আন্তর্জাতিক ফেরি নকশা প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশের একদল শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরমেবি) চারজন শিক্ষার্থী নিয়ে গঠিত একটি দল এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানান, “ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ডিজাইন কমপিটিশন ফর এ সেফ এন্ড এফোডেবল ফেরি ২০২১”এ বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। গত ১৫ জুলাই ওয়ার্ল্ড ফেরি সেফটি এ্যাসোসিয়েশন ৮ম আর্ন্তজাতিক স্টুডেন্ট ডিজাইন প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করে।
আর্ন্তজাতিক ডিজাইন প্রতিযোগিতার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে, নিরাপদ এবং সহজলভ্য ফেরির নকশা করা যেন দুর্ঘটনা হ্রাস পায়। এবার শিক্ষার্থীদের ৩০০ যাএীবাহী রোপ্যাক্স ফেরির নকশা করতে বলা হয়। একই সঙ্গে ছোট আকারের গাড়ি, মোটরসাইকেল ,বাইসাইকেল এবং কৃষিজ পণ্য পরিবহন করবে। তৈরিকৃত ফেরির নকশা টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব; এতে সোলার প্যানেল, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা, হাইব্রিড প্রোপাইলশন সিস্টেম, হাইড্রোফয়েল ব্যবহার করা হয়েছে। হাইড্রোফয়েলের কারণে নৌযানটির ড্রাফট কমানো সম্ভব হয়, যার কারণে ফুয়েল(জ্বালানী)খরচ কম হয়। নৌযানটিতে মেরিন লিডার ব্যবহার করা হয়েছে যা নদীর নাব্যতা এবং নদীতে থাকা শনাক্ত করতে পারবে।
প্রতিযোগীদের দলনেতা হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী রৌনক সাহা নিলয়। দলের অন্যান সদ্যসরা হচ্ছেন পরমা রায় চৌধুরী (স্নাতক শিক্ষার্থী , লেভেল ৪-টার্ম ১,নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বুয়েট), মোহাম্মদ আবরার উদ্দিন(স্নাতক শিক্ষার্থী, তৃতীয় বর্ষ, নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বুয়েট)এবং শরিফুল ইসলাম (স্নাতক শিক্ষার্থী, তৃতীয় বর্ষ, নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়)। দলটিতে ফ্যাকালটি এডভাইজার ছিলেন ড. জোবায়ের ইবনে আউয়াল( সহযোগী অধ্যাপক,নেভাল আর্কিটটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ,বুয়েট) এবং ড.মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান (সহকারী অধ্যাপক এবং ডিগ্রি প্রোগ্রাম পরিচালক , নিউক্যালাস ইউনির্ভাসিটি, সিঙ্গাপুর ক্যাম্পাস)।
অতিরিক্ত যাত্রীবহনের কারণে ১৯৮১ সালে একটি নৌদুর্ঘটনা ঘটে। যা পৃথিবীর ইতিহাসে সবর্যাল স্যান্তস ২(১৯৮১) নামে পরিচিত। আরেকটি ঐতিহাসিক ট্রাজেডি হলো, হেরাল্ড অফ ফ্রি এন্টারপ্রাইজ (১৯৮৭)। এসব ট্রাজেডির কথা মাথায় রেখে আধুনিক এ ফেরিগুলো নকশা করা হয়।
মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট ২০২১
আন্তর্জাতিক ফেরি নকশা প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশের একদল শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরমেবি) চারজন শিক্ষার্থী নিয়ে গঠিত একটি দল এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানান, “ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ডিজাইন কমপিটিশন ফর এ সেফ এন্ড এফোডেবল ফেরি ২০২১”এ বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। গত ১৫ জুলাই ওয়ার্ল্ড ফেরি সেফটি এ্যাসোসিয়েশন ৮ম আর্ন্তজাতিক স্টুডেন্ট ডিজাইন প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করে।
আর্ন্তজাতিক ডিজাইন প্রতিযোগিতার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে, নিরাপদ এবং সহজলভ্য ফেরির নকশা করা যেন দুর্ঘটনা হ্রাস পায়। এবার শিক্ষার্থীদের ৩০০ যাএীবাহী রোপ্যাক্স ফেরির নকশা করতে বলা হয়। একই সঙ্গে ছোট আকারের গাড়ি, মোটরসাইকেল ,বাইসাইকেল এবং কৃষিজ পণ্য পরিবহন করবে। তৈরিকৃত ফেরির নকশা টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব; এতে সোলার প্যানেল, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা, হাইব্রিড প্রোপাইলশন সিস্টেম, হাইড্রোফয়েল ব্যবহার করা হয়েছে। হাইড্রোফয়েলের কারণে নৌযানটির ড্রাফট কমানো সম্ভব হয়, যার কারণে ফুয়েল(জ্বালানী)খরচ কম হয়। নৌযানটিতে মেরিন লিডার ব্যবহার করা হয়েছে যা নদীর নাব্যতা এবং নদীতে থাকা শনাক্ত করতে পারবে।
প্রতিযোগীদের দলনেতা হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী রৌনক সাহা নিলয়। দলের অন্যান সদ্যসরা হচ্ছেন পরমা রায় চৌধুরী (স্নাতক শিক্ষার্থী , লেভেল ৪-টার্ম ১,নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বুয়েট), মোহাম্মদ আবরার উদ্দিন(স্নাতক শিক্ষার্থী, তৃতীয় বর্ষ, নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বুয়েট)এবং শরিফুল ইসলাম (স্নাতক শিক্ষার্থী, তৃতীয় বর্ষ, নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়)। দলটিতে ফ্যাকালটি এডভাইজার ছিলেন ড. জোবায়ের ইবনে আউয়াল( সহযোগী অধ্যাপক,নেভাল আর্কিটটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ,বুয়েট) এবং ড.মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান (সহকারী অধ্যাপক এবং ডিগ্রি প্রোগ্রাম পরিচালক , নিউক্যালাস ইউনির্ভাসিটি, সিঙ্গাপুর ক্যাম্পাস)।
অতিরিক্ত যাত্রীবহনের কারণে ১৯৮১ সালে একটি নৌদুর্ঘটনা ঘটে। যা পৃথিবীর ইতিহাসে সবর্যাল স্যান্তস ২(১৯৮১) নামে পরিচিত। আরেকটি ঐতিহাসিক ট্রাজেডি হলো, হেরাল্ড অফ ফ্রি এন্টারপ্রাইজ (১৯৮৭)। এসব ট্রাজেডির কথা মাথায় রেখে আধুনিক এ ফেরিগুলো নকশা করা হয়।