খালেদ মাহমুদ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে শ্রমিক হত্যা ও চীনে উইঘুর নির্যাতনের বন্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৫ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
সমাবেশে সংগঠনটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, গত ১৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এসআলম গ্রুপ এবং চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান সেপকো থ্রি পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন ও এইচটিজি ডেভেলপমেন্ট গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে যৌক্তিক আন্দোলন করতে গিয়ে সাতজন শ্রমিক নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছেন। ১২ জন শ্রমিক মারাত্মকভাবে আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আজ পর্যন্ত সেই নিহত শ্রমিক পরিবারগুলোকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং হত্যাকাণ্ডের বিচারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উল্টো শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপদ পরিবেশ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা সব দেশি-বিদেশি কোম্পানির নৈতিক দায়িত্ব। চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর ধারাবাহিক নির্যাতন এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে চীনা কোম্পানির প্রকল্পে শ্রমিক হত্যা-নির্যাতন একই সূত্রে গাঁথা বলে আমরা মনে করি। চীন দূতাবাস আজও পর্যন্ত তাদের দেশের দুই কোম্পানির স্বেচ্ছাচারী ও আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি বা কোনো বিবৃতি দেয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন বলেন, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত সংখ্যালঘু উইঘুরদের ওপর প্রতিনিয়ত নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। চীন সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে উইঘুরদের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। চট্টগ্রামে শ্রমিক অসন্তোষই প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশে আসা বিভিন্ন চীনা কোম্পানিগুলো শ্রমিকদের সঙ্গে কতটা অমানবিক আচরণ করছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে নিহত সাতজন শ্রমিকের পরিবারদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া, হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আরোও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে চীন দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতারা। চীন দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা শাহবাগে আটকে দেয় পুলিশ। পরে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলকে চীন দূতাবাসের দিকে নিয়ে যায় পুলিশ।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিশিষ্ট ভাস্কর শিল্পী রাশা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন ও সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ। চীনের রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি গ্রহণ করেন গুলশান ডিপ্লোমেটিক জোনের ডিসি আশরাফুল ইসলাম।
খালেদ মাহমুদ
বুধবার, ০৫ মে ২০২১
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে শ্রমিক হত্যা ও চীনে উইঘুর নির্যাতনের বন্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৫ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
সমাবেশে সংগঠনটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, গত ১৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এসআলম গ্রুপ এবং চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান সেপকো থ্রি পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন ও এইচটিজি ডেভেলপমেন্ট গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে যৌক্তিক আন্দোলন করতে গিয়ে সাতজন শ্রমিক নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছেন। ১২ জন শ্রমিক মারাত্মকভাবে আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আজ পর্যন্ত সেই নিহত শ্রমিক পরিবারগুলোকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং হত্যাকাণ্ডের বিচারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উল্টো শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপদ পরিবেশ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা সব দেশি-বিদেশি কোম্পানির নৈতিক দায়িত্ব। চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর ধারাবাহিক নির্যাতন এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে চীনা কোম্পানির প্রকল্পে শ্রমিক হত্যা-নির্যাতন একই সূত্রে গাঁথা বলে আমরা মনে করি। চীন দূতাবাস আজও পর্যন্ত তাদের দেশের দুই কোম্পানির স্বেচ্ছাচারী ও আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি বা কোনো বিবৃতি দেয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন বলেন, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত সংখ্যালঘু উইঘুরদের ওপর প্রতিনিয়ত নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। চীন সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে উইঘুরদের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। চট্টগ্রামে শ্রমিক অসন্তোষই প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশে আসা বিভিন্ন চীনা কোম্পানিগুলো শ্রমিকদের সঙ্গে কতটা অমানবিক আচরণ করছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে নিহত সাতজন শ্রমিকের পরিবারদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া, হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আরোও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে চীন দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতারা। চীন দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা শাহবাগে আটকে দেয় পুলিশ। পরে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলকে চীন দূতাবাসের দিকে নিয়ে যায় পুলিশ।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিশিষ্ট ভাস্কর শিল্পী রাশা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন ও সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ। চীনের রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি গ্রহণ করেন গুলশান ডিপ্লোমেটিক জোনের ডিসি আশরাফুল ইসলাম।