টানা ৬ষ্ঠ কার্যদিবসে বিক্রয় চাপ অব্যাহত রয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। সোমবার (১৮ অক্টোবর) লেনদেনের শুরুতে সূচকে চমক দেখা গেলেও ধীরে ধীরে নিম্নমুখী হতে শুরু করে সূচক। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম আধঘণ্টার লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক কমেছে ২৪.৯০ পয়েন্ট। যদিও এদিন ডিএসই’র সার্বিক লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় সামান্য বেড়েছে।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেরর সাধারণ মূল্যসূচক সিএসসিএক্স কমেছে ৬৮.৭৭ পয়েন্ট। এসময় সিএসই’র লেনদেনেও আগের কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেন পর্যালোচনায় এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও ফান্ডগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৬টির, দর কমেছে ১৭২টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ৬৩টি প্রতিষ্ঠানের।

প্রথম অধঘণ্টায় ডিএসই’র সার্বিক মূল্যসূচক কমেছে ২৪.৯০ পয়েন্ট। এসময় শরীয়াহ্ সূচক ডিএসইএস আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৭.৯৩ পয়েন্ট ও ডিএস-৩০ সূচক ১১.৫১ পয়েন্ট কমেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ডিএসইতে প্রথম আধঘণ্টায় লেনদেন হয়েছে ২২৪ কোটি ৯ লাখ টাকা। এর আগে রোববার প্রথম আধঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১৭৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ বিক্রয় চাপের মধ্যেও ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে।

রোববার ডিএসইতে সর্বোচ্চ দর বেড়েছে তাকাফুল ইন্স্যুরেন্সের। প্রথম আধঘণ্টায় কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৫.০৫৬ শতাংশ। এছাড়াও দর বৃদ্ধির তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো-শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, সোনালী পেপার, এসবিএসি ব্যাংক, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল ও অ্যারামিট।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ৬৮.৭৭ পয়েন্ট কমেছে। এসময় সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১১১টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৭টি, দর কমেছে ৭১টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ১৩টি প্রতিষ্ঠানের। এসময় সিএসইতে ৪ কোটি ৮৬ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে রোববার সিএসইতে ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল।

###