alt

শিক্ষা

বেশিরভাগ বই উপজেলায় পৌঁছে গেছে

বিনামূল্যের পাঠ্যবই স্কুল পর্যায়ে বিতরণ শুরু

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০

নারায়নগঞ্জে সরকারের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মজুদ পরিদর্শন করছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহীন্দ্র কুমার মন্ডল - সংবাদ

কাগজের মূল্য বৃদ্ধি এবং বাজারে কাগজ সংকটের কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই দেশের সব ছাত্রছাত্রী নতুন বই না পাওয়ার আশঙ্কার মধ্যেই বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) থেকে সারাদেশে স্কুলপর্যায়ে সরকারের বিনামূল্যের বই বিতরণ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে মোট চাহিদার বেশিরভাগ বই উপজেলাপর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য ছাপা হচ্ছে প্রায় ৩৬ কোটি পাঠ্যবই। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ২২ কোটি কপি বই উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে ছাপাখানা মালিকরা (মুদ্রাকর)। ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ২/৩ কোটি বই ছাপা হতে পারে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

২০২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ৩৬ কোটি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই সব বই ছাপা ও সরবরাহ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা থাকলেও সেই লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২২ ডিসেম্বর প্রাথমিক স্তরের আট কোটি ৪৫ লাখ ৬৫ হাজার কপি এবং মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের ১৩ কোটি ৭২ লাখ ৫৮ হাজার কপি বই উপজেলা পর্যায়ে ছেপে সরবরাহ করেছে ছাপাখানা মালিকরা। নির্ধারিত সময়ে সব বই ছাপা সম্ভব না হওয়ায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এবার রাজধানী ও আশপাশের এলাকা এবং বিশেষ বিশেষ জেলাগুলোতে শতভাগ বই সরবরাহের চেষ্টা চলছে।

পাঠ্যবইয়ের মান তদারকির দায়িত্ব পাওয়া ‘ইন্ডিপেনডেন্ট ইন্সপেকশন সার্সিসেস বিডি’ প্রধান শেখ বেলাল হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কোনভাবেই ৭৫ শতাংশের বেশি পাঠ্যবই স্কুলে পাঠানো সম্ভব হবে না। প্রাথমিকের বইয়ের অবস্থা কিছুটা ভালো হলেও মাধ্যমিকে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বই এই বছর পাঠানো যাবে না।’

নি¤œমানের কাগজে বই ছাপার কারণে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের কাজ বন্ধ রয়েছে জানিয়ে শেখ বেলাল হোসেন বলেন, এই ১৫টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বই আছে অন্তত পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি।

২০২১ সালে প্রাথমিক স্তরের (প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী) ৯ কোটি ৫৮ লাখ ৩২ হাজার ৭১৪ কপি এবং প্রাক-প্রাথমিক স্তরের ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার ২২২ কপি বই ছাপা হচ্ছে। আর ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর জন্য ব্রেইল বইসহ (৯ হাজার ৫০৪টি) ২৪ কোটি ৪১ লাখ ২২ হাজার ৩৪৯টি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। কারিগরি ও মাদ্রাসা স্তরসহ সব মিলিয়ে প্রায় ৩৬ কোটি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে।

পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিপণন সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান সার্বিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংবাদকে বলেছেন, ‘নির্ধারিত সময়ে কোনভাবেই বই পাঠানো সম্ভব হবে না। করোনা সংক্রমণের কারণে পুরো কার্যক্রমই ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া সক্ষমতা যাচাই-বাচাই না করে অনেক প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়াও একটি বড় কারণ। আবার হঠাৎ করে কাগজের দাম বৃদ্ধি পাওয়া এবং বাজারে ভালোমানের কাগজের সংকটের কারণে ছাপার কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিবছর দরপত্র আহ্বানের সময়ের তুলনায় পরবর্তীতে কাগজের দাম কমলেও এবার হয়েছে উল্টো।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বৃহস্পতিবার সংবাদকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব বই স্কুলপর্র্যয়ে পৌঁছে দিতে, কিছু বই ছাপার কাজ বাদ থাকলেও কোন সমস্যা হবে না। কারণ আমরা সব স্কুলেই বই পৌঁছাতে চেষ্টা করছি। যাদের ১২/১৩টি বই, তারা হয়তো ২/৩টি বই কম পাবে, বাকি বইগুলো পরবর্তীতে পেয়ে যাবে। আমরা সেভাবেই স্কুলে বই পাঠাচ্ছি।’

