ভাষাসংগ্রামী, লেখক, বুদ্ধিজীবী আহমদ রফিক অসুস্থ অবস্থায় অসহায় জীবন যাপন করছেন। তিনি আমাদের মহান মনীষী। ভাষা আন্দোলনে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করেছেন। বাঙালির প্রতিটি আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সৃষ্টিশীল লেখা ও গবেষণা ছাড়াও তিনি জাতীয় ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলাভাষা, বাংলা সাহিত্যে তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি একাধারে কবি, কথাশিল্পী, সাহিত্য-সমাজ-রাজনীতি-বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ে বহু গ্রন্থের লেখক, তিনি রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য। পেশায় তিনি একজন ডাক্তার ছিলেন। জীবনভর দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। রবীন্দ্র চর্চা কেন্দ্র ট্রাস্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন তিনি। তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশ পদক পেয়েছেন। এ ছাড়াও কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাঁকে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধিতে ভূষিত করেছে। তিনি তাঁর জমানো বিশ লাখ টাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাস্ট করে খরচ করেছেন। তার সন্তানাদি নেই, একা মানুষ। এখন প্রবল আর্থিক কষ্টে পড়েছেন। খুব সম্প্রতি তাঁর ৯৩তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে ‘আজকের পত্রিকা’য় এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আইন চেয়েছেন। আমরা তাঁর এই দাবির সঙ্গে তাঁর বর্তমান অবস্থার সম্পৃক্ততা অনুভব করে বিচলিত বোধ করছি। তিনি অত্যন্ত আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মানুষ, কোনো অবস্থাতেই ব্যক্তি মানুষের দান-খয়রাত গ্রহণ করতে একেবারেই প্রস্তুত নন। এমতাবস্থায় রাষ্ট্রীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য এই মানুষটিকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু-কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে অনেক লেখকের কল্যাণে এগিয়ে এসেছেন। আশা করি, আহমদ রফিককে এককালীন ৩০ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করে তাঁর বাকি জীবনটাকে শান্তিপূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ণ করে তুলবেন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ দাবির পক্ষে স্বাক্ষর করেন-- শাহনাজ মুন্নী, শোয়াইব জিবরান, ওবায়েদ আকাশ, আহমাদ মোস্তফা কামাল, রাজীব নূর, লোপা মমতাজ, জোবাইদা নাসরিন, কবির হুমায়ূন, আলফ্রেড খোকন, শামীম রেজা, রেজা ঘটক, আফরোজা সোমা, পিয়াস মজিদ, মোজাফফর হোসেন, সাইমন জাকারিয়া, স্বকৃত নোমান, শাহেদ কায়েস ও সরকার আমিন।
-- বিজ্ঞপ্তি।
মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
ভাষাসংগ্রামী, লেখক, বুদ্ধিজীবী আহমদ রফিক অসুস্থ অবস্থায় অসহায় জীবন যাপন করছেন। তিনি আমাদের মহান মনীষী। ভাষা আন্দোলনে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করেছেন। বাঙালির প্রতিটি আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সৃষ্টিশীল লেখা ও গবেষণা ছাড়াও তিনি জাতীয় ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলাভাষা, বাংলা সাহিত্যে তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি একাধারে কবি, কথাশিল্পী, সাহিত্য-সমাজ-রাজনীতি-বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ে বহু গ্রন্থের লেখক, তিনি রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য। পেশায় তিনি একজন ডাক্তার ছিলেন। জীবনভর দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। রবীন্দ্র চর্চা কেন্দ্র ট্রাস্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন তিনি। তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশ পদক পেয়েছেন। এ ছাড়াও কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাঁকে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধিতে ভূষিত করেছে। তিনি তাঁর জমানো বিশ লাখ টাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাস্ট করে খরচ করেছেন। তার সন্তানাদি নেই, একা মানুষ। এখন প্রবল আর্থিক কষ্টে পড়েছেন। খুব সম্প্রতি তাঁর ৯৩তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে ‘আজকের পত্রিকা’য় এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আইন চেয়েছেন। আমরা তাঁর এই দাবির সঙ্গে তাঁর বর্তমান অবস্থার সম্পৃক্ততা অনুভব করে বিচলিত বোধ করছি। তিনি অত্যন্ত আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মানুষ, কোনো অবস্থাতেই ব্যক্তি মানুষের দান-খয়রাত গ্রহণ করতে একেবারেই প্রস্তুত নন। এমতাবস্থায় রাষ্ট্রীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য এই মানুষটিকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু-কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে অনেক লেখকের কল্যাণে এগিয়ে এসেছেন। আশা করি, আহমদ রফিককে এককালীন ৩০ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করে তাঁর বাকি জীবনটাকে শান্তিপূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ণ করে তুলবেন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ দাবির পক্ষে স্বাক্ষর করেন-- শাহনাজ মুন্নী, শোয়াইব জিবরান, ওবায়েদ আকাশ, আহমাদ মোস্তফা কামাল, রাজীব নূর, লোপা মমতাজ, জোবাইদা নাসরিন, কবির হুমায়ূন, আলফ্রেড খোকন, শামীম রেজা, রেজা ঘটক, আফরোজা সোমা, পিয়াস মজিদ, মোজাফফর হোসেন, সাইমন জাকারিয়া, স্বকৃত নোমান, শাহেদ কায়েস ও সরকার আমিন।
-- বিজ্ঞপ্তি।