আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল
পাবনায় গণপূর্ত ভবনে অস্ত্র নিয়ে ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের মহড়ার ঘটনায় প্রদর্শিত দুটি শটগানের লাইসেন্স বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার (১৬ জুন) বিকেলে লাইসেন্স বাতিলের পর বৃহঃস্পতিবার সকালে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয়া হয়েছে। পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি, পাবনা গণপূর্ত ভবনে কয়েকজন ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের ঘটনা তদন্তে অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গ হয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার হওয়ায় লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশও করা হয় তদন্ত প্রতিবেদনে। এর প্রেক্ষিতে এম আর খান মামুন ও শেখ আনোয়ার হোসেন লালুর নামে ইস্যুকৃত শটগানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান জানান, পাবনা গণপূর্ত বিভাগে ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রবেশের ঘটনা জানার পরই বিষয়টি তদন্ত শুরু করে জেলা পুলিশ। গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা লিখিত অভিযোগ না করলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। ঠিকাদারদের প্রদর্শিত অস্ত্রও জব্দ করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলে, অস্ত্র আইনের শর্ত বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। আমরা বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের প্রমাণ মেলায় প্রদর্শিত অস্ত্র গুলোর লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়। জেলা প্রশাসন লাইসেন্স বাতিল করায় জব্দকৃত অস্ত্রগুলি সরকারের সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুন দুপুরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক হোসেন , পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম আর খান মামুন এবং জেলা যুব লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুর নেতৃত্বে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে গণপূর্ত ভবনে প্রবেশ করে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমকে খুঁজতে থাকেন। তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই উপ সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের কক্ষে যান এবং কিছুক্ষণ পর তারা বের হয়ে যান। জেলা আইনশৃংখলা কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন হলে, জেলা জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র গুলি জব্দ করে। এ ঘটনায় নেতৃত্ব দেয়া দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে ফারুক হোসেন ও এম আর খান মামুনকে দল থেকে অব্যহতি দিয়ে কেন স্থায়ী বহিস্কার করা হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস প্রদান করেছে জেলা আওয়ামীলীগ।
এদিকে, একই অভিযোগে পাবনা জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য শেখ আনোয়ার হোসেন ওরফে শেখ লালুকে যুবলীগ থেকে বহিস্কারের সুপারিশ করেছে পাবনা জেলা যুবলীগ।
আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
পাবনায় গণপূর্ত ভবনে অস্ত্র নিয়ে ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের মহড়ার ঘটনায় প্রদর্শিত দুটি শটগানের লাইসেন্স বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার (১৬ জুন) বিকেলে লাইসেন্স বাতিলের পর বৃহঃস্পতিবার সকালে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয়া হয়েছে। পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি, পাবনা গণপূর্ত ভবনে কয়েকজন ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের ঘটনা তদন্তে অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গ হয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার হওয়ায় লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশও করা হয় তদন্ত প্রতিবেদনে। এর প্রেক্ষিতে এম আর খান মামুন ও শেখ আনোয়ার হোসেন লালুর নামে ইস্যুকৃত শটগানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান জানান, পাবনা গণপূর্ত বিভাগে ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রবেশের ঘটনা জানার পরই বিষয়টি তদন্ত শুরু করে জেলা পুলিশ। গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা লিখিত অভিযোগ না করলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। ঠিকাদারদের প্রদর্শিত অস্ত্রও জব্দ করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলে, অস্ত্র আইনের শর্ত বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। আমরা বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের প্রমাণ মেলায় প্রদর্শিত অস্ত্র গুলোর লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়। জেলা প্রশাসন লাইসেন্স বাতিল করায় জব্দকৃত অস্ত্রগুলি সরকারের সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুন দুপুরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক হোসেন , পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম আর খান মামুন এবং জেলা যুব লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুর নেতৃত্বে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে গণপূর্ত ভবনে প্রবেশ করে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমকে খুঁজতে থাকেন। তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই উপ সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের কক্ষে যান এবং কিছুক্ষণ পর তারা বের হয়ে যান। জেলা আইনশৃংখলা কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন হলে, জেলা জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র গুলি জব্দ করে। এ ঘটনায় নেতৃত্ব দেয়া দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে ফারুক হোসেন ও এম আর খান মামুনকে দল থেকে অব্যহতি দিয়ে কেন স্থায়ী বহিস্কার করা হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস প্রদান করেছে জেলা আওয়ামীলীগ।
এদিকে, একই অভিযোগে পাবনা জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য শেখ আনোয়ার হোসেন ওরফে শেখ লালুকে যুবলীগ থেকে বহিস্কারের সুপারিশ করেছে পাবনা জেলা যুবলীগ।