প্রায় ১৮ মাস পর খুলে দেয়া হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলসমূহ। দীর্ঘদিন বন্ধের কারণে অনেকের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে এবং কেউ কেউ কর্মের সন্ধান পেয়েছে। ফলে হলগুলোর অনেক রুম খালি হয়েছে। আর এ সব রুম দখলকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ কন্দলে দেখা দিয়েছে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের গ্রুপগুলোর মধ্যে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইতোমধ্যে ঢাবির ১৮টি হলের মধ্যে সবকটি হলে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছেন। আসন্ন সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে হলগুলোতে পদপ্রত্যাশী ছাত্র নেতারা। সংগঠন ও হলে নিজ নিজ গ্রুপের অবস্থান পোক্ত করতে সদলবলে মরিয়া হয়ে উঠেছে গ্রুপগুলো। ফলে রুম দখলসহ নানাবিধ কারণে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে রুম দখলের অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হলের দ্বিতীয় তলার ৭৯ নম্বর রুমে একটি গ্রুপের এক কর্মীকে তুলতে গেলে অপর পক্ষের কর্মীরা এতে বাধা দেয়। পরে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা হলে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দেয়।
গত শনিবার কবি জসীমউদ্দিন হলের ৪২৯ নম্বর রুমের একটি সিট দখলকে কেন্দ্র করে কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ঢাবি শাখা সাধারন সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারীরা।
শুধু এস এম হল ও জসিম উদ্দিন হল নয়; মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, বিজয় একাত্তর হল, মাষ্টার দা’ সূর্য যেন হল, হাজী মুহাম্মদ মুহসিন হল, সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, স্যার এ এফ রহমান হলসহ প্রায় প্রতিটি হলে এরকম ছোটখাটো ঘটনা এখন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই হলগুলোতে রুম দখল নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপকে মহড়া দিতে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে এ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা থেকে যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় হলগুলোতে ক্ষমতা বন্টনে সমস্যা হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত সময়ের মধ্যে হল কমিটি দিয়ে দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা আমাদের কাম্য নয়। হলে সিট বণ্টনের বিষয়টি সম্পূর্ণ হল প্রশাসনের বিষয়, ছাত্র সংগঠনের বিষয় নয়। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যেসব শিক্ষার্থী এসেছে তারা যেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হলে সিট পায় সেজন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানাই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় সাথে ছাত্র সংগঠনগুলোর কোনো সম্পর্ক নেই।
দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ার কারণে নির্দিষ্ট নেতৃত্বের অভাবে কর্মীরা ক্রোন্দলে জড়াচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাদ্দাম বলেন, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। কমিটিগুলো না হওয়ায় একটা নেতৃত্বশূণ্যতা তৈরি হয়েছে, এটা ঠিক। দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাস খুলেছে। আমরা কমিটি গঠনের কাজ অনেক দূর এগিয়ে এনেছি। আশা করছি, কমিটিগুলো হলেই হলগুলো সাংগঠনিকভাবে আরো সুসৃঙ্খল হবে।
রোববার, ১০ অক্টোবর ২০২১
প্রায় ১৮ মাস পর খুলে দেয়া হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলসমূহ। দীর্ঘদিন বন্ধের কারণে অনেকের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে এবং কেউ কেউ কর্মের সন্ধান পেয়েছে। ফলে হলগুলোর অনেক রুম খালি হয়েছে। আর এ সব রুম দখলকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ কন্দলে দেখা দিয়েছে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের গ্রুপগুলোর মধ্যে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইতোমধ্যে ঢাবির ১৮টি হলের মধ্যে সবকটি হলে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছেন। আসন্ন সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে হলগুলোতে পদপ্রত্যাশী ছাত্র নেতারা। সংগঠন ও হলে নিজ নিজ গ্রুপের অবস্থান পোক্ত করতে সদলবলে মরিয়া হয়ে উঠেছে গ্রুপগুলো। ফলে রুম দখলসহ নানাবিধ কারণে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে রুম দখলের অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হলের দ্বিতীয় তলার ৭৯ নম্বর রুমে একটি গ্রুপের এক কর্মীকে তুলতে গেলে অপর পক্ষের কর্মীরা এতে বাধা দেয়। পরে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা হলে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দেয়।
গত শনিবার কবি জসীমউদ্দিন হলের ৪২৯ নম্বর রুমের একটি সিট দখলকে কেন্দ্র করে কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ঢাবি শাখা সাধারন সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারীরা।
শুধু এস এম হল ও জসিম উদ্দিন হল নয়; মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, বিজয় একাত্তর হল, মাষ্টার দা’ সূর্য যেন হল, হাজী মুহাম্মদ মুহসিন হল, সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, স্যার এ এফ রহমান হলসহ প্রায় প্রতিটি হলে এরকম ছোটখাটো ঘটনা এখন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই হলগুলোতে রুম দখল নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপকে মহড়া দিতে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে এ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা থেকে যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় হলগুলোতে ক্ষমতা বন্টনে সমস্যা হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত সময়ের মধ্যে হল কমিটি দিয়ে দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা আমাদের কাম্য নয়। হলে সিট বণ্টনের বিষয়টি সম্পূর্ণ হল প্রশাসনের বিষয়, ছাত্র সংগঠনের বিষয় নয়। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যেসব শিক্ষার্থী এসেছে তারা যেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হলে সিট পায় সেজন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানাই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় সাথে ছাত্র সংগঠনগুলোর কোনো সম্পর্ক নেই।
দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ার কারণে নির্দিষ্ট নেতৃত্বের অভাবে কর্মীরা ক্রোন্দলে জড়াচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাদ্দাম বলেন, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। কমিটিগুলো না হওয়ায় একটা নেতৃত্বশূণ্যতা তৈরি হয়েছে, এটা ঠিক। দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাস খুলেছে। আমরা কমিটি গঠনের কাজ অনেক দূর এগিয়ে এনেছি। আশা করছি, কমিটিগুলো হলেই হলগুলো সাংগঠনিকভাবে আরো সুসৃঙ্খল হবে।