তখন তহবিলের আকার বেড়ে ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। তবে চতুর্থ মাসের জন্য ঋণের মালিকদের সেবা মাশুল ধরা হয় সাড়ে ৪ শতাংশ। বাকি সাড়ে ৪ শতাংশ সরকারের ভর্তুকি দেওয়ার কথা।

এই তহবিল থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কারখানার মালিক ঋণ নিয়েছেন। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ছয় মাস। পরবর্তী ১৮ মাসের কিস্তিতে সেই ঋণ পরিশোধের শর্ত ছিল। তবে গত বছরের শেষ দিকে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ প্রণোদনা ঋণের গ্রেস পিরিয়ডের সময় বাড়ানোর দাবি জানায়। তখন অর্থ মন্ত্রণালয় ঋণ পরিশোধের সময় গত (১ মার্চ) থেকে আরও ছয় মাস বাড়ানোর নির্দেশনা দেয়। সে জন্য এত দিন প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি দিতে হয়নি কারখানার মালিকদের।

back to top