alt

সংস্কৃতি

ফ্যাশন জগতের নক্ষত্র পিয়ের কার্দান আর নেই

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

আধুনিক ফ্যাশন জগতের নক্ষত্র পিয়ের কার্দানকে বলা হয় ব্র্যান্ডিংয়ের পথিকৃত, যিনি পোশাকের নকশা করেছেন ‘এলিটদের’ জন্য, আবার সেই ফ্যাশনকে নিয়ে গেছেন সাধারণের মাঝে।

কিংবদন্তির সেই ফ্যাশন ডিজাইনার পিয়ের কার্দান ফ্যাশন দুনিয়ার রানওয়ে থেকে চিরবিদায় নিলেন ৯৮ বছর বয়সে।

পরিবার জানিয়েছে, মঙ্গলবার প্যারিসের নিউলি এলাকার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই ফ্যাশন আইকনের মৃত্যু হয়।

পিয়ের কার্দানকে বলা হয় ‘ফ্যাশন ফিউচারিস্ট’। পুরনো ফ্যাশন রীতিকে ভেঙে তিনি নতুন করে গড়েছেন ভাবীকালের আদলে। তার ৭০ বছরের ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময় কেটেছে চির নতুনকে আবিষ্কার আর সেই নতুনের বিস্ময়কে পরিধেয়র নকশায় ধারণ করার আতৃপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে।

ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে পিয়ের কার্দান এভিনিউ গড়েছেন নিজের মত করে। প্যারিসের পোশাক রুচি ছিল সব সময়ই দামি। ফরাসি ফ্যাশন প্রবক্তারা বিশ্বাস করতেন, পোশাক হবে সবার জন্য আলাদাভাবে আলাদা মাপে, আলাদা নকশায় তৈরি; ফ্যাশন হবে এক্সক্লুসিভ, চোখ ধাঁধানো, দামে হবে সেরা।

কার্দান সেই দর্শন ভাঙলেন। মাপ দিয়ে বানানোর ঝামেলা এড়িয়ে দোকান থেকে কিনে নিশ্চিন্তে পরে ফেলা যায়, এমন পোশাক রীতির প্রবর্তন করলেন। উঁচু তলার ফ্যাশনকে নিয়ে এলেন মধ্যবিত্তের নাগালে।

বিবিসি লিখেছে, ১৯৫০ এর দশকে তরুণরা যে স্যুট পরত, তাতে তাদের দেখাত তাদের বাবাদের মত। বক্সি জ্যাকেট আর সাদা শার্টের সেই ফ্যাশনকে কার্দান ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। কলার, ল্যাপেল, টেইল আর কাফের বাহুল্য ছেঁটে ফেলে নতুন প্রজন্মের জন্য পোশাক নকশায় রীতিমত বিপ্লব ঘটালেন।

বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পিয়ের কার্দানের হাত ধরেই ফ্যাশন শিল্পের সোনালী অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল।

পোশাক থেকে তোয়ালে- নানা পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে নিজের নাম যুক্ত করে পিয়ের কার্দান পৌঁছে গেছেন সমাজের কেউকেটা থেকে সাধারণ মানুষের ঘরেও।

পরিবার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করার পর কার্দানের অফিসিয়াল ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তার একটি উক্তি পোস্ট করা হয়।

যেখানে তিনি বলে গেছেন: “আমি সব সময় কাজ করেছি আমার নিজের মত করে, যা অন্য সবার চেয়ে আলাদা। আমি সব সময় স্টাইলে আলাদা হওয়ার চেষ্টা করে গেছি, কারণ এটাই টিকে থাকার একমাত্র উপায়।”

১৯৪৫ সালে ইতালিতে জন্ম নেওয়া পিয়ের কার্দান শৈশবেই চলে যান ফ্রান্সে। প্যারিসে ফ্যাশন ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি কাজ করেছেন খ্রিস্টিয়ঁ দিওর মত কোম্পানির সাথে।

চাকরি ছেড়ে ১৯৫০ সালে নিজের ফ্যাশন কোম্পানি খোলেন কার্দান। আইকনিক ‘বাবল ড্রেস’ আর ‘স্পেস এইজ’ কালেকশনের জন্য ডিজাইনার হিসেবে দ্রুত তার নাম ছড়িয়ে পড়ে।

ওই দশকের শেষ দিকেই তার প্রথম ‘রেডি টু ওয়্যার’ কালেকশন বাজারে আসে, যা ছিল তখনকার ফ্যাশন দুনিয়ায় একেবারেই নতুন ধারণা।

অন্য কোম্পানিকে নিজের নকশার পোশাক ও পরিধেয় তৈরির লাইসেন্স দিয়ে উৎপাদন ও সরবরাহের একটি বড় নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিলেন পিয়ের কার্দান।

