সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) বিক্রয় চাপ অব্যাহত রয়েছে পুঁজিবাজারে। লেনদেন শুরুর প্রথম আধঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক কমেছে ১২.২৪ পয়েন্ট। এসময় ডিএসইতে মাত্র ২৯৮ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বিক্রয় চাপ অব্যাহত ছিল। লেনদেন শুরুর প্রথম আধ ঘণ্টায় সিএসই’র সিংহভাগ কোম্পানির দর পতন হলেও সূচক সামান্য বেড়েছে। এসময় সিএসইতে ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেননে হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ডিএসই ও সিএসই’র লেনদেন পর্যালোচনায় এমন তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫০টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৫টির, দর কমেছে ১৫৮টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ৬৭টির। এসময় ডিএসইতে ২৯৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

সিংহভাগ কোম্পানির দর পতনে প্রথম আধ ঘণ্টায় ডিএসই’র সার্বিক মূল্যসূচক ১২.২৪ পয়েন্ট কমেছে। এসময় ডিএসইএক্স সূচক ৭ হাজার ৩৩৩ পয়েন্টে নেমে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও শরীয়াহ্ ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর মূল্যসূচক ডিএসইএস ও ডিএস-৩০ যথাক্রমে ০.৭৬ পয়েন্ট ও ৩.৫৪ পয়েন্ট কমেছে।

বিক্রয় চাপে ব্যাপক দর পতনের দিনেও বাজারে সর্বোচ্চ দর বেড়েছে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৬.০৮৭ শতাংশ। এছাড়াও দর বৃদ্ধির তালিকায় ছিল মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, সাভার রিফ্যাক্টরিজ, আইসিবি ব্যাংক ও উসমানিয়া গ্লাস।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হওযা ১১৬টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৩টির, দর কমেছে ৫৬টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ১৭টি প্রতিষ্ঠানের। এসময় সিএসই’র সাধারণ মূল্যসূচক ২.৩১ পয়েন্ট বেড়েছে। ব্যাপক বিক্রয় চাপে এসময় সিএসইতে ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

###