প্রতারণার দায়ে রাজশাহীতে গ্লোবাল গেইন গ্রুপের সিইও সাইফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে গ্রাহককরা। রোববার (২৪ অক্টোবর) সকালে সাড়ে ১০ টার দিকে সাইফুল ইসলামকে নগরীর গোরহাঙ্গা এলাকার একপি রেস্টুরেন্টের দুই তলা থেকে আটক করা হয়।
‘গ্লোবাল গেইন গ্রুপ’ নামের এই প্রতিষ্ঠানের রাজশাহী অফিস ছিল নগরীর উপশহর নূর মসজিদ এলাকায়। তবে মাত্র দুই মাস অফিস চলার পরে বন্ধ করে দেয় প্রতারক চক্রটি। তবে এরই মধ্যে পৌনে দুইশ গ্রাহকের কাছে থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এ চক্রটি।
‘গ্লোবাল গেইন গ্রুপ’র কয়েকজন গ্রাহক জানান, এই প্রতিষ্ঠানটি করোনার মধ্যে মার্কেটে আসে। পরে তারা অধিক মুনাফা দেওয়ার নামে গ্রাহকদের কাছে থেকে টাকা সংগ্রহ করে। গ্লোবাল গেইন গ্রুপে ৫০ হাজার টাকা রাখলে প্রতিদিন ২০০ করে টাকা পাওয়া যাবে এমন অফার দিয়ে তারা গ্রাহকদের কাছে টাকা নেয়।
এছাড়াও গ্লোবাল গেইন গ্রুপের বিভিন্ন পণ্য আছে। যেগুলো গ্রহকদের কাছে বিক্রি করা হয়। দাম হিসেবে লাভের টাকা থেকে কেটে নেওয়ার কথা ছিল। তবে রাজশাহীতে অল্প কিছুদিন নিয়মিত থাকার পরে তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
রাজশাহী নগরীর মোন্নাফের মোড় এলাকার ‘গ্লোবাল গেইন গ্রুপ’র গ্রাহক সিরাজ জানান, ‘গ্লোবাল গেইন গ্রুপ’র রাজশাহীতে অফিস ছিল। তবে এখন বন্ধ। আমার ধারণা- রাজশাহীতে তাদের গ্রাহক প্রায় ১৮০ জন। তাদের থেকে বিভিন্ন সময়ে এ চক্রটি নিয়েছে কোটি টাকার বেশি।’
আরেক ভুক্তভোগি ফারুক হোসেন। তিনি দিয়েছেন ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা। বিভিন্ন সময়ে নিজের ও আত্মীয়ের টাকা দিয়েছেন এই গ্রহক।
তিনি জানান, করোনার সময়ে তাকে বোঝানো হয়েছিল তাঁর টাকা তারই থাকবে মাঝক্ষণে মুনাফা পাবে। এমন প্রলোভেনে ফারুক নিজের, তার মেজ ভাই মামুন হোসেন ও শ্বাশুড়ীর টাকা দেন এই প্রতারকদের।
তিনি আরো জানান, ‘গ্লোবাল গেইন গ্রুপ’র প্রতিনিধিরা তাকে বলে ছিল ৫০ হাজার টাকা রাখলে প্রতিদিন তিনি ২০০ টাকা পাবে। এই ২০০ টাকার মধ্যে ২০ টাকা কেটে রাখা হবে- নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস (সাবান, চাল, ডাল, কাপড় ইত্যাদি) কেনা-কাটা বাবদ। তবে শুধু টাকার ম্যাসেজ আসে। কিন্তু টাকা তোলা যায় না।’
গ্রাহকরা বলছেন, শুধু ফারুক, সিরাজ, আরিফুলই নয় এমন শত শত গ্রহক প্রতারণার শিকার হয়েছে ‘গ্লোবাল গেইন গ্রুপ’র কাছে। অনেকেই হারিয়েছেন শেষ সম্বলটুকুও। তাদের দাবি, টাকাগুলো ফিরে পাওয়া।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারণ চন্দ্রবর্মনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি মিটিং এ রয়েছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানাবেন।
