একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তারের হয়ে জেল খাটা নিরপরাধ মিনুকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রকৃত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মিনুর জেল খাটার ঘটনায় তিন আইনজীবীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। এই তিন আইনজীবী হলেন, চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এম এ নাসের, অ্যাডভোকেট নুরুল আনোয়ার ও অ্যাডভোকেট বিবেকানন্দ চৌধুরী।
সোমবার (৭ জুন) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে মিনুর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আদালত তিন আইনজীবীকে আগামী ২৮ জুন হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যাখ্যাসহ জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এর আগে চট্টগ্রামের এ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তারের হয়ে জেল খাটা মিনুর বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী শিশির মনির।
গত ২৪ মার্চ এ ঘটনায় মিনুর নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়।
শুনানিতে নিরপরাধ মিনুর পুরো ঘটনা তুলে ধরেন আইনজীবী শিশির মনির। তিনি বলেন, বিগত দুই বছরে আমাদের দেশে এমন ২৬টি ঘটনা ঘটেছে। একজনের নামে আরেকজন জেলে থাকে। তিনি বলেন, আসল আসামি শনাক্তে অনেক পদ্ধতি আছে। এ বিষয়ে আমি আরও লিখিতভাবে আদালতকে জানাব।
মিনুর ঘটনার পেছনে একটি চক্র কাজ করছে সেটি তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা দাবি করেন এই আইনজীবী। আদালত বলেন, আমরা মনে করি এভাবে যদি রিয়েল (আসল) কালপ্রিট (দোষী) অর্থের বিনিময়ে হোক, অথবা বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে নিজেকে বাঁচিয়ে অন্য নিরপরাধ লোককে জেলের মধ্যে আটক রাখে সেটা দুর্ভাগ্যজনক।
জানা যায়, মোবাইল ফোন নিয়ে বিবাদের জের ধরে ২০০৬ সালের ৯ জুলাই নগরীর রহমতগঞ্জ এলাকায় পোশাক কারখানার কর্মী কোহিনুর বেগম খুন হন। ওই ঘটনায় হওয়া মামলায় ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার উপজেলার গৌরস্থান মাঝেরপাড়া গ্রামের আনু মিয়ার মেয়ে কুলসুমীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বামীর নাম ছালেহ আহমদ। তিনি স্বামীর সঙ্গে কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জে সাঈদ ডাক্তারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পান কুলসুমী। পরবর্তীতে এ মামলায় বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত এক রায়ে কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেন। রায়ের দিন কুলসুমী আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তাঁকে পলাতক দেখিয়ে রায় ঘোষণা করা হয়।
এর পর ভাসমান বস্তিতে মিনুকে পান কুলসুমী। মিনুর স্বামী ঠেলাগাড়ি চালক বাবুল সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর তিন সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামে ভাসমান বস্তিতে থাকতেন। মিনুর বাড়ি সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর জাফারাবাদ এলাকায়। তাঁর পিতার নাম সোলাইমান ও মা সালেহ বেগম, স্বামী মোহাম্মদ বাবুল। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার ময়নামতিতে।
মিনুর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে ইয়াছিন (১২)। সে একটি দোকানের কর্মচারী। আরেকজন গোলাম হোসেন (৭) হেফজখানায় পড়ছে। ছোট মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে (৫) দত্তক দেওয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মিনু ও তাঁর সন্তানদের ভরণপোষণ দেওয়ার প্রস্তাব দেন কুলসুমী। বিনিময়ে একদিন আদালতে হাজির হতে হবে বলে জানানো হয় মিনুকে। আদালতে হাজির হলে তাঁর জামিনও করিয়ে আনবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
