কক্সবাজারের উখিয়ায় ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের একটি মাদ্রাসায় ছয় খুনের ঘটনায় ক্যাম্পের এক হেড মাঝিসহ আরও চার রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে এই মামলায় এজাহার নামীয় পাঁচজনসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং উখিয়া থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

উখিয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহউদ্দিন জানান, উখিয়া বালুখালী ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে ছয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় গতকাল এপিবিএন এবং উখিয়া থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি শফিউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে।

আজ (২৬ অক্টোবর) মঙ্গলবার ভোর রাতে পুলিশ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আরও তিন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন ব্লকমাঝি ফরিদ হোসেন, জাহেদ হোসেন ও মো. হাশিম। এ নিয়ে এ মামলায় মোট ১৪ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছয় রোহিঙ্গা হত্যার ঘটনায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়সহ মোট ২৫০ জনকে আসামি করে গত শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়।’

নিহত মাদ্রাসা ছাত্রদের একজন আজিজুল হকের বাবা ও উখিয়ার ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ‘এইচ’-ব্লকের বাসিন্দা নূরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

কক্সবাজার ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ শিহাব কায়সার খান জানান, ছয় রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।’

এ মামলায় এর আগে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মুজিবুর রহমান (১৯), দিলদার মাবুদ ওরফে পারভেজ (৩২), মোহাম্মদ আইয়ুব (৩৭), ফেরদৌস আমিন (৪০), আব্দুল মজিদ (২৪), মোহাম্মদ আমিন (৩৫), মোহাম্মদ ইউনুস ওরফে ফয়েজ (২৫), জাফর আলম (৪৫), মোহাম্মদ জাহিদ (৪০) ও মোহাম্মাদ আমিন (৪৮)।

এদের মধ্যে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে উখিয়া থানায় পৃথক মামলা করেছে।