রোববার, ২৪ অক্টোবর ২০২১
প্রতারণার দায়ে রাজশাহীতে গ্লোবাল গেইন গ্রুপের সিইও সাইফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে গ্রাহককরা। রোববার (২৪ অক্টোবর) সকালে সাড়ে ১০ টার দিকে সাইফুল ইসলামকে নগরীর গোরহাঙ্গা এলাকার একপি রেস্টুরেন্টের দুই তলা থেকে আটক করা হয়।
‘গ্লোবাল গেইন গ্রুপ’ নামের এই প্রতিষ্ঠানের রাজশাহী অফিস ছিল নগরীর উপশহর নূর মসজিদ এলাকায়। তবে মাত্র দুই মাস অফিস চলার পরে বন্ধ করে দেয় প্রতারক চক্রটি। তবে এরই মধ্যে পৌনে দুইশ গ্রাহকের কাছে থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এ চক্রটি।
‘গ্লোবাল গেইন গ্রুপ’র কয়েকজন গ্রাহক জানান, এই প্রতিষ্ঠানটি করোনার মধ্যে মার্কেটে আসে। পরে তারা অধিক মুনাফা দেওয়ার নামে গ্রাহকদের কাছে থেকে টাকা সংগ্রহ করে। গ্লোবাল গেইন গ্রুপে ৫০ হাজার টাকা রাখলে প্রতিদিন ২০০ করে টাকা পাওয়া যাবে এমন অফার দিয়ে তারা গ্রাহকদের কাছে টাকা নেয়।
এছাড়াও গ্লোবাল গেইন গ্রুপের বিভিন্ন পণ্য আছে। যেগুলো গ্রহকদের কাছে বিক্রি করা হয়। দাম হিসেবে লাভের টাকা থেকে কেটে নেওয়ার কথা ছিল। তবে রাজশাহীতে অল্প কিছুদিন নিয়মিত থাকার পরে তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
রাজশাহী নগরীর মোন্নাফের মোড় এলাকার ‘গ্লোবাল গেইন গ্রুপ’র গ্রাহক সিরাজ জানান, ‘গ্লোবাল গেইন গ্রুপ’র রাজশাহীতে অফিস ছিল। তবে এখন বন্ধ। আমার ধারণা- রাজশাহীতে তাদের গ্রাহক প্রায় ১৮০ জন। তাদের থেকে বিভিন্ন সময়ে এ চক্রটি নিয়েছে কোটি টাকার বেশি।’
আরেক ভুক্তভোগি ফারুক হোসেন। তিনি দিয়েছেন ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা। বিভিন্ন সময়ে নিজের ও আত্মীয়ের টাকা দিয়েছেন এই গ্রহক।
তিনি জানান, করোনার সময়ে তাকে বোঝানো হয়েছিল তাঁর টাকা তারই থাকবে মাঝক্ষণে মুনাফা পাবে। এমন প্রলোভেনে ফারুক নিজের, তার মেজ ভাই মামুন হোসেন ও শ্বাশুড়ীর টাকা দেন এই প্রতারকদের।
তিনি আরো জানান, ‘গ্লোবাল গেইন গ্রুপ’র প্রতিনিধিরা তাকে বলে ছিল ৫০ হাজার টাকা রাখলে প্রতিদিন তিনি ২০০ টাকা পাবে। এই ২০০ টাকার মধ্যে ২০ টাকা কেটে রাখা হবে- নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস (সাবান, চাল, ডাল, কাপড় ইত্যাদি) কেনা-কাটা বাবদ। তবে শুধু টাকার ম্যাসেজ আসে। কিন্তু টাকা তোলা যায় না।’
গ্রাহকরা বলছেন, শুধু ফারুক, সিরাজ, আরিফুলই নয় এমন শত শত গ্রহক প্রতারণার শিকার হয়েছে ‘গ্লোবাল গেইন গ্রুপ’র কাছে। অনেকেই হারিয়েছেন শেষ সম্বলটুকুও। তাদের দাবি, টাকাগুলো ফিরে পাওয়া।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারণ চন্দ্রবর্মনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি মিটিং এ রয়েছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানাবেন।