ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শহীদ রাজু দিবস’ পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা সংলগ্ন মঈন হোসেন রাজু স্মৃতি ভাস্কর্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রদান করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
শনিবার (১৩ মার্চ) সকালে এ অনুষ্ঠানে সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন। পরে মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস রুখে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ছাত্র ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ এবং তদন্ত করে রাজুর হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এ ছাড়া বিকেল ৩টায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সমাবেশের আয়োজন করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মোহাম্মদ।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের আজকের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে ক্যাম্পাসে অস্ত্রবাজি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মিছিলের নেতৃত্ব দেন মঈন হোসেন রাজু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে মিছিলটি স্বোপার্জিত স্বাধীনতার কাছাকাছি আসলে মিছিলকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। এতে শহীদ হোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের তৎকালীন সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মঈন হোসেন রাজু।
প্রসঙ্গত, রাজুসহ সন্ত্রাসবিরোধী আন্দোলনের সব শহীদের স্মরণে ১৯৯৭ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নির্মিত হয় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য। উদ্বোধন করেন তৎকালীন উপাচার্য এ. কে. আজাদ চৌধুরী। ভাস্কর্য নির্মাণে জড়িত ছিলেন ভাস্কর শ্যামল চৌধুরী ও সহযোগী গোপাল পাল। নির্মাণ ও স্থাপনে অর্থায়নে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আতাউদ্দিন খান (আতা খান) ও মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতির সভাপতি, লায়ন নজরুল ইসলাম খান বাদল। ভাস্কর্যটির সার্বিক তত্ত্বাবধান করে আসছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
শনিবার, ১৩ মার্চ ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শহীদ রাজু দিবস’ পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা সংলগ্ন মঈন হোসেন রাজু স্মৃতি ভাস্কর্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রদান করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
শনিবার (১৩ মার্চ) সকালে এ অনুষ্ঠানে সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন। পরে মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস রুখে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ছাত্র ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ এবং তদন্ত করে রাজুর হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এ ছাড়া বিকেল ৩টায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সমাবেশের আয়োজন করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মোহাম্মদ।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের আজকের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে ক্যাম্পাসে অস্ত্রবাজি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মিছিলের নেতৃত্ব দেন মঈন হোসেন রাজু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে মিছিলটি স্বোপার্জিত স্বাধীনতার কাছাকাছি আসলে মিছিলকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। এতে শহীদ হোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের তৎকালীন সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মঈন হোসেন রাজু।
প্রসঙ্গত, রাজুসহ সন্ত্রাসবিরোধী আন্দোলনের সব শহীদের স্মরণে ১৯৯৭ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নির্মিত হয় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য। উদ্বোধন করেন তৎকালীন উপাচার্য এ. কে. আজাদ চৌধুরী। ভাস্কর্য নির্মাণে জড়িত ছিলেন ভাস্কর শ্যামল চৌধুরী ও সহযোগী গোপাল পাল। নির্মাণ ও স্থাপনে অর্থায়নে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আতাউদ্দিন খান (আতা খান) ও মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতির সভাপতি, লায়ন নজরুল ইসলাম খান বাদল। ভাস্কর্যটির সার্বিক তত্ত্বাবধান করে আসছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।