পূর্ণিমার সঙ্গে আমার ভালবাসা ছিল। তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। রাজী হয়নি। এরপর সে আমার সঙ্গে সম্পর্ক তুলে দিয়ে অন্য একাধিক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এটা আমি মেনে নিতে পারিনি। মনে মনে ঠিক করেছিলাম আমি তাকে বিয়ে করতে না পারলে অন্য কাউকে বিয়ে করতে দেবো না। একপর্যায়ে পূর্ণিমাকে শিক্ষা দিতে আমি আবারো তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলি। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মোবাইলে ম্যাসেজ দিয়ে তার সঙ্গে সন্ধ্যায় একটি স্থানে দেখা করতে বলি। সে অনুযায়ি পূর্ণিমা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পড়তে যাওয়ার পথে তার সঙ্গে দেখা করলে কৌশলে ডেকে নিয়ে তারক মণ্ডলের নতুন বাড়ির পাশে পুকুরের ধারে তার দু’ হাত বেঁধে গলায় ইলেকট্রিকের তার দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টাকালে সে জ্ঞান হারায়। এরপর তার বুকসহ বিভিন্ন স্থানে কামড় দিয়ে ধর্ষণ করি। ধর্ষণ শেষে তাকে আবারো গলায় তার জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে একাই হত্যা করি। পরে সেখান থেকে বাই সাইকেল চালিয়ে সাতক্ষীরা শহরে আসি। নিজের মোবাইলটি প্রাণসায়র খালে ফেলে দেই। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সাইকেলে বৈকারী সীমান্তে যাই।
বরিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় সাতক্ষীরার জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম বিলাস মণ্ডলের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে দেবহাটার টিকেট গ্রামের ১০ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী পূর্ণিমা দাসকে ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনার জবানবন্দিতে আসামী সাতক্ষীরার একটি ডায়াগোনস্টিক সেন্টারে কর্মরত পার্থ মণ্ডল এসব কথা উল্লেখ করেন। পার্থ মণ্ডল টিকেট গ্রামের শিবপদ মণ্ডলের ছেলে।
সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক হাসান মাহমুদ জানান, গ্রেপ্তারকৃত পার্থ মণ্ডল রবিবার বিকেলে বিচারিক হাকিম বিলাস মণ্ডলের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এদিকে রবিবার দুপুর ১২টায় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সস্মেলনে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান, দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক ফরিদ আহম্মেদ ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পার্থ মণ্ডলকে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভারত সীমান্তবর্তী সাতক্ষীরা সদরের বৈকারী সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করে। জ্ঞিাসাবাদে সে কিভাবে একাই ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে তার বর্ণনা দেয়। পার্থ মণ্ডলের কাছ থেকে একটি ইলেকট্রিক কেবল ও বাই সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে পূর্ণিমাকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ হেডকোয়ার্টার) ইকবাল হোসেন।
প্রসঙ্গত, গাভা একেএম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী পূর্ণিমা দাস বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। শুক্রবার সকালে একই গ্রামের তারক মণ্ডলের জনমানবহীন নতুন বাড়ির পুকুরের পাশ থেকে ধর্ষিত ও ম্বাসরোধ করে হত্যা করা পূর্ণিমার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত পূর্ণিমা দাসের বাবা শান্তিরঞ্জন দাস বাদি হয়ে শুক্রবার রাতেই দেবহাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পার্থ মণ্ডলের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা(১১নং) দায়ের করেন।
রোববার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
পূর্ণিমার সঙ্গে আমার ভালবাসা ছিল। তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। রাজী হয়নি। এরপর সে আমার সঙ্গে সম্পর্ক তুলে দিয়ে অন্য একাধিক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এটা আমি মেনে নিতে পারিনি। মনে মনে ঠিক করেছিলাম আমি তাকে বিয়ে করতে না পারলে অন্য কাউকে বিয়ে করতে দেবো না। একপর্যায়ে পূর্ণিমাকে শিক্ষা দিতে আমি আবারো তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলি। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মোবাইলে ম্যাসেজ দিয়ে তার সঙ্গে সন্ধ্যায় একটি স্থানে দেখা করতে বলি। সে অনুযায়ি পূর্ণিমা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পড়তে যাওয়ার পথে তার সঙ্গে দেখা করলে কৌশলে ডেকে নিয়ে তারক মণ্ডলের নতুন বাড়ির পাশে পুকুরের ধারে তার দু’ হাত বেঁধে গলায় ইলেকট্রিকের তার দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টাকালে সে জ্ঞান হারায়। এরপর তার বুকসহ বিভিন্ন স্থানে কামড় দিয়ে ধর্ষণ করি। ধর্ষণ শেষে তাকে আবারো গলায় তার জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে একাই হত্যা করি। পরে সেখান থেকে বাই সাইকেল চালিয়ে সাতক্ষীরা শহরে আসি। নিজের মোবাইলটি প্রাণসায়র খালে ফেলে দেই। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সাইকেলে বৈকারী সীমান্তে যাই।
বরিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় সাতক্ষীরার জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম বিলাস মণ্ডলের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে দেবহাটার টিকেট গ্রামের ১০ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী পূর্ণিমা দাসকে ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনার জবানবন্দিতে আসামী সাতক্ষীরার একটি ডায়াগোনস্টিক সেন্টারে কর্মরত পার্থ মণ্ডল এসব কথা উল্লেখ করেন। পার্থ মণ্ডল টিকেট গ্রামের শিবপদ মণ্ডলের ছেলে।
সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক হাসান মাহমুদ জানান, গ্রেপ্তারকৃত পার্থ মণ্ডল রবিবার বিকেলে বিচারিক হাকিম বিলাস মণ্ডলের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এদিকে রবিবার দুপুর ১২টায় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সস্মেলনে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান, দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক ফরিদ আহম্মেদ ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পার্থ মণ্ডলকে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভারত সীমান্তবর্তী সাতক্ষীরা সদরের বৈকারী সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করে। জ্ঞিাসাবাদে সে কিভাবে একাই ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে তার বর্ণনা দেয়। পার্থ মণ্ডলের কাছ থেকে একটি ইলেকট্রিক কেবল ও বাই সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে পূর্ণিমাকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ হেডকোয়ার্টার) ইকবাল হোসেন।
প্রসঙ্গত, গাভা একেএম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী পূর্ণিমা দাস বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। শুক্রবার সকালে একই গ্রামের তারক মণ্ডলের জনমানবহীন নতুন বাড়ির পুকুরের পাশ থেকে ধর্ষিত ও ম্বাসরোধ করে হত্যা করা পূর্ণিমার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত পূর্ণিমা দাসের বাবা শান্তিরঞ্জন দাস বাদি হয়ে শুক্রবার রাতেই দেবহাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পার্থ মণ্ডলের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা(১১নং) দায়ের করেন।