গার্মেন্ট কর্মী পরিচয়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিল মো. খোরশেদ আলম। একেক সময় একেক এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন নামে গার্মেন্ট কর্মী পরিচয়ে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ করে এলেও খোরশেদ ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। কোন এলাকায় একবার অপরাধ করলে ওই এলাকায় আর থাকতে না সে। নতুন এলাকায় নতুন পরিচয়ে কাজ নিয়ে টার্গেট অনুযায়ী আবার চুরি ডাকাতি বা ছিনতাই করত। তবে এবার আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় প্রবাসীর বাড়ির অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করতে গিয়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হনুফাকে হত্যা করে ধরা পড়তে হয়েছে পেশাদার এ অপরাধীকে। রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে খোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করা হয়। চুরি-ডাকাতিসহ নানা অপরাধের জন্য নাম পরিচয় পরিবর্তনের কথা স্বীকার করলেও হনুফাকে হত্যা তার জীবনের প্রথম খুন বলে জানিয়েছে ভয়ঙ্কর এ অপরাধী।
র্যাব ১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফি উল্লাহ বুলবুল জানান, গত ২০ জুন পুলিশ ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হনুফার লাশ উদ্ধার করে। পরে সুরতহালের মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয় হনুফাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর ওই বাসা থেকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন মালামাল লুট হয়। ঘটনার পর অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হনুফার বড় ভাই মো. রনি বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশের পাশাপাশি মামলাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। তদন্ত করে র্যাব জানতে পারে গৃহবধূ হনুফা বেগম আশুলিয়া থানার জিরাবো বাগান বাড়ী এলাকায় তার ছোট ভাই রুহুল আমিনের বাড়ি দেখাশোনা করে। হনুফার ভাই রুহুল আমিন বিদেশে থাকে। হনুফা বেগম ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সে গত ১৩ জুন ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশে গ্রামের বাড়ি থেকে ছোট ভাই রুহুল আমিনের বাসায় আসে। গত ২০ জুন হনুফার বড় বোন তার (হনুফার) মোবাইল ফোনে কল করে বন্ধ পায়। পরে ওই বাসার ভাড়াটিয়া ছাকিয়া নামে এক নারীর মোবাইল ফোনে কল করে। ভাড়াটিয়া ছকিয়াকে হনুফার বড় বোনের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতে বলে। ভাড়াটিয়া বাসার ৪নং রুমে গেলে হনুফা বেগমের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এরপর হনুফার বড় ভাইসহ তার আত্মীয়স্বজনরা বাসায় এসে জানতে পারে যে অজ্ঞাতনামা আসামি ভিকটিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। নির্মম ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র্যাব-১ হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১ তদন্ত করে হত্যাকারী হিসেবে ভাড়াটিয়া খোরশেদ আলমের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে নিশ্চিত হয়। এরপর খোরশেদ আলমকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করে র্যাব।
গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ও একমাত্র আসামি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানাধীন চর আফজাল এলাকায় অবস্থান করছে। ২৯ জুন সোমবার র্যাব-১, উত্তরা, ঢাকা এর আভিযানিক অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূল আসামি মো. খোরশেদ আলম ওরফে মামুন ওরফে ইমরান হোসেন ওরফে আরমান হোসেন কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার খোরশেদ আলম চাঁদপুরের শাহারাস্তি থানার খিলবাজারের পাথর কলওলা বাড়ির মো. দোলোয়ার হোসেনের ছেলে। তার মূল নাম খোরশেদ আলম হলেও সে ইমারান হোসেন.. আরমান হোসেন, মামুনসহ বিভিন্ন নামে পরিচয় দিতো।
সোমবার, ২৯ জুন ২০২০
গার্মেন্ট কর্মী পরিচয়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিল মো. খোরশেদ আলম। একেক সময় একেক এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন নামে গার্মেন্ট কর্মী পরিচয়ে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ করে এলেও খোরশেদ ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। কোন এলাকায় একবার অপরাধ করলে ওই এলাকায় আর থাকতে না সে। নতুন এলাকায় নতুন পরিচয়ে কাজ নিয়ে টার্গেট অনুযায়ী আবার চুরি ডাকাতি বা ছিনতাই করত। তবে এবার আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় প্রবাসীর বাড়ির অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করতে গিয়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হনুফাকে হত্যা করে ধরা পড়তে হয়েছে পেশাদার এ অপরাধীকে। রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে খোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করা হয়। চুরি-ডাকাতিসহ নানা অপরাধের জন্য নাম পরিচয় পরিবর্তনের কথা স্বীকার করলেও হনুফাকে হত্যা তার জীবনের প্রথম খুন বলে জানিয়েছে ভয়ঙ্কর এ অপরাধী।
র্যাব ১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফি উল্লাহ বুলবুল জানান, গত ২০ জুন পুলিশ ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হনুফার লাশ উদ্ধার করে। পরে সুরতহালের মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয় হনুফাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর ওই বাসা থেকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন মালামাল লুট হয়। ঘটনার পর অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হনুফার বড় ভাই মো. রনি বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশের পাশাপাশি মামলাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। তদন্ত করে র্যাব জানতে পারে গৃহবধূ হনুফা বেগম আশুলিয়া থানার জিরাবো বাগান বাড়ী এলাকায় তার ছোট ভাই রুহুল আমিনের বাড়ি দেখাশোনা করে। হনুফার ভাই রুহুল আমিন বিদেশে থাকে। হনুফা বেগম ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সে গত ১৩ জুন ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশে গ্রামের বাড়ি থেকে ছোট ভাই রুহুল আমিনের বাসায় আসে। গত ২০ জুন হনুফার বড় বোন তার (হনুফার) মোবাইল ফোনে কল করে বন্ধ পায়। পরে ওই বাসার ভাড়াটিয়া ছাকিয়া নামে এক নারীর মোবাইল ফোনে কল করে। ভাড়াটিয়া ছকিয়াকে হনুফার বড় বোনের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতে বলে। ভাড়াটিয়া বাসার ৪নং রুমে গেলে হনুফা বেগমের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এরপর হনুফার বড় ভাইসহ তার আত্মীয়স্বজনরা বাসায় এসে জানতে পারে যে অজ্ঞাতনামা আসামি ভিকটিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। নির্মম ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র্যাব-১ হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১ তদন্ত করে হত্যাকারী হিসেবে ভাড়াটিয়া খোরশেদ আলমের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে নিশ্চিত হয়। এরপর খোরশেদ আলমকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করে র্যাব।
গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ও একমাত্র আসামি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানাধীন চর আফজাল এলাকায় অবস্থান করছে। ২৯ জুন সোমবার র্যাব-১, উত্তরা, ঢাকা এর আভিযানিক অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূল আসামি মো. খোরশেদ আলম ওরফে মামুন ওরফে ইমরান হোসেন ওরফে আরমান হোসেন কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার খোরশেদ আলম চাঁদপুরের শাহারাস্তি থানার খিলবাজারের পাথর কলওলা বাড়ির মো. দোলোয়ার হোসেনের ছেলে। তার মূল নাম খোরশেদ আলম হলেও সে ইমারান হোসেন.. আরমান হোসেন, মামুনসহ বিভিন্ন নামে পরিচয় দিতো।