ক্লিক করলেই দ্রুত পৌছে যাবে পুলিশ
জাতীয় মহাসড়কে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি,পণ্য চুরিসহ যে কোন ধরনের তথ্য দ্রুত হাইওয়ে পুলিশকে জানাতে নতুন করে অ্যাপস চালু করা হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশের প্রধান কার্যালয় থেকে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এ অ্যাপস চালু করার টার্গেট নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এর আগে মহাসড়কে সিসি ক্যামরা স্থাপনের কাজ দ্রুত চলছে।
অপর দিকে জাতীয় মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিরোধে ৩ হাজার ৭শ ৮৩টি আঞ্চলিক সড়ক বা গলি পথ চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সব গলিপথে কমপক্ষে ২ হাজার ১শ ৮৪টি সাইন বোর্ড দরকার। তার মধ্যে ইতিমধ্যে ১ হাজার ৩শ ৭২টি সতর্কী করণ সাইন বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। অন্য গুলোর কাজ চলছে। হাইওয়ে পুলিশের উত্তরাস্থ প্রধান কার্যালয় থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে।
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান সংবাদকে জানান,ডিসেম্বর মাসে নতুন করে অ্যাপসটি চালু করা হলে মহাসড়কে চাঁদাবাজি,যানজট,দূর্ঘটনাসহ যে কোন ধরনের সমস্যার খবর তাৎক্ষণিক ভাবে অ্যাপস জানালে ছুটে যাবে হাইওয়ে পুলিশ। নাগরিকরা যে স্থান থেকে অ্যাপসে ক্লিক করেছে তাৎক্ষণিক ভাবে অবস্থান নির্ণয় করে বিপদে পড়া নাগরিকদেরকে সেবাসহ আইনী সহায়তা দিবেন।
সূত্র জানায়, ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা সিলেট মহাসড়ক, ঢাকা আরিচা ও ঢাকা খুলনা মহাসড়কসহ সকল মহাসড়কে পর্যায়ক্রমে পর্যায়ক্রমে অ্যাপসে আওতায় আনা হবে।
অ্যাপস্রে মাধ্যমে কল করা বা ম্যাসেজ দেয়া যাবে। মোবাইল ফোনে ইণ্টারনেট থাকলে নাগরিকরা এ সেবার আওতায় আসবে। জরুরি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে মানুষ যে ভাবে সেবা পান ঠিক হাইওয়ের অ্যাপসে ফোন করে মহাসড়কে সেবা নিতে পারবেন। কেন্দ্রীয় ভাবে হাইওয়ে পুলিশের উচ্চ পর্যায় থেকে অ্যাপসটি মনিটরিং করা হবে। হাইওয়ে পুলিশের অ্যাপস্ চালু হলে মহাসড়কে যানজটের খবর দ্রুত জানা যাবে।
গাজীপুর হাইওয়ের রিজিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ সুপার আলি আহমদ খান সংবাদকে জানান, নাগরিক সেবার এ আ্যাপস্রে মাধ্যমে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬টি সুবিধা পাওয়া যাবে। যে কেউ যে কোন স্থান থেকে দূর্ঘটনার খবর জানাতে পারবে। সংবাদ পাওয়ার পর লোকেশানে পৌছে যাবে হাইওয়ের টিম।
অ্যাপসটি মূলত নাগরিক সেবা অ্যাপস। আ্যাপস্টিতে কল বা ম্যাসেজ করলে হাইওয়ে পুলিশ অফিসারা জানার অপশান থাকবে। কেন্দ্রীয় সেণ্টাল কন্ট্রোল থেকে মনিটরিং করা হবে। ওই মনিটরিং সেণ্টারে অভিযোগ নোটিশ জানা যাবে। নাগরিকরা সেবার জন্য সরসরি ডায়াল করা ছাড়াও কথা বলতে পারবেন। জানা জানানো যাবে অন্যান্য তথ্য।
হাইওয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদকে জানান,জাতীয় মহাসড়ককে সু-শৃ্খংল সুরক্ষিত করতে যা করার দরকার হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যায় ক্রমে সকল পদক্ষেপ নেয়া হবে। সিএনজি (অটোরিকশা),ইজিবাইকসহ সকল অযান্ত্রিক তিন চাকার যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞাসহ আদালতের নির্দেশত কাজ করে যাচ্ছেন।
হাইওয়ে পুলিশের তথ্য মতে, মহাসড়কের আশপাশের সংযোস্থলের রাস্তা বা গলিপথে প্রধান সড়কের কাছে কুমিল্লা রিজিয়নে ৫৮৫টি, গাজীপুরে ৭৯৫টি, বগুড়ায় ৬৩৫টি, মাদারীপুরে ১৩৫৩টি, সিলেটে ৪১৫টিসহ মোট ৩৭৮৩টি গলিপথ। এ সব গলিপথে (হাইওয়ে উঠার আগে) কমপক্ষে ২১৮৪টি সতর্কী করণ সাইন বোর্ড দরকার। ইতোমধ্যে লাগানো হয়েছে ১৩৭২টি।
হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মহাসড়ক থ্রি-হুইলারের জন্য নয়। এতে দূর্ঘটনা ও জীবনের জন্য ক্ষতি হয়। মহাসড়কে সিএনজি (অটোরিকশা) নসিমন, করিমন, ইজিবাইক,স্থানীয় ছোট ট্রাক (ভডভডি) লেগুনাসহ যে কোন প্রকারের থ্রি-হুইলার চালানো দন্ডনীয় অপরাধ। এ সব অপরাধের জন্য জরিমানা ছাড়া সাজাও রয়েছে।
মহাসড়ক ব্যতিত রাস্তার পাশ্বে সাদা লাইনের পরে সার্ভিস লেন, ফ্রিডার রোড বা গলিপথ বা পাশ্ববর্তী ছোট ছোট সংযোগ সড়কে থ্রি-হুইলার চালান ও নিরাপদ থাকুন। এ ভাবে মহাসড়ক গুলোতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। নতুন অ্যাপস্ চালু ছাড়াও মহাসড়কে এখন সিসি ক্যামরার আওতায় আনার কাজও দ্রুত চলছে।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান (অতিরিক্ত আইজিপি) মল্লিক ফখরুল ইসলাম তার কার্যালয়ে সংবাদকে জানান, মহাসড়কের নাগরিক সেবার মান বাড়াতে সকল ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশবাদী মহাসড়কে নাগরিক সেবার মান বাড়বে। অপরাধ ও দূর্ঘটনা কমবে। অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পুলিশ সিসি ক্যামরা স্থাপন,অ্যাপস্ চালুসহ সকল উদ্যোগ নিয়েছেন।
ক্লিক করলেই দ্রুত পৌছে যাবে পুলিশ
বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
জাতীয় মহাসড়কে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি,পণ্য চুরিসহ যে কোন ধরনের তথ্য দ্রুত হাইওয়ে পুলিশকে জানাতে নতুন করে অ্যাপস চালু করা হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশের প্রধান কার্যালয় থেকে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এ অ্যাপস চালু করার টার্গেট নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এর আগে মহাসড়কে সিসি ক্যামরা স্থাপনের কাজ দ্রুত চলছে।
অপর দিকে জাতীয় মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিরোধে ৩ হাজার ৭শ ৮৩টি আঞ্চলিক সড়ক বা গলি পথ চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সব গলিপথে কমপক্ষে ২ হাজার ১শ ৮৪টি সাইন বোর্ড দরকার। তার মধ্যে ইতিমধ্যে ১ হাজার ৩শ ৭২টি সতর্কী করণ সাইন বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। অন্য গুলোর কাজ চলছে। হাইওয়ে পুলিশের উত্তরাস্থ প্রধান কার্যালয় থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে।
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান সংবাদকে জানান,ডিসেম্বর মাসে নতুন করে অ্যাপসটি চালু করা হলে মহাসড়কে চাঁদাবাজি,যানজট,দূর্ঘটনাসহ যে কোন ধরনের সমস্যার খবর তাৎক্ষণিক ভাবে অ্যাপস জানালে ছুটে যাবে হাইওয়ে পুলিশ। নাগরিকরা যে স্থান থেকে অ্যাপসে ক্লিক করেছে তাৎক্ষণিক ভাবে অবস্থান নির্ণয় করে বিপদে পড়া নাগরিকদেরকে সেবাসহ আইনী সহায়তা দিবেন।
সূত্র জানায়, ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা সিলেট মহাসড়ক, ঢাকা আরিচা ও ঢাকা খুলনা মহাসড়কসহ সকল মহাসড়কে পর্যায়ক্রমে পর্যায়ক্রমে অ্যাপসে আওতায় আনা হবে।