আর সে কারণেই তার নাম লেখা সানগ্লাস থেকে পারফিউম আজ দেখা যায় দুনিয়ার সর্বত্র।

পপ তারকা আর ব্যালে শিল্পীদের গায়ে যেমন কার্দানের নকশার পোশাক দেখা যেতে লাগল, সাধারণ ক্রেতাদেরও তা কেনার সুযোগ হল।

তার বাহুল্যবর্জিত স্মার্ট ডিজাইন দ্রুত জনপ্রিয়তা পেল তরুণদের মধ্যে। বিখ্যাত ব্যান্ড দল বিটলস তো জানিয়েই দিল, “আগামী দিনের পথে এক পা এগিয়ে আছে কার্দান।”

ছবি

পাবলিশহার এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশের মিতিয়া ওসমান

ছবি

চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর পরিবেশে বর্ষ বরন সম্পন্ন

ছবি

জামালপুরে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত

ছবি

বনাঢ্য নানান আয়োজনে বিভাগীয় নগরী রংপুরে পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ

ছবি

আজ চৈত্র সংক্রান্তি

ছবি

বর্ষবরণে সময়ের বিধি-নিষেধ মানবে না সাংস্কৃতিক জোট

ছবি

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার গুণীজন সংবর্ধনা

ছবি

স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রায় সকল প্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে হবে : ড. কামাল চৌধুরী

ছবি

এলাকাবাসীর সঙ্গে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের নতুন কমিটি, ড. সনজীদা খাতুন সভাপতি, ড. আতিউর রহমান নির্বাহী সভাপতি,লিলি ইসলাম সাধারণ সম্পাদক

ছবি

এবার বইমেলায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি

ছবি

আজ শেষ হচ্ছে মহান একুশের বইমেলা, বিক্রি বেড়েছে শেষ মুহুর্তে

ছবি

আগামী বছর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার জায়গা বরাদ্দ নাওদিতে পারে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়

ছবি

বইমেলা, মেয়াদ বাড়ায় খুশি সবাই

ছবি

বইমেলায় ফ্রান্স প্রবাসী কাজী এনায়েত উল্লাহর দুই বই

ছবি

নারী লেখকদের বই কম, বিক্রিও কম

ছবি

বইমেলায় বিদায়ের সুর

ছবি

শিশুদের আনন্দ উচ্ছ্বাসে জমজমাট বইমেলার শিশু প্রহর

ছবি

বইমেলায় শিশুদের চোখে মুখে ছিল আনন্দ উচ্ছ্বাস

ছবি

বই মেলায় খুদে লেখকদের গল্প সংকলন ‘কিশোর রূপাবলি’

ছবি

`বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশিত উন্নত শিরের বাঙালি জাতি চাই’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

ছবি

বইমেলায় সরোজ মেহেদীর ‘চেনা নগরে অচিন সময়ে’

ছবি

বইমেলায় মাহবুবুর রহমান তুহিনের ‘চেকবই’

বইমেলায় প্রকাশিত হলো সাংবাদিক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বলের ‘যাপিত জীবনের গল্প’

ছবি

সমাজসেবায় একুশে পদকঃ এখনও ফেরি করে দই বিক্রি করেন জিয়াউল হক

ছবি

বইমেলায় পন্নী নিয়োগীর নতুন গ্রল্পগ্রন্থ আতশবাজি

ছবি

ভাষার শক্তি জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সুদৃঢ় করে: উপাচার্য ড. মশিউর রহমান

ছবি

রুবেলের গ্রন্থ শিশির ঝরা কবিতা

ঢাবিতে পাঁচ দিনব্যাপী ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র’ উৎসব শুরু

ছবি

সোনারগাঁয়ে লোকজ উৎসবে খেলাঘরের নাচ-গান পরিবেশন

ছবি

বাংলা একাডেমি পুরস্কার ফেরত দিলেন জাকির তালুকদার

ছবি

রংতুলির মাধ্যমে নিরাপদ সড়কের দাবি শিশুদের

ছবি

জাতীয় প্রেস ক্লাবে পিঠা উৎসব ও লোকগানের আসর

ফরিদপুরে ২ ফেব্রূয়ারি থেকে ঐতিহ্যবাহী জসীম পল্লী মেলা

ছবি

লেনিন উপন্যাসের প্রকাশনা উৎসব

ছবি

ঢাবিতে ৭ম নন-ফিকশন বইমেলার উদ্বোধন

tab

সংস্কৃতি

ফ্যাশন জগতের নক্ষত্র পিয়ের কার্দান আর নেই

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

আধুনিক ফ্যাশন জগতের নক্ষত্র পিয়ের কার্দানকে বলা হয় ব্র্যান্ডিংয়ের পথিকৃত, যিনি পোশাকের নকশা করেছেন ‘এলিটদের’ জন্য, আবার সেই ফ্যাশনকে নিয়ে গেছেন সাধারণের মাঝে।

