alt

অর্থ-বাণিজ্য

ওষুধশিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনে আয়কর অব্যাহতি, প্রজ্ঞাপন জারি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : রোববার, ১৭ অক্টোবর ২০২১

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দেশীয় ও যৌথ উদ্যোগে যেসব ওষুধ কারখানা অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই) মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন করবে, সেগুলো আগামী ২০৩২ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি পাবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্প্রতি এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এপিআই হচ্ছে ওষুধপণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল, যা আমদানিনির্ভর। ওষুধশিল্প খাতে টেকসই শিল্পায়নের মাধ্যমে রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই এ কর অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এই সুবিধা পাঁচ বছর আগে থেকে অর্থাৎ ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে।

ওষুধ খাতে বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে ২০১৮ সালে জাতীয় এপিআই (কার্যকর ওষুধ উপকরণ) ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন-রপ্তানি নীতিমালা করা হয়। ওই নীতিমালায় বাংলাদেশে নিবন্ধিত সব এপিআই ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারীদের জন্য কর অবকাশ সুবিধার কথা বলা হয়েছিল। সেটিরই প্রজ্ঞাপন জারি হলো গত সপ্তাহে।

এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নিবন্ধিত (দেশীয় ও জয়েন্ট ভেঞ্চার) অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আয়কর থেকে শর্ত সাপেক্ষে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সম্পূর্ণ করমুক্ত সুবিধা পেতে এপিআই মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব কারখানায় উৎপাদন করতে হবে। আর ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সম্পূর্ণ করমুক্ত সুবিধা পেতে এপিআই মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবছর অন্তত পাঁচটি নতুন এপিআই ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন করতে হবে।

তবে কোন কারখানা যদি বছরে তিনটি নতুন এপিআই মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন করে, তাহলে ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হবে। মানহীন ওষুধ উপকরণ উৎপাদন করলে জরিমানা গুনতে হবে এবং বাতিল করা হবে ওই বছরের করসুবিধা।

শর্তের মধ্যে আরও রয়েছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিবছর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রত্যয়নপত্র এনবিআরে দাখিল করতে হবে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে বার্ষিক লেনদেনের এক শতাংশ গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যয় করতে হবে। ওষুধপণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত এপিআইয়ের প্রায় ৯৫ শতাংশ আমদানি করতে হয়। আবার অভ্যন্তরীণ ওষুধপণ্যের চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ দেশীয় কোম্পানিগুলোই মিটিয়ে থাকে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১৫০টির বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে বাংলাদেশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৬ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের ওষুধ রপ্তানি করেছে। এর আগের ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ১৩ কোটি ৬০ লাখ ডলারের ওষুধ।

ছবি

বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন পাঁচ ও ভারত নয়ে

ছবি

বিআইসিএমের উদ্যোগে হবে পুঁজিবাজার সম্মেলন

ছবি

যমুনা ব্যাংক ও ডেল্টা লাইফের মধ্যে চুক্তি

ছবি

সোনার দাম আরও কমলো

ছবি

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার

ছবি

রিজার্ভ কমায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ছে

ছবি

তড়িঘড়ি ব্যাংক একীভূতকরণ খেলাপিদের দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি

ছবি

হঠাৎ ঝলকের পর আবার পতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

পদত্যাগ করেছেন পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ

ঈদের পর শেয়ারবাজার কিছুটা ভালো হতে শুরু করেছে

ছবি

দিনাজপুরে বাঁশ ফুলের চাল তৈরি

ছবি

অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন

ছবি

বিআইপিডি’র অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করছে : এফএফআইএল

ছবি

চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

ছবি

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক

ছবি

বিজিএমইএর দায়িত্ব নিলেন এস এম মান্নান কচি

ছবি

বাজার মূলধন কিছুটা বাড়লো, তবু লাখ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি

ছবি

নতুন বিদেশী ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে সরকার : সিপিডি

tab

অর্থ-বাণিজ্য

ওষুধশিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনে আয়কর অব্যাহতি, প্রজ্ঞাপন জারি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রোববার, ১৭ অক্টোবর ২০২১

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দেশীয় ও যৌথ উদ্যোগে যেসব ওষুধ কারখানা অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই) মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন করবে, সেগুলো আগামী ২০৩২ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি পাবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্প্রতি এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এপিআই হচ্ছে ওষুধপণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল, যা আমদানিনির্ভর। ওষুধশিল্প খাতে টেকসই শিল্পায়নের মাধ্যমে রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই এ কর অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এই সুবিধা পাঁচ বছর আগে থেকে অর্থাৎ ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে।

ওষুধ খাতে বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে ২০১৮ সালে জাতীয় এপিআই (কার্যকর ওষুধ উপকরণ) ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন-রপ্তানি নীতিমালা করা হয়। ওই নীতিমালায় বাংলাদেশে নিবন্ধিত সব এপিআই ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারীদের জন্য কর অবকাশ সুবিধার কথা বলা হয়েছিল। সেটিরই প্রজ্ঞাপন জারি হলো গত সপ্তাহে।

এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নিবন্ধিত (দেশীয় ও জয়েন্ট ভেঞ্চার) অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আয়কর থেকে শর্ত সাপেক্ষে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সম্পূর্ণ করমুক্ত সুবিধা পেতে এপিআই মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব কারখানায় উৎপাদন করতে হবে। আর ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সম্পূর্ণ করমুক্ত সুবিধা পেতে এপিআই মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবছর অন্তত পাঁচটি নতুন এপিআই ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন করতে হবে।

তবে কোন কারখানা যদি বছরে তিনটি নতুন এপিআই মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন করে, তাহলে ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হবে। মানহীন ওষুধ উপকরণ উৎপাদন করলে জরিমানা গুনতে হবে এবং বাতিল করা হবে ওই বছরের করসুবিধা।

শর্তের মধ্যে আরও রয়েছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিবছর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রত্যয়নপত্র এনবিআরে দাখিল করতে হবে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে বার্ষিক লেনদেনের এক শতাংশ গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যয় করতে হবে। ওষুধপণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত এপিআইয়ের প্রায় ৯৫ শতাংশ আমদানি করতে হয়। আবার অভ্যন্তরীণ ওষুধপণ্যের চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ দেশীয় কোম্পানিগুলোই মিটিয়ে থাকে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১৫০টির বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে বাংলাদেশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৬ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের ওষুধ রপ্তানি করেছে। এর আগের ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ১৩ কোটি ৬০ লাখ ডলারের ওষুধ।

back to top