গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন ও ভূমি কর্মকর্তার উদাসীনতায় দীর্ঘ দিন ধরে ভবেরচর বাজার, পুকুর, ডোবা দখল করে আছে এক শ্রেণির ভূমিদস্যুরা। ১৫০ শতাংশ সরকারি জায়গা বেদখল রয়েছে দীর্ঘ বছর ধরে। প্রশাসন এই সরকারি জায়গা উদ্ধারে কোন ধরনের তৎপরতা দেখায়নি কোন সময়। উল্টো গজারিয়া ভবেরচর বাজারে খাস কালেকশনের নামে প্রশাসনের সহযোগিতায় কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে একটি সিন্ডিকেট।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পুকুরের ৪০শতাংশ বিভিন্ন জনে দখল করে নিয়েছে। কাচারী ৫৮ শতাংশই অন্যেল দখলে রয়েছে। বাজারের ৩০টি দোকানের কোন ডিসিআর কাটা হয়ইনা। ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জায়গা দখল করে ক্লাব করা হলেও ইউনিয়ন ভূমি অফিস এই জায়গা উদ্ধার করার কোন পদক্ষেপ নেননি এখন পর্যন্ত। সর্বমোট ১৫০ শতাংশ সরকারি ভূমি দখল করে আছে। প্রশাসন ১৫০ শতাংশ সরকারি বেদখলকৃত জায়গা উদ্ধারে এ যাবৎকাল পর্যন্ত কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।
ভবেরচর বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা জানান, প্রশাসনকে তারা নিয়মিত টাকা দেন। তারা এটা কিভাবে নেন তা তারা জানেন না।
অত্র অঞ্চলের কাগজপত্র ও সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পুকুরের দাগ নং ১০৭৬, জমির পরিমান ৬৭ শতাংশ সরেজমিনে আছে ৩৫-৪০ শতাংশ বাকী অংশ বিভিন্ন লোকে দখল করে ভোগ দখল করিতেছে। এমনকি বহুতল ভবনও তৈরী করে বসবাস করছেন কেউ কেউ। অন্য একটি পুকুর দাগ নং ১০৮৫ পরিমান ১ একর, এক একর পুকুরের প্রায় ৫০ শতাংশ বিভিন্ন লোকে দখল করে নিয়েছে।
ভবেরচরের কাচারীর ৬২ শতাংশ জায়গা। ৬২ শতাংশ জায়গার মধ্যে দখলে আছে ৩-৪ শতাংশ। ৪ শতাংশ বাদে বাকী চারপাশ দখল করে পসরা বসিয়ে হরেক রকম জিনিস বিক্রি করে ব্যবসা করে আসছে লোকজন। দখলের কারণে কাচারী ঘর বা ইউনিয়ন ভূমি অফিসেও ঢুকতে পারে না সেবা প্রার্থীরা। দরজার সামনে দোকানের পসরা বসিয়ে ব্যবসা করছে লোকজন।
বাজার চান্দিনায় রয়েছে ৪৪ শতাংশ। এখানে মোট দোকান আছে ৪২টি, প্রতিবছর ডিসিআর কাটার নিয়ম থাকলেও বহুবছর ধরে ডিসিআর কাটছে না প্রশাসন। ডিসিআর না কেটেই টাকা আদায় করে লোপাট করা হচ্ছে সরকারি রাজস্ব। এমন দোকান বাজারে প্রায় ৩০টি। হয় তারা অবৈধভাবে দোকান চালাচ্ছে না হয় প্রশাসন অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
অবৈধভাবে একটি ক্লাব ঘর উঠিয়ে দখল করেছে করে রাখা হয়েছে। কারা দখল করে রেখেছেন তা সঠিকভাবে তথ্য দিতে পারে না ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল কাদির সাহেব। দাগ নং ১০৪৯ পরিমান ৩ শতাংশ। এখানে প্রবেশ করার পথও প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
ডোবা দাগ নং ১০৮১, পরিমান ৬ শতাংশ এটাও অন্যের দখলে নিয়ে গিলে খাচ্ছে। পাঁচটি দাগে সর্বমোট ২৭৬ শতাংশ জায়গা রয়েছে সরকারের। কিন্তু বর্তমানে ১২৬ শতাংশ সরকারের দখলে থাকলেও বাকী ১৫০ শতাংশ সরকারের হাতছাড়া হয়ে গেছে। ২৭৬ শতাংশ জায়গা ছাড়াও বিপি সম্পত্তি রয়েছে তার কোন হিসাব তথ্য সঠিকভাবে দিতে পারে নাই ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কাদির। ভবেরচর বাজারের নামে প্রতিবছরই ইজারা দেওয়া হয়। এখানে প্রশ্নহলো বাজারের নামে তো জায়গাই নাই। কিভাবে বাজারের ইজারা দেওয়া হয় প্রতিবছর। সরেজমিনে দেখা যায়, ২৭৬ শতাংশ জায়গার মধ্যে ১৫০ শতাংশ জায়গাই বেদখল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী জানান, বিষয় সহকারি ভূমি কর্তকর্তাকে বিষয়টির ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে।
বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন ও ভূমি কর্মকর্তার উদাসীনতায় দীর্ঘ দিন ধরে ভবেরচর বাজার, পুকুর, ডোবা দখল করে আছে এক শ্রেণির ভূমিদস্যুরা। ১৫০ শতাংশ সরকারি জায়গা বেদখল রয়েছে দীর্ঘ বছর ধরে। প্রশাসন এই সরকারি জায়গা উদ্ধারে কোন ধরনের তৎপরতা দেখায়নি কোন সময়। উল্টো গজারিয়া ভবেরচর বাজারে খাস কালেকশনের নামে প্রশাসনের সহযোগিতায় কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে একটি সিন্ডিকেট।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পুকুরের ৪০শতাংশ বিভিন্ন জনে দখল করে নিয়েছে। কাচারী ৫৮ শতাংশই অন্যেল দখলে রয়েছে। বাজারের ৩০টি দোকানের কোন ডিসিআর কাটা হয়ইনা। ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জায়গা দখল করে ক্লাব করা হলেও ইউনিয়ন ভূমি অফিস এই জায়গা উদ্ধার করার কোন পদক্ষেপ নেননি এখন পর্যন্ত। সর্বমোট ১৫০ শতাংশ সরকারি ভূমি দখল করে আছে। প্রশাসন ১৫০ শতাংশ সরকারি বেদখলকৃত জায়গা উদ্ধারে এ যাবৎকাল পর্যন্ত কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।
ভবেরচর বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা জানান, প্রশাসনকে তারা নিয়মিত টাকা দেন। তারা এটা কিভাবে নেন তা তারা জানেন না।
অত্র অঞ্চলের কাগজপত্র ও সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পুকুরের দাগ নং ১০৭৬, জমির পরিমান ৬৭ শতাংশ সরেজমিনে আছে ৩৫-৪০ শতাংশ বাকী অংশ বিভিন্ন লোকে দখল করে ভোগ দখল করিতেছে। এমনকি বহুতল ভবনও তৈরী করে বসবাস করছেন কেউ কেউ। অন্য একটি পুকুর দাগ নং ১০৮৫ পরিমান ১ একর, এক একর পুকুরের প্রায় ৫০ শতাংশ বিভিন্ন লোকে দখল করে নিয়েছে।
ভবেরচরের কাচারীর ৬২ শতাংশ জায়গা। ৬২ শতাংশ জায়গার মধ্যে দখলে আছে ৩-৪ শতাংশ। ৪ শতাংশ বাদে বাকী চারপাশ দখল করে পসরা বসিয়ে হরেক রকম জিনিস বিক্রি করে ব্যবসা করে আসছে লোকজন। দখলের কারণে কাচারী ঘর বা ইউনিয়ন ভূমি অফিসেও ঢুকতে পারে না সেবা প্রার্থীরা। দরজার সামনে দোকানের পসরা বসিয়ে ব্যবসা করছে লোকজন।
বাজার চান্দিনায় রয়েছে ৪৪ শতাংশ। এখানে মোট দোকান আছে ৪২টি, প্রতিবছর ডিসিআর কাটার নিয়ম থাকলেও বহুবছর ধরে ডিসিআর কাটছে না প্রশাসন। ডিসিআর না কেটেই টাকা আদায় করে লোপাট করা হচ্ছে সরকারি রাজস্ব। এমন দোকান বাজারে প্রায় ৩০টি। হয় তারা অবৈধভাবে দোকান চালাচ্ছে না হয় প্রশাসন অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
অবৈধভাবে একটি ক্লাব ঘর উঠিয়ে দখল করেছে করে রাখা হয়েছে। কারা দখল করে রেখেছেন তা সঠিকভাবে তথ্য দিতে পারে না ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল কাদির সাহেব। দাগ নং ১০৪৯ পরিমান ৩ শতাংশ। এখানে প্রবেশ করার পথও প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
ডোবা দাগ নং ১০৮১, পরিমান ৬ শতাংশ এটাও অন্যের দখলে নিয়ে গিলে খাচ্ছে। পাঁচটি দাগে সর্বমোট ২৭৬ শতাংশ জায়গা রয়েছে সরকারের। কিন্তু বর্তমানে ১২৬ শতাংশ সরকারের দখলে থাকলেও বাকী ১৫০ শতাংশ সরকারের হাতছাড়া হয়ে গেছে। ২৭৬ শতাংশ জায়গা ছাড়াও বিপি সম্পত্তি রয়েছে তার কোন হিসাব তথ্য সঠিকভাবে দিতে পারে নাই ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কাদির। ভবেরচর বাজারের নামে প্রতিবছরই ইজারা দেওয়া হয়। এখানে প্রশ্নহলো বাজারের নামে তো জায়গাই নাই। কিভাবে বাজারের ইজারা দেওয়া হয় প্রতিবছর। সরেজমিনে দেখা যায়, ২৭৬ শতাংশ জায়গার মধ্যে ১৫০ শতাংশ জায়গাই বেদখল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী জানান, বিষয় সহকারি ভূমি কর্তকর্তাকে বিষয়টির ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে।