চট্রগ্রামে এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩৫ জন মারা গেছে এবং ৯ হাজার ৮০৭ জন সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছে। এ মাসে সুস্থ হয়ে সনদ নিয়েছেন ২ হাজার ৩৭০ জন।
এপ্রিলের হিসেব বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই এক মাসে ১৩৫ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দৈনিক গড় মৃত্যু হার চার দশমিক ৫০ জন। গত বছরের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর এক বছরের মধ্যে গত মাসেই সবচেয়ে বেশি করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। এ সময়ে সর্বোচ্চ ১১ জনের মৃত্যু হয় ২৪ এপ্রিল। এদিন ১৭১ জন আক্রান্ত ধরা পড়ে, সংক্রমণ হার ১২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ জনের মৃত্যু হয় ১০ এপ্রিল। এদিন ২২৮ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন, সংক্রমণ হার ১২ দশমিক ২১ শতাংশ। ৩০ দিনের মধ্যে মাত্র ৩ দিন ২, ১৪ ও ২৫ এপ্রিল ছিল মৃত্যুশূন্য দিন।
শনিবার (১ মে) সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, ‘করোনার প্রকোপ শুরুর পর থেকে এ মাসটির চিত্র অপেক্ষাকৃত বেশি খারাপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন ধরণের করোনাভাইরাসটি খুব দ্রুতই আক্রান্ত ব্যক্তিকে কাবু করে ফেলে। আগে থেকে অন্যান্য কোনো জটিলতা থাকলে এবং রোগীর বয়স বেশি হলে অবস্থার দ্রুতই অবনতি ঘটে। এ সময় যথাসময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া না হলে রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে।’
হিসেবে দেখা যায়, এপ্রিল মাসে ৯ হাজার ৮০৭ জন নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যা অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। দৈনিক গড় ৩২৬ দশমিক ৯০ জন। এর মধ্যে করোনাকালের সর্বোচ্চ ৫৪১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন ১১ এপ্রিল।
সংক্রমণ হার ২০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এদিন ৭ রোগীরও মৃত্যু হয়। সংক্রমিতের সংখ্যা পাঁচশ’ অতিক্রম করেছিল আরো একদিন। ৯ এপ্রিল ৫২৩ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে এবং ৫ জনের মৃত্যু হয়। সংক্রমণ হার ১৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। সংক্রমণের সর্বোচ্চ হার ওঠেছিল ১৬ এপ্রিল, ২৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সংখ্যার বিচারে সর্বনিম্ন সংক্রমণ ঘটে ২৪ এপ্রিল, ১৭১ জন। সংক্রমণে মাসের সর্বনি¤œ হার ছিল গতকাল ৩০ এপ্রিল, ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এপ্রিলে সংক্রমণ হারের দৈনিক গড় ১৮ দশমিক ২২ শতাংশ।
হঠাৎ করে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘দ্বিতীয় ঢেউয়ের এ সময়ে সারাদেশেই রোগী বেড়েছে। তবে স্বাভাবিক ধারার পাশাপাশি চট্টগ্রামে বৃদ্ধির আরো কিছু কারণ রয়েছে। এর অন্যতম হচ্ছে, বিয়েসহ সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অত্যধিক লোকের উপস্থিতি। গত জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিযোগিতা দিয়ে এসব অনুষ্ঠান হয়েছে। অধিকাংশ আয়োজকই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের ধার ধারেননি। ফলে সংক্রমণ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৭০ জন। এদের অধিকাংশই বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠেন। এপ্রিলে সুস্থতার দৈনিক গড় ৭৯ জন।
শনিবার, ০১ মে ২০২১
চট্রগ্রামে এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩৫ জন মারা গেছে এবং ৯ হাজার ৮০৭ জন সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছে। এ মাসে সুস্থ হয়ে সনদ নিয়েছেন ২ হাজার ৩৭০ জন।
এপ্রিলের হিসেব বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই এক মাসে ১৩৫ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দৈনিক গড় মৃত্যু হার চার দশমিক ৫০ জন। গত বছরের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর এক বছরের মধ্যে গত মাসেই সবচেয়ে বেশি করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। এ সময়ে সর্বোচ্চ ১১ জনের মৃত্যু হয় ২৪ এপ্রিল। এদিন ১৭১ জন আক্রান্ত ধরা পড়ে, সংক্রমণ হার ১২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ জনের মৃত্যু হয় ১০ এপ্রিল। এদিন ২২৮ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন, সংক্রমণ হার ১২ দশমিক ২১ শতাংশ। ৩০ দিনের মধ্যে মাত্র ৩ দিন ২, ১৪ ও ২৫ এপ্রিল ছিল মৃত্যুশূন্য দিন।
শনিবার (১ মে) সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, ‘করোনার প্রকোপ শুরুর পর থেকে এ মাসটির চিত্র অপেক্ষাকৃত বেশি খারাপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন ধরণের করোনাভাইরাসটি খুব দ্রুতই আক্রান্ত ব্যক্তিকে কাবু করে ফেলে। আগে থেকে অন্যান্য কোনো জটিলতা থাকলে এবং রোগীর বয়স বেশি হলে অবস্থার দ্রুতই অবনতি ঘটে। এ সময় যথাসময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া না হলে রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে।’
হিসেবে দেখা যায়, এপ্রিল মাসে ৯ হাজার ৮০৭ জন নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যা অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। দৈনিক গড় ৩২৬ দশমিক ৯০ জন। এর মধ্যে করোনাকালের সর্বোচ্চ ৫৪১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন ১১ এপ্রিল।
সংক্রমণ হার ২০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এদিন ৭ রোগীরও মৃত্যু হয়। সংক্রমিতের সংখ্যা পাঁচশ’ অতিক্রম করেছিল আরো একদিন। ৯ এপ্রিল ৫২৩ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে এবং ৫ জনের মৃত্যু হয়। সংক্রমণ হার ১৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। সংক্রমণের সর্বোচ্চ হার ওঠেছিল ১৬ এপ্রিল, ২৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সংখ্যার বিচারে সর্বনিম্ন সংক্রমণ ঘটে ২৪ এপ্রিল, ১৭১ জন। সংক্রমণে মাসের সর্বনি¤œ হার ছিল গতকাল ৩০ এপ্রিল, ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এপ্রিলে সংক্রমণ হারের দৈনিক গড় ১৮ দশমিক ২২ শতাংশ।
হঠাৎ করে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘দ্বিতীয় ঢেউয়ের এ সময়ে সারাদেশেই রোগী বেড়েছে। তবে স্বাভাবিক ধারার পাশাপাশি চট্টগ্রামে বৃদ্ধির আরো কিছু কারণ রয়েছে। এর অন্যতম হচ্ছে, বিয়েসহ সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অত্যধিক লোকের উপস্থিতি। গত জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিযোগিতা দিয়ে এসব অনুষ্ঠান হয়েছে। অধিকাংশ আয়োজকই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের ধার ধারেননি। ফলে সংক্রমণ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৭০ জন। এদের অধিকাংশই বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠেন। এপ্রিলে সুস্থতার দৈনিক গড় ৭৯ জন।