অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের করা দুটি মামলার চার্জশিট দিতে যাচ্ছে তদন্ত কর্মকর্তা। প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার অভিযোগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে করা এ দুই মামলার তদন্তে মালেকের অঢেল সম্পদের তথ্য খুঁজে বের করতে পারেনি দুদক। অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য প্রতিবেদনে আরও কম সম্পদ থাকার কথা বলছে দুদক।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর র্যাবের অভিযানে জাল টাকার ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক। এরপর র্যাব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক হয়েও ঘুষ নিয়ে অবৈধভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কর্মচারী নিয়োগ, বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুল নিয়ন্ত্রণে রেখে গাড়ির তেল চুরির মাধ্যমে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। গত ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একছত্র নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শত কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন আবদুল মালেক। তার সম্পদের কিছু তথ্যও প্রকাশ করে র্যাব। এরপর মালেককে সম্পদ বিবরণী দাখিল করার নোটিশ পাঠায় দুদক। মালেকের কাছ থেকে সম্পদের হিসাব পাওয়ার পর অনুসন্ধানে নামে দুদক। পরে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা ১-এর সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৬০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুটি মামলা করেছিল।
এক মামলায় আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে এক কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে আবদুল মালেকের মোট দুই কোটি ৯৯ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায় তখন। অন্যদিকে মালেকের স্ত্রী নার্গিস বেগমের ১ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার প্রমাণ পাওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়। ওই মামলায় অবৈধ সম্পদসহ নার্গিস বেগমের নামে মোট দুই কোটি ১২ লাখ ৩৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয় তখন। এর আগে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে চলতি বছরের গত ১৮ জানুয়ারি গাড়িচালক আবদুল মালেককে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল।
দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানিয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক মো. আবদুল মালেকের (বর্তমানে রবখাস্তকৃত) বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা বা ভিত্তিহীন ঘোষণা প্রদানসহ অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০/- টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তা দখলে রাখার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুদক। অন্য মামলায় তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে পারস্পারিক যোগসাজশে তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের ভোগ দখলে রাখায় প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) এবং দন্ডবিধি ১০৯ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেছেন, দুই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল সেগুলো যাচাইবাছাই করে সর্বমোট ২ কোটি ৬০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গাড়িচালক আবদুল মালেকের অবৈধ ও গোপন রাখা সম্পদ মিলিয়ে দেড় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার প্রমাণ পেয়েছে দুদক। অন্য দিকে স্ত্রীর নামে ১ কোটি ১০ লাখ টাকার যে সম্পদ পাওয়া গেছে সেই সম্পদ মূলত মূল মালিকও আবদুল মালেক। তদন্তে মালেকের অবৈধ আর কোন সম্পদের খোঁজ না মেলায় মামলায় যা ছিল তা উল্লেখ করেই চার্জশিট দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের করা দুটি মামলার চার্জশিট দিতে যাচ্ছে তদন্ত কর্মকর্তা। প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার অভিযোগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে করা এ দুই মামলার তদন্তে মালেকের অঢেল সম্পদের তথ্য খুঁজে বের করতে পারেনি দুদক। অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য প্রতিবেদনে আরও কম সম্পদ থাকার কথা বলছে দুদক।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর র্যাবের অভিযানে জাল টাকার ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক। এরপর র্যাব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক হয়েও ঘুষ নিয়ে অবৈধভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কর্মচারী নিয়োগ, বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুল নিয়ন্ত্রণে রেখে গাড়ির তেল চুরির মাধ্যমে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। গত ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একছত্র নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শত কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন আবদুল মালেক। তার সম্পদের কিছু তথ্যও প্রকাশ করে র্যাব। এরপর মালেককে সম্পদ বিবরণী দাখিল করার নোটিশ পাঠায় দুদক। মালেকের কাছ থেকে সম্পদের হিসাব পাওয়ার পর অনুসন্ধানে নামে দুদক। পরে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা ১-এর সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৬০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুটি মামলা করেছিল।
এক মামলায় আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে এক কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে আবদুল মালেকের মোট দুই কোটি ৯৯ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায় তখন। অন্যদিকে মালেকের স্ত্রী নার্গিস বেগমের ১ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার প্রমাণ পাওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়। ওই মামলায় অবৈধ সম্পদসহ নার্গিস বেগমের নামে মোট দুই কোটি ১২ লাখ ৩৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয় তখন। এর আগে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে চলতি বছরের গত ১৮ জানুয়ারি গাড়িচালক আবদুল মালেককে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল।
দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানিয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক মো. আবদুল মালেকের (বর্তমানে রবখাস্তকৃত) বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা বা ভিত্তিহীন ঘোষণা প্রদানসহ অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০/- টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তা দখলে রাখার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুদক। অন্য মামলায় তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে পারস্পারিক যোগসাজশে তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের ভোগ দখলে রাখায় প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) এবং দন্ডবিধি ১০৯ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেছেন, দুই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল সেগুলো যাচাইবাছাই করে সর্বমোট ২ কোটি ৬০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গাড়িচালক আবদুল মালেকের অবৈধ ও গোপন রাখা সম্পদ মিলিয়ে দেড় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার প্রমাণ পেয়েছে দুদক। অন্য দিকে স্ত্রীর নামে ১ কোটি ১০ লাখ টাকার যে সম্পদ পাওয়া গেছে সেই সম্পদ মূলত মূল মালিকও আবদুল মালেক। তদন্তে মালেকের অবৈধ আর কোন সম্পদের খোঁজ না মেলায় মামলায় যা ছিল তা উল্লেখ করেই চার্জশিট দেয়া হচ্ছে।