ভিজিট ৫০০ টাকা, সহযোগী দ্বিতীয় স্ত্রী
রাজবাড়ী শহরের বড়পুলে রাবেয়া টাওয়ারের তৃতীয় তলায় সরকারি কোন অনুমোদন ছাড়াই আইভি আই কেয়ার এন্ড ফ্যাকো সেন্টার নামে চক্ষু হাসপাতাল খুলে প্রতারণার খবর পাওয়া গেছে। হাসপাতালের মালিক পাবনা জেলার বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. সোলায়মান হোসেন নিজের নাম পাল্টে পরিচয় দিচ্ছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন ডা. মো. মোস্তফা সরোয়ার। ডিগ্রীর স্থানে তিনি লিখেন এম.বি.বিএস, ডি.ও (ডি.ইউ) এ.পি.ডি/ স্পেশাল ট্রেনিং মাইক্রো সার্জারী, ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল,ঢাকা/ ট্রেইন্ড ইন অরবিস (আমেরিকা)/ কনসালটেন্ট, সিয়াম সামী আই কেয়ার এন্ড ফ্যাকো সেন্টার। এই পরিচয়েই রোগী প্রতি ৫০০ টাকা করে ভিজিট নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করে চলেছেন । তার কাজে তাকে সহযোগীতা করছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী শিমুল মুন। শিমুলও নিজেকে অপথালমোলজিস্ট হিসেবে পরিচয় দেন।
জানা গেছে, পাবনার বেড়া থেকে সপ্তাহে ৩ দিন (বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার) তিনি এখানে এসে রোগি দেখেন।
ভুক্তভোগী রোগীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে এই প্রতিবেদক ছদ্মনাম (রাশিদুল ইসলাম) ব্যবহার করে সিরিয়াল নেন। বিকেলে আইভি আই কেয়ার এন্ড ফ্যাকো সেন্টারে গেলে রিসিপশনে মো. সোলায়মান হোসেনের স্ত্রী শিমুল মুন নিজেকে অপথালমোলজিস্ট হিসেবে পরিচয় দেন এবং ভিতরে ডা. মো. মোস্তফা সরোয়ার রোগী দেখছেন বলে জানান। এরপর তিনি এই প্রতিবেদকের কাছ থেকে ৫০০ টাকা ভিজিট নিয়ে একটি সাদা প্রেসক্রিপশন ও একটি মানি রিসিট দিয়ে ভিতরে পাঠান। ভিতরে প্রবেশের পর সেখানে ডাক্তারে চেয়ারে বসা সোলায়মান হোসেনকে তার পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তিনি নিজেকে ডা. মো. মোস্তফা সরোয়ার হিসেবে পরিচয় দেন। এসময় এই প্রতিবেদকের ক্যামেরাপার্সন কথাগুলো ভিডিও করার জন্য ক্যামেরা বের করলে ভোল পাল্টে ফেলেন সোলায়মান। ক্যামেরার সামনে তিনি নিজেকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন।
এরপর রোগীদের সঙ্গে নিজের প্রতারণা ও দোষ স্বীকার করে নিউজ না করার জন্য এই প্রতিবেদকের কাছে কাকুতি মিনতি শুরু করেন সোলায়মান।
যার নাম-পরিচয় ও ডিগ্রী ব্যবহার করে মো. সোলায়মান রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন সেই চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন টাঙ্গাইলের রোকেয়া আই কেয়ার এন্ড ফ্যাকো সেন্টারের পরিচালক ও চীফ কনসালটেন্ট ডা. মো. মোস্তফা সরোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাজবাড়ীর আইভি আই কেয়ার এন্ড ফ্যাকো সেন্টারের সঙ্গে তার কোন যোগাযোগ নেই। তিনি তার শাস্তি দাবি করেন।
এ বিষয়ে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, ‘বিষয়টি আমার আগে জানা ছিলোনা। আমি বিষয়টি নিয়ে সিভিল সার্জন মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’
সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহীম মো. টিটোন বলেন, ‘জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। আমরা দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষে নিচ্ছি।’
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফাতেমা তুজ জান্নাতের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মো. সোলায়মান হোসেন বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।
এখানে তার ডিউটি তিনি ঠিকমতোই পালন করেন। এখানে তার স্ত্রী ও দুই ছেলেও রয়েছে। রাজবাড়ীতে তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও প্রতারণার বিষয় আমার জানা ছিলোনা।
ভিজিট ৫০০ টাকা, সহযোগী দ্বিতীয় স্ত্রী
বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
রাজবাড়ী শহরের বড়পুলে রাবেয়া টাওয়ারের তৃতীয় তলায় সরকারি কোন অনুমোদন ছাড়াই আইভি আই কেয়ার এন্ড ফ্যাকো সেন্টার নামে চক্ষু হাসপাতাল খুলে প্রতারণার খবর পাওয়া গেছে। হাসপাতালের মালিক পাবনা জেলার বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. সোলায়মান হোসেন নিজের নাম পাল্টে পরিচয় দিচ্ছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন ডা. মো. মোস্তফা সরোয়ার। ডিগ্রীর স্থানে তিনি লিখেন এম.বি.বিএস, ডি.ও (ডি.ইউ) এ.পি.ডি/ স্পেশাল ট্রেনিং মাইক্রো সার্জারী, ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল,ঢাকা/ ট্রেইন্ড ইন অরবিস (আমেরিকা)/ কনসালটেন্ট, সিয়াম সামী আই কেয়ার এন্ড ফ্যাকো সেন্টার। এই পরিচয়েই রোগী প্রতি ৫০০ টাকা করে ভিজিট নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করে চলেছেন । তার কাজে তাকে সহযোগীতা করছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী শিমুল মুন। শিমুলও নিজেকে অপথালমোলজিস্ট হিসেবে পরিচয় দেন।
জানা গেছে, পাবনার বেড়া থেকে সপ্তাহে ৩ দিন (বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার) তিনি এখানে এসে রোগি দেখেন।
ভুক্তভোগী রোগীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে এই প্রতিবেদক ছদ্মনাম (রাশিদুল ইসলাম) ব্যবহার করে সিরিয়াল নেন। বিকেলে আইভি আই কেয়ার এন্ড ফ্যাকো সেন্টারে গেলে রিসিপশনে মো. সোলায়মান হোসেনের স্ত্রী শিমুল মুন নিজেকে অপথালমোলজিস্ট হিসেবে পরিচয় দেন এবং ভিতরে ডা. মো. মোস্তফা সরোয়ার রোগী দেখছেন বলে জানান। এরপর তিনি এই প্রতিবেদকের কাছ থেকে ৫০০ টাকা ভিজিট নিয়ে একটি সাদা প্রেসক্রিপশন ও একটি মানি রিসিট দিয়ে ভিতরে পাঠান। ভিতরে প্রবেশের পর সেখানে ডাক্তারে চেয়ারে বসা সোলায়মান হোসেনকে তার পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তিনি নিজেকে ডা. মো. মোস্তফা সরোয়ার হিসেবে পরিচয় দেন। এসময় এই প্রতিবেদকের ক্যামেরাপার্সন কথাগুলো ভিডিও করার জন্য ক্যামেরা বের করলে ভোল পাল্টে ফেলেন সোলায়মান। ক্যামেরার সামনে তিনি নিজেকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন।
এরপর রোগীদের সঙ্গে নিজের প্রতারণা ও দোষ স্বীকার করে নিউজ না করার জন্য এই প্রতিবেদকের কাছে কাকুতি মিনতি শুরু করেন সোলায়মান।
যার নাম-পরিচয় ও ডিগ্রী ব্যবহার করে মো. সোলায়মান রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন সেই চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন টাঙ্গাইলের রোকেয়া আই কেয়ার এন্ড ফ্যাকো সেন্টারের পরিচালক ও চীফ কনসালটেন্ট ডা. মো. মোস্তফা সরোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাজবাড়ীর আইভি আই কেয়ার এন্ড ফ্যাকো সেন্টারের সঙ্গে তার কোন যোগাযোগ নেই। তিনি তার শাস্তি দাবি করেন।
এ বিষয়ে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, ‘বিষয়টি আমার আগে জানা ছিলোনা। আমি বিষয়টি নিয়ে সিভিল সার্জন মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’
সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহীম মো. টিটোন বলেন, ‘জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। আমরা দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষে নিচ্ছি।’
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফাতেমা তুজ জান্নাতের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মো. সোলায়মান হোসেন বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।
এখানে তার ডিউটি তিনি ঠিকমতোই পালন করেন। এখানে তার স্ত্রী ও দুই ছেলেও রয়েছে। রাজবাড়ীতে তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও প্রতারণার বিষয় আমার জানা ছিলোনা।