রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সচিবালয় কোয়ার্টারের একটি ফ্লাটে ঝুলছিলো ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী নুসরাত জাহান নামে এক গৃহবধুর লাশ। শনিবার (১২ জুন) বিকেলে জাতীয় জরুরী সেবা৯৯৯ এ একটি ফোন আসে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানোর পর পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর থেকে নুসরাতেরস্বামী পলাতক রয়েছে। নুসরাতের পরিবারের অভিযোগ নুসরাতকে নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তার স্বামী এ হত্যার সঙ্গে জড়িত।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নুসরাত ২০১৯ সালে মামুন মিল্লাতকে বিয়ে করেন। মামুন মিল্লাত নিজেকে ৩৮তম বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে নুসরাতকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু নুসরাত বিয়ের পর জানতে পারেন, মামুন পুলিশ কর্মকর্তা নন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কলহ শুরু হয়। প্রায় প্রতিদিনই তাঁদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হতো। পুলিশও নিশ্চিত হয়েছে মামুন মিল্লাত পুলিশের কেউ নন, তিনি প্রতারক। মামুন মিল্লাতের প্ররোচনায় নুসরাত আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হচ্ছে। এ ব্যাপারে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামুন মিল্লাতের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা হবে।
পুলিশ সূত্র জানায়, নুসরাত তাঁর স্বামী মামুন মিল্লাতের সঙ্গে আগারগাঁওয়ের সংসদ সচিবালয় বি-২ নম্বর কোয়ার্টারে সাবলেট থাকতেন। শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত মামুন মিল্লাতকে বাসায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। এরপর তিনি উধাও হয়ে যান। দুপুর ১২টার দিকে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করে নুসরাতের সাড়া পাননি। এতে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পরে এক প্রতিবেশী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে আগারগাঁও থানার পুলিশ আসে। পরে তারা বাসার দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় নুসরাতকে ঝুলতে দেখে। সিলিং ফ্যান থেকে মরদেহ নামিয়ে বিকেলে তা ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
শনিবার, ১২ জুন ২০২১
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সচিবালয় কোয়ার্টারের একটি ফ্লাটে ঝুলছিলো ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী নুসরাত জাহান নামে এক গৃহবধুর লাশ। শনিবার (১২ জুন) বিকেলে জাতীয় জরুরী সেবা৯৯৯ এ একটি ফোন আসে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানোর পর পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর থেকে নুসরাতেরস্বামী পলাতক রয়েছে। নুসরাতের পরিবারের অভিযোগ নুসরাতকে নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তার স্বামী এ হত্যার সঙ্গে জড়িত।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নুসরাত ২০১৯ সালে মামুন মিল্লাতকে বিয়ে করেন। মামুন মিল্লাত নিজেকে ৩৮তম বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে নুসরাতকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু নুসরাত বিয়ের পর জানতে পারেন, মামুন পুলিশ কর্মকর্তা নন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কলহ শুরু হয়। প্রায় প্রতিদিনই তাঁদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হতো। পুলিশও নিশ্চিত হয়েছে মামুন মিল্লাত পুলিশের কেউ নন, তিনি প্রতারক। মামুন মিল্লাতের প্ররোচনায় নুসরাত আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হচ্ছে। এ ব্যাপারে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামুন মিল্লাতের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা হবে।
পুলিশ সূত্র জানায়, নুসরাত তাঁর স্বামী মামুন মিল্লাতের সঙ্গে আগারগাঁওয়ের সংসদ সচিবালয় বি-২ নম্বর কোয়ার্টারে সাবলেট থাকতেন। শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত মামুন মিল্লাতকে বাসায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। এরপর তিনি উধাও হয়ে যান। দুপুর ১২টার দিকে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করে নুসরাতের সাড়া পাননি। এতে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পরে এক প্রতিবেশী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে আগারগাঁও থানার পুলিশ আসে। পরে তারা বাসার দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় নুসরাতকে ঝুলতে দেখে। সিলিং ফ্যান থেকে মরদেহ নামিয়ে বিকেলে তা ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।