ফিলিস্তিনে ইসরাইলের চলমান গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের নিন্দা ও ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায্য অধিকারের প্রতি সংহতি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) বিকেলে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী আবিদ আল হাসানের পরিচালনায় এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের শতাধিক শিক্ষার্থী।
মানববন্ধনে আবিদ আল হাসান বলেন, ফিলিস্তিনের উদার জনগণ কর্তৃক অসহায় ইহুদীদের নিরাপদ আশ্রয় দেয়ার পর তাদেরই উপর এমন নির্মমতার ইতিহাস পৃথিবীতে আর খুব বেশি নেই। জন্ম থেকেই ইসরায়েল এক লুটেরা, আধিপত্যবাদী, জবরদখলকারী, খুনী, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। লাখো নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের রক্তে এদের হাত রঞ্জিত। এখন এরা নিজেদের সীমান্তকে একদিকে নীল নদ, অন্যদিকে জর্ডান নদী, আর আরেকদিকে ফোরাত নদী পর্যন্ত বিস্তৃত করার মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে।
ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূখণ্ডে রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের অভ্যুদয় ঘোষণার মাধ্যমে সেদিন সন্ত্রাসবাদের এক অন্যতম কেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছিল। সাত দশক পেরিয়েও এর সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আজও পূর্ণমাত্রায় চলমান। বরং সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো দিনেদিনে পেলেপুষে এদেরকে সন্ত্রাসের এক দুর্ভেদ্য কেন্দ্রভূমিতে পরিণত করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষে আমরা সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত ভাইবোনদের প্রতি সংহতি এবং বর্বর ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতি নিন্দা জানাচ্ছি।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, আজকের এই সংহতি সমাবেশ থেকে আমরা গাজায় রকেট হামলা এবং সহিংস দখল নীতির কারণে ইসরাইলকে বিশ্বের সকল দেশের অবরোধ আরোপ করার আহ্বান জানাই। তাছাড়া এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের নীতি নির্ধারণের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছি। উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত আমরা সকল অংশগ্রহণকারী ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি দাবি তুলছি যেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি আগ্রাসন মুক্ত করা হয়, ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর ইসরাইলি হামলা ও নির্যাতন বন্ধ করা হয়, সব ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্ত করা হয় এবং ইসরাইলের দখলমুক্ত করে মূল ভূখণ্ড সংযুক্ত করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করা হয়।
ইসরায়েলকে বিচার আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী শরীফ উদ্দিন বলেন, মসজিদুল আকসা কেবল ফিলিস্তিনি মুসলিমদের নয়,এটা সমস্ত মুসলিম জাহানের কলিজা,কেউ যখন আকসায় আঘাত করে তখন সে সকল মুসলিমের কলিজায় আঘাত করে।জাতিসংঘ, ওআইসি সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নিরবতাই বলে দিচ্ছে তাদের মদদেই আকসায় হামলা করা হয়েছে। অবিলম্বে ইজরায়েলের সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় এনে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ঘোষণা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের চলমান গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের নিন্দা ও ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায্য অধিকারের প্রতি সংহতি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) বিকেলে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী আবিদ আল হাসানের পরিচালনায় এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের শতাধিক শিক্ষার্থী।
মানববন্ধনে আবিদ আল হাসান বলেন, ফিলিস্তিনের উদার জনগণ কর্তৃক অসহায় ইহুদীদের নিরাপদ আশ্রয় দেয়ার পর তাদেরই উপর এমন নির্মমতার ইতিহাস পৃথিবীতে আর খুব বেশি নেই। জন্ম থেকেই ইসরায়েল এক লুটেরা, আধিপত্যবাদী, জবরদখলকারী, খুনী, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। লাখো নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের রক্তে এদের হাত রঞ্জিত। এখন এরা নিজেদের সীমান্তকে একদিকে নীল নদ, অন্যদিকে জর্ডান নদী, আর আরেকদিকে ফোরাত নদী পর্যন্ত বিস্তৃত করার মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে।
ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূখণ্ডে রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের অভ্যুদয় ঘোষণার মাধ্যমে সেদিন সন্ত্রাসবাদের এক অন্যতম কেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছিল। সাত দশক পেরিয়েও এর সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আজও পূর্ণমাত্রায় চলমান। বরং সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো দিনেদিনে পেলেপুষে এদেরকে সন্ত্রাসের এক দুর্ভেদ্য কেন্দ্রভূমিতে পরিণত করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষে আমরা সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত ভাইবোনদের প্রতি সংহতি এবং বর্বর ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতি নিন্দা জানাচ্ছি।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, আজকের এই সংহতি সমাবেশ থেকে আমরা গাজায় রকেট হামলা এবং সহিংস দখল নীতির কারণে ইসরাইলকে বিশ্বের সকল দেশের অবরোধ আরোপ করার আহ্বান জানাই। তাছাড়া এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের নীতি নির্ধারণের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছি। উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত আমরা সকল অংশগ্রহণকারী ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি দাবি তুলছি যেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি আগ্রাসন মুক্ত করা হয়, ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর ইসরাইলি হামলা ও নির্যাতন বন্ধ করা হয়, সব ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্ত করা হয় এবং ইসরাইলের দখলমুক্ত করে মূল ভূখণ্ড সংযুক্ত করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করা হয়।
ইসরায়েলকে বিচার আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী শরীফ উদ্দিন বলেন, মসজিদুল আকসা কেবল ফিলিস্তিনি মুসলিমদের নয়,এটা সমস্ত মুসলিম জাহানের কলিজা,কেউ যখন আকসায় আঘাত করে তখন সে সকল মুসলিমের কলিজায় আঘাত করে।জাতিসংঘ, ওআইসি সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নিরবতাই বলে দিচ্ছে তাদের মদদেই আকসায় হামলা করা হয়েছে। অবিলম্বে ইজরায়েলের সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় এনে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ঘোষণা করতে হবে।