অ্যাপস্রে মাধ্যমে কল করা বা ম্যাসেজ দেয়া যাবে। মোবাইল ফোনে ইণ্টারনেট থাকলে নাগরিকরা এ সেবার আওতায় আসবে। জরুরি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে মানুষ যে ভাবে সেবা পান ঠিক হাইওয়ের অ্যাপসে ফোন করে মহাসড়কে সেবা নিতে পারবেন। কেন্দ্রীয় ভাবে হাইওয়ে পুলিশের উচ্চ পর্যায় থেকে অ্যাপসটি মনিটরিং করা হবে। হাইওয়ে পুলিশের অ্যাপস্ চালু হলে মহাসড়কে যানজটের খবর দ্রুত জানা যাবে।
গাজীপুর হাইওয়ের রিজিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ সুপার আলি আহমদ খান সংবাদকে জানান, নাগরিক সেবার এ আ্যাপস্রে মাধ্যমে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬টি সুবিধা পাওয়া যাবে। যে কেউ যে কোন স্থান থেকে দূর্ঘটনার খবর জানাতে পারবে। সংবাদ পাওয়ার পর লোকেশানে পৌছে যাবে হাইওয়ের টিম।
অ্যাপসটি মূলত নাগরিক সেবা অ্যাপস। আ্যাপস্টিতে কল বা ম্যাসেজ করলে হাইওয়ে পুলিশ অফিসারা জানার অপশান থাকবে। কেন্দ্রীয় সেণ্টাল কন্ট্রোল থেকে মনিটরিং করা হবে। ওই মনিটরিং সেণ্টারে অভিযোগ নোটিশ জানা যাবে। নাগরিকরা সেবার জন্য সরসরি ডায়াল করা ছাড়াও কথা বলতে পারবেন। জানা জানানো যাবে অন্যান্য তথ্য।
হাইওয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদকে জানান,জাতীয় মহাসড়ককে সু-শৃ্খংল সুরক্ষিত করতে যা করার দরকার হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যায় ক্রমে সকল পদক্ষেপ নেয়া হবে। সিএনজি (অটোরিকশা),ইজিবাইকসহ সকল অযান্ত্রিক তিন চাকার যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞাসহ আদালতের নির্দেশত কাজ করে যাচ্ছেন।
হাইওয়ে পুলিশের তথ্য মতে, মহাসড়কের আশপাশের সংযোস্থলের রাস্তা বা গলিপথে প্রধান সড়কের কাছে কুমিল্লা রিজিয়নে ৫৮৫টি, গাজীপুরে ৭৯৫টি, বগুড়ায় ৬৩৫টি, মাদারীপুরে ১৩৫৩টি, সিলেটে ৪১৫টিসহ মোট ৩৭৮৩টি গলিপথ। এ সব গলিপথে (হাইওয়ে উঠার আগে) কমপক্ষে ২১৮৪টি সতর্কী করণ সাইন বোর্ড দরকার। ইতোমধ্যে লাগানো হয়েছে ১৩৭২টি।
হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মহাসড়ক থ্রি-হুইলারের জন্য নয়। এতে দূর্ঘটনা ও জীবনের জন্য ক্ষতি হয়। মহাসড়কে সিএনজি (অটোরিকশা) নসিমন, করিমন, ইজিবাইক,স্থানীয় ছোট ট্রাক (ভডভডি) লেগুনাসহ যে কোন প্রকারের থ্রি-হুইলার চালানো দন্ডনীয় অপরাধ। এ সব অপরাধের জন্য জরিমানা ছাড়া সাজাও রয়েছে।
মহাসড়ক ব্যতিত রাস্তার পাশ্বে সাদা লাইনের পরে সার্ভিস লেন, ফ্রিডার রোড বা গলিপথ বা পাশ্ববর্তী ছোট ছোট সংযোগ সড়কে থ্রি-হুইলার চালান ও নিরাপদ থাকুন। এ ভাবে মহাসড়ক গুলোতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। নতুন অ্যাপস্ চালু ছাড়াও মহাসড়কে এখন সিসি ক্যামরার আওতায় আনার কাজও দ্রুত চলছে।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান (অতিরিক্ত আইজিপি) মল্লিক ফখরুল ইসলাম তার কার্যালয়ে সংবাদকে জানান, মহাসড়কের নাগরিক সেবার মান বাড়াতে সকল ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশবাদী মহাসড়কে নাগরিক সেবার মান বাড়বে। অপরাধ ও দূর্ঘটনা কমবে। অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পুলিশ সিসি ক্যামরা স্থাপন,অ্যাপস্ চালুসহ সকল উদ্যোগ নিয়েছেন।