মিনু কুলসুমীর কথায় রাজি হয়ে কুলসুমী সেজে ২০১৮ সালের ১২ জুন চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে মিনু কারাবন্দি। এরপর নিম্ন আদালতের সাজার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন কুলসুমী। একারণে ওই বছরের ১২ জুন মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ওই মামলাটি হাইকোর্টে বিচারাধীন।
জানা যায়, মিনু কারাগারে যাওয়ার পর প্রথম প্রথম কয়েকমাস মিনুর সন্তানদের ভরণপোষণ দিলেও কয়েক মাস যেতে না যেতেই মিনুর পরিবারের খোঁজ নেওয়া বন্ধ করে দেন কুলসুমী। ওদিকে মিনুর দীর্ঘ হতে থাকে কারা জীবন। মিনুর আর খোঁজ নেননি কুলসুমী।
এ অবস্থায় মিনু পুরো ঘটনা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে ফাঁস করে দেন। প্রথম প্রথম কেউ তাঁর কথা না শুনলেও গত ১৮ মার্চ কুলসুমীর পরিবর্তে মিনুর কারাভোগের বিষয়টি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খানের নজরে আসে। এরপর তিনি বিষয়টি নিজে অনুসন্ধান করেন। চট্টগ্রাম কারাগারে থাকা নথিতে কুলসুমীর ছবির সঙ্গে মিনুর ছবির মিল খুঁজে পায় না কারা কর্তৃপক্ষ।
গত ২১ মার্চ সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান রায় প্রদানকারী চট্টগ্রামের আদালতের নজরে আনেন বিষয়টি। এরপর মিনুকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হলে পরদিন ২২ মার্চ কারাগার থেকে মিনুকে আদালতে হাজির করা হয়। মিনু হাজির হয়ে আদালতকে বলেন, ‘তিন বছর আগে মর্জিনা নামের একজন মহিলা ডাল-চাল দেবেন বলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে জেলে ঢুকায় দেয়। আমি তখন ভাসমান বস্তিতে নিজের ঘরে ছিলাম।’
চট্টগামের আদালত মিনুর ঘটনা লিপিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য একটি নথি গত ২৩ মার্চ হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন হাইকোর্টে। পরদিন ২৪ মার্চ নথি হাইকোর্টে পৌঁছে যায়। এ অবস্থায় গত ৩১ মার্চ বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
সোমবার, ০৭ জুন ২০২১
একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তারের হয়ে জেল খাটা নিরপরাধ মিনুকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রকৃত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মিনুর জেল খাটার ঘটনায় তিন আইনজীবীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। এই তিন আইনজীবী হলেন, চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এম এ নাসের, অ্যাডভোকেট নুরুল আনোয়ার ও অ্যাডভোকেট বিবেকানন্দ চৌধুরী।
সোমবার (৭ জুন) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে মিনুর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আদালত তিন আইনজীবীকে আগামী ২৮ জুন হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যাখ্যাসহ জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এর আগে চট্টগ্রামের এ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তারের হয়ে জেল খাটা মিনুর বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী শিশির মনির।
গত ২৪ মার্চ এ ঘটনায় মিনুর নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়।
শুনানিতে নিরপরাধ মিনুর পুরো ঘটনা তুলে ধরেন আইনজীবী শিশির মনির। তিনি বলেন, বিগত দুই বছরে আমাদের দেশে এমন ২৬টি ঘটনা ঘটেছে। একজনের নামে আরেকজন জেলে থাকে। তিনি বলেন, আসল আসামি শনাক্তে অনেক পদ্ধতি আছে। এ বিষয়ে আমি আরও লিখিতভাবে আদালতকে জানাব।
মিনুর ঘটনার পেছনে একটি চক্র কাজ করছে সেটি তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা দাবি করেন এই আইনজীবী। আদালত বলেন, আমরা মনে করি এভাবে যদি রিয়েল (আসল) কালপ্রিট (দোষী) অর্থের বিনিময়ে হোক, অথবা বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে নিজেকে বাঁচিয়ে অন্য নিরপরাধ লোককে জেলের মধ্যে আটক রাখে সেটা দুর্ভাগ্যজনক।
