বেড়েছে ফরমের মূল্য, পরীক্ষার সুযোগ পাবে ১ লাখ শিক্ষার্থী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের প্রথমবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন আগামী ১জুন থেকে শুরু হবে। প্রাথমিক ধাপের আবেদন চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত।
এ বছর পাশের হার বেশি হওয়ায় বাড়ানো হয়েছে জিপিএ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেয়ার জন্য প্রাথমিক ধাপের আবেদনের পর বাচাই করে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মো. আবু হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এবছর পাশের হার বেশি হওয়ায় ইউনিট ভিত্তিক জিপিএ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ইউনিটে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক উভয় পরীক্ষায় পৃথকভাবে নূন্যতম ৪, বি ইউনিটে ৩.৫, সি ইউনিটে ৩.৫, সি১ ইউনিটে ৩.৫, ডি ইউনিটে ৪, ই ইউনিটে মানবিক-ব্যবসায় ৩.৭৫ ও বিজ্ঞান ৪, এফ ইউনিটে ৪, জি ইউনিটে ৪, এইচ ইউনিটে ৪ এবং আই ইউনিটে ৩.৫ থাকতে হবে।
প্রাথমিক ধাপে প্রতিটি ইউনিটে আবেদনের জন্য সব শিক্ষার্থীকে ৫৫ টাকা করে দিতে হবে। বাচাইয়ের পর উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেও এ, বি, সি, ডি ইউনিটে আলাদা করে ১১০০ টাকা এবং বাকী গুলোতে ৭০০ টাকা করে ফি জমা দিতে হবে।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, মহামারির কারণে এখনই কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি। আবেদনপত্র নেয়ার পর মহামারির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষার নেওয়া হবে। আগের মতো শিফটভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ, বি, সি, ডি, ইউনিটে বাছাই করা ১৮ হাজার করে মোট ৭২ হাজার, সি১ ইউনিট (চারুকলা ও নাট্যকলা), আইবিএ, আইআইটি এবং বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটে আলাদাভাবে সাড়ে ৪হাজার জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এছাড়া, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও আইন অনুষদে ৯ হাজার জন করে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবেন।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার ফরমের মূল্য বৃদ্ধি ও প্রাথমিক আবেদনের মাধ্যমে বাচাই করার নামে শিক্ষার্থীদেও ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখা। শুক্রবার পৃথক দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
ভর্তি পরীক্ষার ফি অনধিক ৩০০ টাকা করা এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলাফলকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা হিসেবে গণ্য না করার দাবি জানিয়েছে সংগঠন দুটি। অন্যথায় আন্দোলনের মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিলে বাধ্য করা হবে বলেও জানান তারা।
বিবৃতি ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তুষার ধর ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বলেন, পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে এ, বি, সি ও ডি ইউনিটের পরীক্ষার যেকোন একটিতে বসতে দুই ধাপে দিতে হবে ১১৫৫ টাকা এবং অন্যান্য ইউনিটের ক্ষেত্রে দিতে হবে ৭৫৫ টাকা করে, যা বিগত ভর্তিপরীক্ষার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। যা একটি জনবিমুখ সিদ্ধান্ত। করোনায় দেশের মানুষ যখন অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত, তখন জাবি প্রশাসনের এমন মুনাফালোভী সিদ্ধান্ত দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বার স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করে দিবে।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উচ্চমাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার জিপিএ’র ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা নির্ধারণের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর ফলে প্রকৃত মেধাবীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। যথাযথ মেধা যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ জিপিএ প্রাপ্ত না হওয়া সত্ত্বেও একজন শিক্ষার্থী তাঁর মেধার প্রমাণ দিতে পারে।
বেড়েছে ফরমের মূল্য, পরীক্ষার সুযোগ পাবে ১ লাখ শিক্ষার্থী
শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের প্রথমবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন আগামী ১জুন থেকে শুরু হবে। প্রাথমিক ধাপের আবেদন চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত।
এ বছর পাশের হার বেশি হওয়ায় বাড়ানো হয়েছে জিপিএ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেয়ার জন্য প্রাথমিক ধাপের আবেদনের পর বাচাই করে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মো. আবু হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এবছর পাশের হার বেশি হওয়ায় ইউনিট ভিত্তিক জিপিএ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ইউনিটে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক উভয় পরীক্ষায় পৃথকভাবে নূন্যতম ৪, বি ইউনিটে ৩.৫, সি ইউনিটে ৩.৫, সি১ ইউনিটে ৩.৫, ডি ইউনিটে ৪, ই ইউনিটে মানবিক-ব্যবসায় ৩.৭৫ ও বিজ্ঞান ৪, এফ ইউনিটে ৪, জি ইউনিটে ৪, এইচ ইউনিটে ৪ এবং আই ইউনিটে ৩.৫ থাকতে হবে।
প্রাথমিক ধাপে প্রতিটি ইউনিটে আবেদনের জন্য সব শিক্ষার্থীকে ৫৫ টাকা করে দিতে হবে। বাচাইয়ের পর উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেও এ, বি, সি, ডি ইউনিটে আলাদা করে ১১০০ টাকা এবং বাকী গুলোতে ৭০০ টাকা করে ফি জমা দিতে হবে।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, মহামারির কারণে এখনই কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি। আবেদনপত্র নেয়ার পর মহামারির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষার নেওয়া হবে। আগের মতো শিফটভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ, বি, সি, ডি, ইউনিটে বাছাই করা ১৮ হাজার করে মোট ৭২ হাজার, সি১ ইউনিট (চারুকলা ও নাট্যকলা), আইবিএ, আইআইটি এবং বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটে আলাদাভাবে সাড়ে ৪হাজার জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এছাড়া, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও আইন অনুষদে ৯ হাজার জন করে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবেন।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার ফরমের মূল্য বৃদ্ধি ও প্রাথমিক আবেদনের মাধ্যমে বাচাই করার নামে শিক্ষার্থীদেও ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখা। শুক্রবার পৃথক দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
ভর্তি পরীক্ষার ফি অনধিক ৩০০ টাকা করা এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলাফলকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা হিসেবে গণ্য না করার দাবি জানিয়েছে সংগঠন দুটি। অন্যথায় আন্দোলনের মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিলে বাধ্য করা হবে বলেও জানান তারা।
বিবৃতি ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তুষার ধর ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বলেন, পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে এ, বি, সি ও ডি ইউনিটের পরীক্ষার যেকোন একটিতে বসতে দুই ধাপে দিতে হবে ১১৫৫ টাকা এবং অন্যান্য ইউনিটের ক্ষেত্রে দিতে হবে ৭৫৫ টাকা করে, যা বিগত ভর্তিপরীক্ষার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। যা একটি জনবিমুখ সিদ্ধান্ত। করোনায় দেশের মানুষ যখন অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত, তখন জাবি প্রশাসনের এমন মুনাফালোভী সিদ্ধান্ত দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বার স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করে দিবে।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উচ্চমাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার জিপিএ’র ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা নির্ধারণের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর ফলে প্রকৃত মেধাবীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। যথাযথ মেধা যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ জিপিএ প্রাপ্ত না হওয়া সত্ত্বেও একজন শিক্ষার্থী তাঁর মেধার প্রমাণ দিতে পারে।