কিংবদন্তির সেই ফ্যাশন ডিজাইনার পিয়ের কার্দান ফ্যাশন দুনিয়ার রানওয়ে থেকে চিরবিদায় নিলেন ৯৮ বছর বয়সে।

পরিবার জানিয়েছে, মঙ্গলবার প্যারিসের নিউলি এলাকার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই ফ্যাশন আইকনের মৃত্যু হয়।

পিয়ের কার্দানকে বলা হয় ‘ফ্যাশন ফিউচারিস্ট’। পুরনো ফ্যাশন রীতিকে ভেঙে তিনি নতুন করে গড়েছেন ভাবীকালের আদলে। তার ৭০ বছরের ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময় কেটেছে চির নতুনকে আবিষ্কার আর সেই নতুনের বিস্ময়কে পরিধেয়র নকশায় ধারণ করার আতৃপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে।

ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে পিয়ের কার্দান এভিনিউ গড়েছেন নিজের মত করে। প্যারিসের পোশাক রুচি ছিল সব সময়ই দামি। ফরাসি ফ্যাশন প্রবক্তারা বিশ্বাস করতেন, পোশাক হবে সবার জন্য আলাদাভাবে আলাদা মাপে, আলাদা নকশায় তৈরি; ফ্যাশন হবে এক্সক্লুসিভ, চোখ ধাঁধানো, দামে হবে সেরা।

কার্দান সেই দর্শন ভাঙলেন। মাপ দিয়ে বানানোর ঝামেলা এড়িয়ে দোকান থেকে কিনে নিশ্চিন্তে পরে ফেলা যায়, এমন পোশাক রীতির প্রবর্তন করলেন। উঁচু তলার ফ্যাশনকে নিয়ে এলেন মধ্যবিত্তের নাগালে।

বিবিসি লিখেছে, ১৯৫০ এর দশকে তরুণরা যে স্যুট পরত, তাতে তাদের দেখাত তাদের বাবাদের মত। বক্সি জ্যাকেট আর সাদা শার্টের সেই ফ্যাশনকে কার্দান ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। কলার, ল্যাপেল, টেইল আর কাফের বাহুল্য ছেঁটে ফেলে নতুন প্রজন্মের জন্য পোশাক নকশায় রীতিমত বিপ্লব ঘটালেন।

বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পিয়ের কার্দানের হাত ধরেই ফ্যাশন শিল্পের সোনালী অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল।

পোশাক থেকে তোয়ালে- নানা পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে নিজের নাম যুক্ত করে পিয়ের কার্দান পৌঁছে গেছেন সমাজের কেউকেটা থেকে সাধারণ মানুষের ঘরেও।

পরিবার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করার পর কার্দানের অফিসিয়াল ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তার একটি উক্তি পোস্ট করা হয়।

যেখানে তিনি বলে গেছেন: “আমি সব সময় কাজ করেছি আমার নিজের মত করে, যা অন্য সবার চেয়ে আলাদা। আমি সব সময় স্টাইলে আলাদা হওয়ার চেষ্টা করে গেছি, কারণ এটাই টিকে থাকার একমাত্র উপায়।”

১৯৪৫ সালে ইতালিতে জন্ম নেওয়া পিয়ের কার্দান শৈশবেই চলে যান ফ্রান্সে। প্যারিসে ফ্যাশন ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি কাজ করেছেন খ্রিস্টিয়ঁ দিওর মত কোম্পানির সাথে।

চাকরি ছেড়ে ১৯৫০ সালে নিজের ফ্যাশন কোম্পানি খোলেন কার্দান। আইকনিক ‘বাবল ড্রেস’ আর ‘স্পেস এইজ’ কালেকশনের জন্য ডিজাইনার হিসেবে দ্রুত তার নাম ছড়িয়ে পড়ে।

ওই দশকের শেষ দিকেই তার প্রথম ‘রেডি টু ওয়্যার’ কালেকশন বাজারে আসে, যা ছিল তখনকার ফ্যাশন দুনিয়ায় একেবারেই নতুন ধারণা।

অন্য কোম্পানিকে নিজের নকশার পোশাক ও পরিধেয় তৈরির লাইসেন্স দিয়ে উৎপাদন ও সরবরাহের একটি বড় নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিলেন পিয়ের কার্দান।

আর সে কারণেই তার নাম লেখা সানগ্লাস থেকে পারফিউম আজ দেখা যায় দুনিয়ার সর্বত্র।

পপ তারকা আর ব্যালে শিল্পীদের গায়ে যেমন কার্দানের নকশার পোশাক দেখা যেতে লাগল, সাধারণ ক্রেতাদেরও তা কেনার সুযোগ হল।

তার বাহুল্যবর্জিত স্মার্ট ডিজাইন দ্রুত জনপ্রিয়তা পেল তরুণদের মধ্যে। বিখ্যাত ব্যান্ড দল বিটলস তো জানিয়েই দিল, “আগামী দিনের পথে এক পা এগিয়ে আছে কার্দান।”

back to top