রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের পাটগ্রাম গ্রামে এক গৃহবধুকে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষন করেছে চার নরপশু। অঞ্জান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ চার ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানার ওসি সওেরশ চন্দ্র বর্ম্মন।

পুলিশ ও ভিকটিমের স্বজনরা জানিয়েছে পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের পাটগ্রাম গ্রামের গৃহবধুর স্বামী হাসান তারেকের সাথে একই গ্রামের রনি নামে যুবকের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই সুযোগে রনি তাদের বাড়িতে যাতয়াত করতো। এ সময় হাসান তারেকের স্ত্রীর উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে রনির। গত ২৩ মে স্বামী হাসান তারেক বাড়িতে না থাকার সুযোগে বাসায় গিয়ে গৃহবধুকে জোর পুর্ব্বক ধর্ষন করে। পরের দিন আবারো রনি ওই গৃহবধুকে বাড়ির অদুরে আমবাগানে দেখা করতে বলে না হলে পুরো বিষয় এলাকায় জানিয়ে দেবে বলে হুমকি দেয়। গৃহবধু পরের দিন ২৪ মে রনির কথা মতো বাড়ির অদুরে আম বাগানের কাছে গেলে রনি তার অপর তিন বন্ধু আল আমিন , মামুন ও আফসারুল মিলে তাকে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষন করে। এ ঘটনায় গৃহবধু অঞ্জান হয়ে পড়ে যায়। অবেশেষে আশে পার্শ্বের লোকজন গিয়ে গৃহবধুকে অঞ্জান অবস্থায় উদ্ধার করে পীরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। ঞ্জান ফেরার পর পুরো ঘটনা তার স্বামী ও স্বজনদের জানায়। এদিকে ধর্ষকরা এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে হত্যা করার হুমকি দেয়। পরে ভিকটিমের স্বামী হাসান তারেক এলাকাবাসির সহায়তায় পীরগঞ্জ থানায় জানায় এবং নিজে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।

এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার ওসি সরেস চন্দ্র বর্ম্মনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান দলবদ্ধ ধর্ষনের অভিযোগে ভিকটিমের স্বামী হাসান তারেক বাদী হয়ে বুধবার রাতে পীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করার পর পুলিশ চার ধর্ষককেই বৃহসপতিবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। আসামীরা প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে ধর্ষনের কথা স্বীকার করেছে।

ওসি জানান ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। কাল শনিবার তার মেডিকেল পলক্ষিা করানো হবে।

এদিকে চার ধর্ষক আসামীদের শুক্রবার দুপুরে আদালতে চালান দেয়া হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বলে কোর্ট সিএসআই মনোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেছেন।