স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবি মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (২৫মে) দুপুর সাড়ে তিনটায় সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ’ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল-ক্যাম্পাস খুলে দেয়াসহ চার দফা দাবি জানান। তাদের পেশকৃত অন্য দাবিগুলো হলো, অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে, ২৯মে’র পর ছুটি বৃদ্ধি করা যাবে না , বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভির আওতায় আনতে এবং নিয়মিত মনিটরিংএ রাখতে হবে।
মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ।
মানববন্ধনে ঢাবি সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা তাসনিম বলেন,’ করোনার দোহাই দিয়ে এত দীর্ঘতম সময় ধরে কোনো দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়নি। তাহলে কেন বাংলাদেশে এত সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হলো? স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি গার্মেন্টস কর্মীরা কাজ করতে পারে। এবং যদি তাদের একজন লোকও মারা না যেতে পারে, তাহলে কিভাবে শিক্ষার্থীরা মারা যাবে? আমি বলতে চাই,সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা আরো সচেতন। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করতে চাই। শিক্ষামন্ত্রী, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ও প্রক্টর মহোদয়ের কাছে এই রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি জানাচ্ছি, আপনারা অনতিবিলম্বে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিন। আপনারা যদি অনতিবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে না দিন,হাফিজুরের মত যত শিক্ষার্থীর লাশ পড়বে এর দায় আপনাদের নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ’আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে নজর দিন,শিক্ষার্থীদের দিকে নজর দিন। কোমলমতি শিশুরা ভিডিও গেমসে পাবজি থেকে শুরু করে কার্টুনের প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। পিতা মাতার অবাধ্য হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা শৃঙ্খলিত জীবন যাপন করতে, সেখান থেকে তারা পিছিয়ে যাচ্ছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী যারা তাদের সামর্থ্য নেই,স্মার্টফোন দ্বারা পরীক্ষা দেয়া। আপনারা এ কেমন স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। করোনাকালীন সময়ে অনলাইন ক্লাস করতে নেটওয়ার্কের জন্য শিক্ষার্থীরা গাছের মাথায় ওঠে দাঁড়িয়ে ছিলো। আমরা গাছে উঠে পরীক্ষা দিব? সম্ভব না। আমি একজন নারী শিক্ষার্থী হয়ে আমার সীমাবদ্ধতা থেকে বলতে চাই, আমাদের পক্ষে ঢাকা শহরে থাকা খাওয়াসহ অবস্থান করা সম্ভব না। আমি বলতে চাই,আমাদের হল খুলে পরীক্ষা নেয়ার ব্যাবস্থা করুন।’
বায়োমেট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী মোয়াজ্জম হোসেন বলেন,“দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। অনলাইন ক্লাসের নামে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসনমূলক আচরণ করেছে। অনলাইনে ক্লাস করতে ডিভাইস ও ডেটাপ্যাক দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে, তারা কথা রাখেনি। শিক্ষামন্ত্রী বার বার বন্ধের তারিখ পেছাচ্ছেন, কিন্তু দীর্ঘ ১৫ মাসেও শিক্ষামন্ত্রণালয় বা ইউজিসি মহামারীকালে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার কোনো নীতিমালা প্রণয় করতে পারেনি। এটা তাদের চরম ব্যর্থতার । অপরদিকে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জাতীয় সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে আছেন। তারা নিজেরাও একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারেনি। অথচ দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের সব কার্যক্রম রীতিমতো চালাচ্ছে। ’
মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১
স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবি মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (২৫মে) দুপুর সাড়ে তিনটায় সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ’ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল-ক্যাম্পাস খুলে দেয়াসহ চার দফা দাবি জানান। তাদের পেশকৃত অন্য দাবিগুলো হলো, অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে, ২৯মে’র পর ছুটি বৃদ্ধি করা যাবে না , বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভির আওতায় আনতে এবং নিয়মিত মনিটরিংএ রাখতে হবে।
মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ।
মানববন্ধনে ঢাবি সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা তাসনিম বলেন,’ করোনার দোহাই দিয়ে এত দীর্ঘতম সময় ধরে কোনো দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়নি। তাহলে কেন বাংলাদেশে এত সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হলো? স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি গার্মেন্টস কর্মীরা কাজ করতে পারে। এবং যদি তাদের একজন লোকও মারা না যেতে পারে, তাহলে কিভাবে শিক্ষার্থীরা মারা যাবে? আমি বলতে চাই,সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা আরো সচেতন। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করতে চাই। শিক্ষামন্ত্রী, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ও প্রক্টর মহোদয়ের কাছে এই রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি জানাচ্ছি, আপনারা অনতিবিলম্বে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিন। আপনারা যদি অনতিবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে না দিন,হাফিজুরের মত যত শিক্ষার্থীর লাশ পড়বে এর দায় আপনাদের নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ’আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে নজর দিন,শিক্ষার্থীদের দিকে নজর দিন। কোমলমতি শিশুরা ভিডিও গেমসে পাবজি থেকে শুরু করে কার্টুনের প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। পিতা মাতার অবাধ্য হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা শৃঙ্খলিত জীবন যাপন করতে, সেখান থেকে তারা পিছিয়ে যাচ্ছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী যারা তাদের সামর্থ্য নেই,স্মার্টফোন দ্বারা পরীক্ষা দেয়া। আপনারা এ কেমন স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। করোনাকালীন সময়ে অনলাইন ক্লাস করতে নেটওয়ার্কের জন্য শিক্ষার্থীরা গাছের মাথায় ওঠে দাঁড়িয়ে ছিলো। আমরা গাছে উঠে পরীক্ষা দিব? সম্ভব না। আমি একজন নারী শিক্ষার্থী হয়ে আমার সীমাবদ্ধতা থেকে বলতে চাই, আমাদের পক্ষে ঢাকা শহরে থাকা খাওয়াসহ অবস্থান করা সম্ভব না। আমি বলতে চাই,আমাদের হল খুলে পরীক্ষা নেয়ার ব্যাবস্থা করুন।’
বায়োমেট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী মোয়াজ্জম হোসেন বলেন,“দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। অনলাইন ক্লাসের নামে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসনমূলক আচরণ করেছে। অনলাইনে ক্লাস করতে ডিভাইস ও ডেটাপ্যাক দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে, তারা কথা রাখেনি। শিক্ষামন্ত্রী বার বার বন্ধের তারিখ পেছাচ্ছেন, কিন্তু দীর্ঘ ১৫ মাসেও শিক্ষামন্ত্রণালয় বা ইউজিসি মহামারীকালে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার কোনো নীতিমালা প্রণয় করতে পারেনি। এটা তাদের চরম ব্যর্থতার । অপরদিকে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জাতীয় সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে আছেন। তারা নিজেরাও একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারেনি। অথচ দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের সব কার্যক্রম রীতিমতো চালাচ্ছে। ’