জানা যায়, মোবাইল ফোন নিয়ে বিবাদের জের ধরে ২০০৬ সালের ৯ জুলাই নগরীর রহমতগঞ্জ এলাকায় পোশাক কারখানার কর্মী কোহিনুর বেগম খুন হন। ওই ঘটনায় হওয়া মামলায় ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার উপজেলার গৌরস্থান মাঝেরপাড়া গ্রামের আনু মিয়ার মেয়ে কুলসুমীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বামীর নাম ছালেহ আহমদ। তিনি স্বামীর সঙ্গে কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জে সাঈদ ডাক্তারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পান কুলসুমী। পরবর্তীতে এ মামলায় বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত এক রায়ে কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেন। রায়ের দিন কুলসুমী আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তাঁকে পলাতক দেখিয়ে রায় ঘোষণা করা হয়।
এর পর ভাসমান বস্তিতে মিনুকে পান কুলসুমী। মিনুর স্বামী ঠেলাগাড়ি চালক বাবুল সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর তিন সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামে ভাসমান বস্তিতে থাকতেন। মিনুর বাড়ি সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর জাফারাবাদ এলাকায়। তাঁর পিতার নাম সোলাইমান ও মা সালেহ বেগম, স্বামী মোহাম্মদ বাবুল। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার ময়নামতিতে।
মিনুর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে ইয়াছিন (১২)। সে একটি দোকানের কর্মচারী। আরেকজন গোলাম হোসেন (৭) হেফজখানায় পড়ছে। ছোট মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে (৫) দত্তক দেওয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মিনু ও তাঁর সন্তানদের ভরণপোষণ দেওয়ার প্রস্তাব দেন কুলসুমী। বিনিময়ে একদিন আদালতে হাজির হতে হবে বলে জানানো হয় মিনুকে। আদালতে হাজির হলে তাঁর জামিনও করিয়ে আনবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
মিনু কুলসুমীর কথায় রাজি হয়ে কুলসুমী সেজে ২০১৮ সালের ১২ জুন চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে মিনু কারাবন্দি। এরপর নিম্ন আদালতের সাজার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন কুলসুমী। একারণে ওই বছরের ১২ জুন মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ওই মামলাটি হাইকোর্টে বিচারাধীন।
জানা যায়, মিনু কারাগারে যাওয়ার পর প্রথম প্রথম কয়েকমাস মিনুর সন্তানদের ভরণপোষণ দিলেও কয়েক মাস যেতে না যেতেই মিনুর পরিবারের খোঁজ নেওয়া বন্ধ করে দেন কুলসুমী। ওদিকে মিনুর দীর্ঘ হতে থাকে কারা জীবন। মিনুর আর খোঁজ নেননি কুলসুমী।
এ অবস্থায় মিনু পুরো ঘটনা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে ফাঁস করে দেন। প্রথম প্রথম কেউ তাঁর কথা না শুনলেও গত ১৮ মার্চ কুলসুমীর পরিবর্তে মিনুর কারাভোগের বিষয়টি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খানের নজরে আসে। এরপর তিনি বিষয়টি নিজে অনুসন্ধান করেন। চট্টগ্রাম কারাগারে থাকা নথিতে কুলসুমীর ছবির সঙ্গে মিনুর ছবির মিল খুঁজে পায় না কারা কর্তৃপক্ষ।
গত ২১ মার্চ সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান রায় প্রদানকারী চট্টগ্রামের আদালতের নজরে আনেন বিষয়টি। এরপর মিনুকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হলে পরদিন ২২ মার্চ কারাগার থেকে মিনুকে আদালতে হাজির করা হয়। মিনু হাজির হয়ে আদালতকে বলেন, ‘তিন বছর আগে মর্জিনা নামের একজন মহিলা ডাল-চাল দেবেন বলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে জেলে ঢুকায় দেয়। আমি তখন ভাসমান বস্তিতে নিজের ঘরে ছিলাম।’
চট্টগামের আদালত মিনুর ঘটনা লিপিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য একটি নথি গত ২৩ মার্চ হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন হাইকোর্টে। পরদিন ২৪ মার্চ নথি হাইকোর্টে পৌঁছে যায়। এ অবস্থায় গত ৩১ মার্চ বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।