বিদেশি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশকে তাদের মার্কেট মনে করতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সফরে আমরা ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশের ৬ টি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) করেছি। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স মার্কেটে ভবিষ্যতে আমাদের বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআই’য়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এছাড়া আমরা বিদেশে অবস্থানরত দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশিদের আমাদের ব্যবসার সাথে যুক্ত করার চেষ্টা করছি। তারাই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ে নেতৃত্ব দেবে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে এফবিবিসিআই’র নেতৃত্বে বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফরেরর উপর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা ছাড়াই ভালো করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নেও আগামীতে জিএসপি পরবর্তির জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আমাদের আরএমজি সেক্টরের সবচেয়ে বড় বাজার ইইউতে জিএসপি সুবিধা ছাড়াই ভালো করতে হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে আমাদের ইউরোপীয় বাজারের জিএসপি সুবিধা ব্যহাত হতে পারে। তবে আমরা এই সুবিধা ২০৩১ সাল পর্যন্ত বহাল রাখার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আবেদন করছি। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পর যদি ২০২৯ সাল পর্যন্তও জিএসপি সুবিধা পাই তবে বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো।
তিনি বলেন, আগে আমরা শুধু তৈরি পোশাক শিল্পের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে পরিচিত ছিলাম। এখন আমরা লেদার, জাহাজ, সিরামিকসসহ অন্যান্য পণ্যও রপ্তানি করছি। এই বাজার আরও বাড়াতে হবে। না হলে আগামীর বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা কঠিন হবে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআইর সভাপতি জসিম উদ্দিন।
তিনি আরও বলেন, তেলের দাম কম থাকা অবস্থায় ব্যবসায়ীরা যেসব কাজ হাতে নিয়েছে তার খরচ এখন বেড়ে যাবে। এতে সমস্যায় পড়তে হবে তাদের। এ কারণে তেলের দাম ডলারের দামের সাথে সমন্বয় করা উচিৎ। আমাদের এখানে কোন জিনিসের দাম একবার বাড়লে আর কমনোর ঠিক থাকে না। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে গেছে, সামনে আরও কমবে। তাই বাংলাদেশের বাজারে তেলের দাম কমানো দরকার বলেও মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমানে আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন ডলার। বাণিজ্য ঝুঁকি মোকাবেলা করতে আমাদের এটাকে ৩০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ২০২৯ সাল পর্যন্ত জিএপি সুবিধা পাবে বলেও মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ নিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, করোনার প্রভাবের কারণে খেলাপি ঋণ কিছুটা বেড়েছে। আমাদের ব্যবসায় ঝুঁকির মধ্যে আছে। তবে আগামী বছরের মধ্যেই আমরা তা ছড়িয়ে আসতে পারবো। ৯৯ শতাংশ ব্যবসায়ীই লোন নিয়ে তা পরিশোধ করে দেওয়ার মনোভাব রাখে। এক শতাংশ ব্যবসায়ী আছে যারা বিভিন্ন প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে। তবে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে আমরা সরকারের সাথে কাজ করছি। কারণ ব্যাংকিং খাত আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার রাখছে। বিশেষ করে পাওয়ার সেক্টরে যেসব উন্নয়নগুলো হয়েছে সেগুলো কিন্তু বেশিরভাগই দেশিয় ব্যাংকের লোনের মাধ্যমে হয়েছে।
এফবিসিসিআইর আইকন ভবনে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতিবৃন্দ এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১
বিদেশি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশকে তাদের মার্কেট মনে করতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সফরে আমরা ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশের ৬ টি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) করেছি। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স মার্কেটে ভবিষ্যতে আমাদের বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআই’য়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এছাড়া আমরা বিদেশে অবস্থানরত দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশিদের আমাদের ব্যবসার সাথে যুক্ত করার চেষ্টা করছি। তারাই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ে নেতৃত্ব দেবে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে এফবিবিসিআই’র নেতৃত্বে বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফরেরর উপর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা ছাড়াই ভালো করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নেও আগামীতে জিএসপি পরবর্তির জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আমাদের আরএমজি সেক্টরের সবচেয়ে বড় বাজার ইইউতে জিএসপি সুবিধা ছাড়াই ভালো করতে হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে আমাদের ইউরোপীয় বাজারের জিএসপি সুবিধা ব্যহাত হতে পারে। তবে আমরা এই সুবিধা ২০৩১ সাল পর্যন্ত বহাল রাখার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আবেদন করছি। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পর যদি ২০২৯ সাল পর্যন্তও জিএসপি সুবিধা পাই তবে বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো।
তিনি বলেন, আগে আমরা শুধু তৈরি পোশাক শিল্পের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে পরিচিত ছিলাম। এখন আমরা লেদার, জাহাজ, সিরামিকসসহ অন্যান্য পণ্যও রপ্তানি করছি। এই বাজার আরও বাড়াতে হবে। না হলে আগামীর বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা কঠিন হবে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআইর সভাপতি জসিম উদ্দিন।
তিনি আরও বলেন, তেলের দাম কম থাকা অবস্থায় ব্যবসায়ীরা যেসব কাজ হাতে নিয়েছে তার খরচ এখন বেড়ে যাবে। এতে সমস্যায় পড়তে হবে তাদের। এ কারণে তেলের দাম ডলারের দামের সাথে সমন্বয় করা উচিৎ। আমাদের এখানে কোন জিনিসের দাম একবার বাড়লে আর কমনোর ঠিক থাকে না। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে গেছে, সামনে আরও কমবে। তাই বাংলাদেশের বাজারে তেলের দাম কমানো দরকার বলেও মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমানে আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন ডলার। বাণিজ্য ঝুঁকি মোকাবেলা করতে আমাদের এটাকে ৩০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ২০২৯ সাল পর্যন্ত জিএপি সুবিধা পাবে বলেও মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ নিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, করোনার প্রভাবের কারণে খেলাপি ঋণ কিছুটা বেড়েছে। আমাদের ব্যবসায় ঝুঁকির মধ্যে আছে। তবে আগামী বছরের মধ্যেই আমরা তা ছড়িয়ে আসতে পারবো। ৯৯ শতাংশ ব্যবসায়ীই লোন নিয়ে তা পরিশোধ করে দেওয়ার মনোভাব রাখে। এক শতাংশ ব্যবসায়ী আছে যারা বিভিন্ন প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে। তবে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে আমরা সরকারের সাথে কাজ করছি। কারণ ব্যাংকিং খাত আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার রাখছে। বিশেষ করে পাওয়ার সেক্টরে যেসব উন্নয়নগুলো হয়েছে সেগুলো কিন্তু বেশিরভাগই দেশিয় ব্যাংকের লোনের মাধ্যমে হয়েছে।
এফবিসিসিআইর আইকন ভবনে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতিবৃন্দ এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।