সংবাদ-এর নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য চাহিদার ৯৫ শতাংশ নতুন বই নারায়ণগঞ্জে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার থেকে স্কুলপর্যায়ে নতুন বিতরণ শুরু হয়েছে। এবার জেলায় প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ নতুন পাঠ্যবইয়ের চাহিদা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে বছরের প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানোর কার্যক্রম শুরু করার কথা জানিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে পাওয়া তথ্যমতে, নারায়ণগঞ্জে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এখন পর্যন্ত (বুধবার) মোট ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৪৩২ হাজার নতুন বই এসে পৌঁছেছে। চাহিদা রয়েছে ১৭ লাখ ৩২ হাজার ৩০২। জেলায় মোট ৫৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১১২৮টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। জেলায় মোট ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের সবার কাছে বছরের প্রথম দিন থেকেই বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, অন্য বছরের মতো বই উৎসবে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতির বিষয়টি এবার হবে না। বই বিতরণের জন্য সরকারি কয়েকটি নির্দেশনা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জড়ো করা হবে না। শ্রেণী অনুযায়ী ভাগ করে অভিভাবকদের কাছে বই বিতরণ করা হবে। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের বাড়ি-বাড়ি বই পৌঁছে দেয়া হবে।

তীব্র গরমেও বাড়ছে না ছুটি, রবিবার খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

৫০ শতাংশ লিখিত ও ৫০ শতাংশ কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়ন

নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তম শ্রেণীতে শরীফার গল্প থাকছে

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও দ্রুত সেবা প্রদানে নির্দেশ

তাপদাহের কারণে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস , মিডটার্ম পরীক্ষা স্থগিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ব-শরীরেই চলবে ক্লাস-পরীক্ষা

ছবি

গরমের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সকল কলেজের ক্লাস বন্ধ

ছবি

তৃতীয় দফায় তিনদিন শ্রেণি কার্যক্রম বর্জনে ঘোষণা কুবি শিক্ষক সমিতির

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ১ম বর্ষ ভর্তির আবেদনের ২য় মেধা তালিকা প্রকাশ

ছবি

বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে অব্যাহতি

ছবি

এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু মঙ্গলবার, চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত

ছবি

স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরন

ছবি

রাবি-চবির অধিভুক্ত হল ৯ সরকারি কলেজ

ছবি

১১ মের মধ্যেই এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

নতুন শিক্ষাক্রম : আগের ধাচেই শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি এনটিআরসিএ’র

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে ফি আদায় করলে ব্যবস্থা

ছবি

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ৩০ জুন, রুটিন প্রকাশ

ছবি

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে : হাইকোর্ট

ছবি

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির দাবিতে দেশব্যাপী মানববন্ধন করবে ছাত্রলীগ

ছবি

তিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে তিন ক্যাম্পাসে চলছে পাল্টাপাল্টি মহড়া

ছবি

৩০টি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব স্থগিত:এনবিআর

ছবি

শিক্ষায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় স্তরে পারিবারিক ব্যয় বেড়েছে

শিক্ষায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় স্তরে পারিবারিক ব্যয় বেড়েছে

কক্সবাজারে ওয়্যারলেস অডিও ডিভাইসসহ দুইজন আটক

ছবি

মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে, বেড়েছে মাদ্রাসায়

ছবি

দুর্নীতির অভিযোগে বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বরখাস্ত

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৬ দিনের ছুটি শুরু

ছবি

শনিবার স্কুল খোলা রাখার ইঙ্গিত: শিক্ষামন্ত্রী নওফেল

উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সমাপনী পরীক্ষা পাঁচ ঘণ্টা করার প্রস্তাব এনসিটিবির

ছবি

ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদ

ছবি

এইচএসসি পরীক্ষা কার কোন কেন্দ্রে, তালিকা প্রকাশ

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের শতাধিক ‘ট্রেড কোর্সের’ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই সংস্থার দ্বন্দ্ব

ছবি

ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের ২০০ বছর বয়সী ভবন ভাঙার প্রতিবাদে মানববন্ধন

কেমব্রিজ পরীক্ষায় ডিপিএস শিক্ষার্থীদের অনন্য সাফল্য

ছবি

বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে

tab

শিক্ষা

বেশিরভাগ বই উপজেলায় পৌঁছে গেছে

বিনামূল্যের পাঠ্যবই স্কুল পর্যায়ে বিতরণ শুরু

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

নারায়নগঞ্জে সরকারের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মজুদ পরিদর্শন করছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহীন্দ্র কুমার মন্ডল - সংবাদ

বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০

কাগজের মূল্য বৃদ্ধি এবং বাজারে কাগজ সংকটের কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই দেশের সব ছাত্রছাত্রী নতুন বই না পাওয়ার আশঙ্কার মধ্যেই বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) থেকে সারাদেশে স্কুলপর্যায়ে সরকারের বিনামূল্যের বই বিতরণ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে মোট চাহিদার বেশিরভাগ বই উপজেলাপর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য ছাপা হচ্ছে প্রায় ৩৬ কোটি পাঠ্যবই। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ২২ কোটি কপি বই উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে ছাপাখানা মালিকরা (মুদ্রাকর)। ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ২/৩ কোটি বই ছাপা হতে পারে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

