সেই রাতে মসজিদের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন পোশাক কারখানার শ্রমিক মো. মামুন। হঠাৎ মসজিদের ভেতর থেকে উত্তপ্ত হাওয়ার সাথে আগুনের লেলিহান শিখা বেরিয়ে আসে। ওই আগুনে দগ্ধ হন মামুন। ঘটনার এক বছর পেরিয়েছে। কিন্তু সেই দুর্ঘটনার দুর্বিষহ ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন এখনও। গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের তল্লায় মসজিদে গ্যাস বিস্ফোরণে মামুনের শরীরের ১৫ ভাগ পুড়ে যায়।
ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মামুন বলেন, ‘বাঁইচা ফিরমু ভাবি নাই। কিছুটা সুস্থ হয়ে যখন বাসায় আসি তখনও শুনি যে, ২৭ জন মারা গেছে। পরে আরও ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাই। আল্লাহ চাইলে আমারেও নিয়া যাইতে পারতো।’
পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদের অদূরেই একটি ভাড়াবাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন মামুন। নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র কিনতে দোকানের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন মসজিদের পাশের দোকানে সদাই কিনতে গিয়ে বিকট আওয়াজ শুনি। সাথে সাথে দোকানের ভিতর ঢুকে পড়ি। তাতেও কাজ হয়নি। আগুনে আমার বাম হাত, পা আর ডান দিকের কানের কিছু অংশ পুড়ে যায়। পরে লোকজনরা ধরাধরি করে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
মসজিদের ওই দুর্ঘটনার দীর্ঘসময় পর আবারও স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ শুরু করেন। আহত মামুন এখন ভারী কোনো কাজ করতে পারেন না। হাতের বোধশক্তিও আগের থেকে কমে গেছে বলে জানান। মামুন বলেন, ‘বেশি কাজ করতে গেলেই মাথা আর কানে যন্ত্রণা করে। যন্ত্রণা বাড়লে বাসায় থাকি। সব মিলাইয়া দেখা যায় যে মাসের ১০-১২ দিন ডিউটি করি।’
মসজিদ বিস্ফোরণের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারি তহবিল থেকে হতাহত ৩৫ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়। তবে অনুদান পেতে বেগ পোহাতে হয়েছে মামুনের পরিবারকে। এ বিষয়ে মামুন বলেন, ‘প্রথমে আমার মৃত বাবার নামে টাকা আসে। যার কারণে আমি পাই নাই। তারপর ডিসি অফিসে গিয়ে দরখাস্ত দেয়ার ৩ মাস পর আমার নামে টাকা পাই।’
মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে মামুন বলেন, ‘এক বছর হইলেও এখনও এই ঘটনার কোনো বিচার হয় নাই। বিচার হইলে মানুষ একটু সাবধান থাকতো। যাতে করে আর এভাবে এতগুলা প্রাণ না হারানো লাগে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর রাতে পৌনে নয়টার দিকে বিকট শব্দে মসজিদের ভেতর বিস্ফোরণ ঘটে। তদন্তে জানা যায়, তিতাসের পাইপ লাইনের লিকেজ থেকে মসজিদের ভেতর জমে থাকা গ্যাসের কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে প্রাণ হারান ৩৪ জন। আহত হন আরও কয়েকজন। এই ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র দায়ের করা হলেও তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আসামি করার বিষয়ে অনাপত্তিপত্র না পাওয়ায় বিচারকাজ শুরু হয়নি।’
মঙ্গলবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
সেই রাতে মসজিদের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন পোশাক কারখানার শ্রমিক মো. মামুন। হঠাৎ মসজিদের ভেতর থেকে উত্তপ্ত হাওয়ার সাথে আগুনের লেলিহান শিখা বেরিয়ে আসে। ওই আগুনে দগ্ধ হন মামুন। ঘটনার এক বছর পেরিয়েছে। কিন্তু সেই দুর্ঘটনার দুর্বিষহ ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন এখনও। গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের তল্লায় মসজিদে গ্যাস বিস্ফোরণে মামুনের শরীরের ১৫ ভাগ পুড়ে যায়।
ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মামুন বলেন, ‘বাঁইচা ফিরমু ভাবি নাই। কিছুটা সুস্থ হয়ে যখন বাসায় আসি তখনও শুনি যে, ২৭ জন মারা গেছে। পরে আরও ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাই। আল্লাহ চাইলে আমারেও নিয়া যাইতে পারতো।’
পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদের অদূরেই একটি ভাড়াবাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন মামুন। নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র কিনতে দোকানের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন মসজিদের পাশের দোকানে সদাই কিনতে গিয়ে বিকট আওয়াজ শুনি। সাথে সাথে দোকানের ভিতর ঢুকে পড়ি। তাতেও কাজ হয়নি। আগুনে আমার বাম হাত, পা আর ডান দিকের কানের কিছু অংশ পুড়ে যায়। পরে লোকজনরা ধরাধরি করে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
মসজিদের ওই দুর্ঘটনার দীর্ঘসময় পর আবারও স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ শুরু করেন। আহত মামুন এখন ভারী কোনো কাজ করতে পারেন না। হাতের বোধশক্তিও আগের থেকে কমে গেছে বলে জানান। মামুন বলেন, ‘বেশি কাজ করতে গেলেই মাথা আর কানে যন্ত্রণা করে। যন্ত্রণা বাড়লে বাসায় থাকি। সব মিলাইয়া দেখা যায় যে মাসের ১০-১২ দিন ডিউটি করি।’
মসজিদ বিস্ফোরণের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারি তহবিল থেকে হতাহত ৩৫ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়। তবে অনুদান পেতে বেগ পোহাতে হয়েছে মামুনের পরিবারকে। এ বিষয়ে মামুন বলেন, ‘প্রথমে আমার মৃত বাবার নামে টাকা আসে। যার কারণে আমি পাই নাই। তারপর ডিসি অফিসে গিয়ে দরখাস্ত দেয়ার ৩ মাস পর আমার নামে টাকা পাই।’
মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে মামুন বলেন, ‘এক বছর হইলেও এখনও এই ঘটনার কোনো বিচার হয় নাই। বিচার হইলে মানুষ একটু সাবধান থাকতো। যাতে করে আর এভাবে এতগুলা প্রাণ না হারানো লাগে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর রাতে পৌনে নয়টার দিকে বিকট শব্দে মসজিদের ভেতর বিস্ফোরণ ঘটে। তদন্তে জানা যায়, তিতাসের পাইপ লাইনের লিকেজ থেকে মসজিদের ভেতর জমে থাকা গ্যাসের কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে প্রাণ হারান ৩৪ জন। আহত হন আরও কয়েকজন। এই ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র দায়ের করা হলেও তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আসামি করার বিষয়ে অনাপত্তিপত্র না পাওয়ায় বিচারকাজ শুরু হয়নি।’