রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় চিৎমরম ইউপির আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী নেথোয়াই মারমাকে (৫৬) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১৬ অক্টোবর) মধ্যরাতে উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নের আগাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে একদল অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত চিৎমরম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও একই ইউনিয়নের এবারের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নেথোয়াই মারমার বাড়িতে ঢুকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই হত্যাকান্ডের পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। রবিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে নেথোয়াই মারমার লাশ তার ছেলের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের শরীরে তিনটি গুলি লাগে বলে পুলিশ জানায়। আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী ছিলেন।
এদিকে, এক বিবৃতিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ ও সেনাবাহিনীকে অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে অপারেশন জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি আর বলেন, সেনাবাহিনী দেশ ও জাতির গর্ব। ইতিপূর্বে পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তাদের তৎপরতার কারণে কিছুদিন পার্বত্য অঞ্চলে হত্যাযজ্ঞের মতো সন্ত্রাসী কার্যক্রম কিছুটা বন্ধ ছিল। নতুন করে ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে আবারও আঞ্চলিক দলের সন্ত্রাসীরা হত্যাযজ্ঞে নেমে কাপ্তাই চিৎমরম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী নেথোয়াই মারমকে হত্যা করেছে। তিনি অবৈধ অস্ত্র ও অস্ত্রধারীদের দমন করতে অপারেশন জোরদারের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের শান্তি ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ রাতে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে দুপুরে রাঙ্গামাটি হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসে এবং ময়নাতদন্তের লাশ তার ছেলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এই ব্যাপারে কেউ চন্দ্রঘোনা থানায় মামলা দায়ের করতে আসেনি।
রোববার, ১৭ অক্টোবর ২০২১
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় চিৎমরম ইউপির আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী নেথোয়াই মারমাকে (৫৬) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১৬ অক্টোবর) মধ্যরাতে উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নের আগাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে একদল অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত চিৎমরম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও একই ইউনিয়নের এবারের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নেথোয়াই মারমার বাড়িতে ঢুকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই হত্যাকান্ডের পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। রবিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে নেথোয়াই মারমার লাশ তার ছেলের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের শরীরে তিনটি গুলি লাগে বলে পুলিশ জানায়। আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী ছিলেন।
এদিকে, এক বিবৃতিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ ও সেনাবাহিনীকে অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে অপারেশন জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি আর বলেন, সেনাবাহিনী দেশ ও জাতির গর্ব। ইতিপূর্বে পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তাদের তৎপরতার কারণে কিছুদিন পার্বত্য অঞ্চলে হত্যাযজ্ঞের মতো সন্ত্রাসী কার্যক্রম কিছুটা বন্ধ ছিল। নতুন করে ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে আবারও আঞ্চলিক দলের সন্ত্রাসীরা হত্যাযজ্ঞে নেমে কাপ্তাই চিৎমরম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী নেথোয়াই মারমকে হত্যা করেছে। তিনি অবৈধ অস্ত্র ও অস্ত্রধারীদের দমন করতে অপারেশন জোরদারের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের শান্তি ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ রাতে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে দুপুরে রাঙ্গামাটি হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসে এবং ময়নাতদন্তের লাশ তার ছেলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এই ব্যাপারে কেউ চন্দ্রঘোনা থানায় মামলা দায়ের করতে আসেনি।