২০২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ৩৬ কোটি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই সব বই ছাপা ও সরবরাহ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা থাকলেও সেই লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২২ ডিসেম্বর প্রাথমিক স্তরের আট কোটি ৪৫ লাখ ৬৫ হাজার কপি এবং মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের ১৩ কোটি ৭২ লাখ ৫৮ হাজার কপি বই উপজেলা পর্যায়ে ছেপে সরবরাহ করেছে ছাপাখানা মালিকরা। নির্ধারিত সময়ে সব বই ছাপা সম্ভব না হওয়ায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এবার রাজধানী ও আশপাশের এলাকা এবং বিশেষ বিশেষ জেলাগুলোতে শতভাগ বই সরবরাহের চেষ্টা চলছে।

পাঠ্যবইয়ের মান তদারকির দায়িত্ব পাওয়া ‘ইন্ডিপেনডেন্ট ইন্সপেকশন সার্সিসেস বিডি’ প্রধান শেখ বেলাল হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কোনভাবেই ৭৫ শতাংশের বেশি পাঠ্যবই স্কুলে পাঠানো সম্ভব হবে না। প্রাথমিকের বইয়ের অবস্থা কিছুটা ভালো হলেও মাধ্যমিকে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বই এই বছর পাঠানো যাবে না।’

নি¤œমানের কাগজে বই ছাপার কারণে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের কাজ বন্ধ রয়েছে জানিয়ে শেখ বেলাল হোসেন বলেন, এই ১৫টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বই আছে অন্তত পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি।

২০২১ সালে প্রাথমিক স্তরের (প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী) ৯ কোটি ৫৮ লাখ ৩২ হাজার ৭১৪ কপি এবং প্রাক-প্রাথমিক স্তরের ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার ২২২ কপি বই ছাপা হচ্ছে। আর ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর জন্য ব্রেইল বইসহ (৯ হাজার ৫০৪টি) ২৪ কোটি ৪১ লাখ ২২ হাজার ৩৪৯টি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। কারিগরি ও মাদ্রাসা স্তরসহ সব মিলিয়ে প্রায় ৩৬ কোটি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে।

পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিপণন সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান সার্বিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংবাদকে বলেছেন, ‘নির্ধারিত সময়ে কোনভাবেই বই পাঠানো সম্ভব হবে না। করোনা সংক্রমণের কারণে পুরো কার্যক্রমই ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া সক্ষমতা যাচাই-বাচাই না করে অনেক প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়াও একটি বড় কারণ। আবার হঠাৎ করে কাগজের দাম বৃদ্ধি পাওয়া এবং বাজারে ভালোমানের কাগজের সংকটের কারণে ছাপার কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিবছর দরপত্র আহ্বানের সময়ের তুলনায় পরবর্তীতে কাগজের দাম কমলেও এবার হয়েছে উল্টো।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বৃহস্পতিবার সংবাদকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব বই স্কুলপর্র্যয়ে পৌঁছে দিতে, কিছু বই ছাপার কাজ বাদ থাকলেও কোন সমস্যা হবে না। কারণ আমরা সব স্কুলেই বই পৌঁছাতে চেষ্টা করছি। যাদের ১২/১৩টি বই, তারা হয়তো ২/৩টি বই কম পাবে, বাকি বইগুলো পরবর্তীতে পেয়ে যাবে। আমরা সেভাবেই স্কুলে বই পাঠাচ্ছি।’

সংবাদ-এর নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য চাহিদার ৯৫ শতাংশ নতুন বই নারায়ণগঞ্জে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার থেকে স্কুলপর্যায়ে নতুন বিতরণ শুরু হয়েছে। এবার জেলায় প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ নতুন পাঠ্যবইয়ের চাহিদা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে বছরের প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানোর কার্যক্রম শুরু করার কথা জানিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে পাওয়া তথ্যমতে, নারায়ণগঞ্জে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এখন পর্যন্ত (বুধবার) মোট ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৪৩২ হাজার নতুন বই এসে পৌঁছেছে। চাহিদা রয়েছে ১৭ লাখ ৩২ হাজার ৩০২। জেলায় মোট ৫৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১১২৮টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। জেলায় মোট ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের সবার কাছে বছরের প্রথম দিন থেকেই বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, অন্য বছরের মতো বই উৎসবে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতির বিষয়টি এবার হবে না। বই বিতরণের জন্য সরকারি কয়েকটি নির্দেশনা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জড়ো করা হবে না। শ্রেণী অনুযায়ী ভাগ করে অভিভাবকদের কাছে বই বিতরণ করা হবে। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের বাড়ি-বাড়ি বই পৌঁছে দেয়া হবে।

back to top