শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ১০০ নম্বরের এমসিকিউ অংশ নিতে হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস ৪০ বলে গণ্য। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর হতে ০.৫০ নম্বর কাটা হয়।
বিষয় ও নম্বর বণ্টন : বাংলা ২৫, ইংরেজি ২৫, গণিত ২৫ এবং সাধারণ জ্ঞান ২৫ নম্বর; মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
বাংলা : বাংলা অংশে ভালো করতে হলে জোর দিতে হবে ব্যাকরণে। ভাষারীতি, বিরাম চিহ্নের ব্যবহার, বাগধারা ও বাগবিধি, শুদ্ধকরণ, সন্ধি বিচ্ছেদ, কারক, বিভক্তি, সমাস, প্রত্যয়, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, বাক্য সংকোচন ও লিঙ্গ পরিবর্তনের ওপর ভালো দখল রাখতে হবে। স্কুল পর্যায়ের জন্য নবম ও দশম শ্রেণির বোর্ডের ব্যাকরণ বইয়ের আদ্যোপান্ত পড়তে হবে। কলেজ পর্যায়ের জন্য একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড বই দেখতে হবে।
ইংরেজি : গ্রামারের খুঁটিনাটি বিষয়গুলোতে দুর্বলতা কাটাতে হবে। Completing Sentences, Translation Form Bangali to English, Change of parts of Speech, Right Forms of verb, Fill in the Blanks with Appropriate Word, Transformation of sentences, Synonyms and Antonyms,Voice Change, Narration, Idioms and Phrases, Article টপিকগুলোর নিয়ম দেখার পাশাপাশি এগুলোর ওপর তৈরি নমুনা প্রশ্ন দেখে অনুশীলন করতে হবে। এসব টপিক থেকেই প্রশ্ন আসবে। ইংরেজি অংশে ভালো প্রস্তুতির জন্য প্রফেসরস প্রকাশনীর ‘কমপ্লিট এক্সাম’ বইটি বেশ কাজে দেবে।
গণিত : পাটিগণিত অংশে ঐকিক নিয়ম, ল.সা.গু, গ.সা.গু, শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, অনুপাত-সমানুপাত অধ্যায়গুলো ভালোভাবে চর্চা করতে হবে। বীজগণিতের উৎপাদক, বর্গ ও ঘনসংবলিত সূত্রাবলি এবং প্রয়োগ, সূচক ও লগারিদম অধ্যায় থেকে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক, যেন ঠিকভাবে দেওয়া যায়, সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
জ্যামিতির ক্ষেত্রে রেখা, কোণ, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, ক্ষেত্রফল ও বৃত্ত অধ্যায় থেকেও যেন কিছু বাদ না যায়। অনেক সময় প্রশ্নে এমন কিছু ‘সমস্যা’ দেওয়া থাকে, যেগুলোর সমাধানে অনেক সময় লেগে যায়। এর জন্য আগে থেকেই বড় ও জটিল সমস্যা বা অঙ্কের সমাধানের টেকনিক বা সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি সম্পর্কে জানা থাকতে হবে। নমুনা প্রশ্ন দেখে বেশি বেশি চর্চা করলেই সহজ ও অল্প সময়ে সমাধানের টেকনিক বের করা যাবে।
সাধারণ জ্ঞান : প্রতিদিন পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালগুলো দেখলেই সাধারণ জ্ঞানে আপডেটেড থাকা যায়। নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার করলে দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালগুলোর অফিশিয়াল পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন। তাহলে সেসব সাইটের খবরগুলো সময়ে সময়ে নজরে আসবে। তথ্যমূলক কোনো লেখাই যেন বাদ না পড়ে যায়, এর জন্য প্রতিদিন অন্তত দু-একটি ছাপা পত্রিকা ও অন্যান্য প্রকাশনা দেখতে পারেন। পরিবেশ ও চিকিৎসা বিজ্ঞান, বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু, প্রাচীন বাংলার ইতিহাস ও সভ্যতা, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম, নদ-নদী আর আন্তর্জাতিক অংশের জন্য বিভিন্ন দেশের ভৌগোলিক পরিচিতি, মুদ্রা, দিবস, পুরস্কার ও সম্মাননা, জাতিসংঘ, প্রাত্যহিক জীবনে বিজ্ঞান, তথ্য-প্রযুক্তি, রোগব্যাধি, খেলাধুলা, ক্রিকেট ইত্যাদির ওপর প্রশ্ন থাকবে।
গুরুত্বপূর্ণ বই : বিগত বছরগুলোর শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ও বিসিএস প্রশ্নগুলো চর্চা করলে প্রিলিমিনারির প্রস্তুতি অনেকটাই হয়ে যায়। বাজারে এসব পরীক্ষার ‘প্রশ্ন ব্যাংক’ বই আকারে পাওয়া যায়। এছাড়া বাজারে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সহায়ক বিভিন্ন বই পাওয়া যায়। এগুলো সংগ্রহ করে পড়তে পারেন।
বুধবার, ০৫ মে ২০২১
শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ১০০ নম্বরের এমসিকিউ অংশ নিতে হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস ৪০ বলে গণ্য। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর হতে ০.৫০ নম্বর কাটা হয়।
বিষয় ও নম্বর বণ্টন : বাংলা ২৫, ইংরেজি ২৫, গণিত ২৫ এবং সাধারণ জ্ঞান ২৫ নম্বর; মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
বাংলা : বাংলা অংশে ভালো করতে হলে জোর দিতে হবে ব্যাকরণে। ভাষারীতি, বিরাম চিহ্নের ব্যবহার, বাগধারা ও বাগবিধি, শুদ্ধকরণ, সন্ধি বিচ্ছেদ, কারক, বিভক্তি, সমাস, প্রত্যয়, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, বাক্য সংকোচন ও লিঙ্গ পরিবর্তনের ওপর ভালো দখল রাখতে হবে। স্কুল পর্যায়ের জন্য নবম ও দশম শ্রেণির বোর্ডের ব্যাকরণ বইয়ের আদ্যোপান্ত পড়তে হবে। কলেজ পর্যায়ের জন্য একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড বই দেখতে হবে।
ইংরেজি : গ্রামারের খুঁটিনাটি বিষয়গুলোতে দুর্বলতা কাটাতে হবে। Completing Sentences, Translation Form Bangali to English, Change of parts of Speech, Right Forms of verb, Fill in the Blanks with Appropriate Word, Transformation of sentences, Synonyms and Antonyms,Voice Change, Narration, Idioms and Phrases, Article টপিকগুলোর নিয়ম দেখার পাশাপাশি এগুলোর ওপর তৈরি নমুনা প্রশ্ন দেখে অনুশীলন করতে হবে। এসব টপিক থেকেই প্রশ্ন আসবে। ইংরেজি অংশে ভালো প্রস্তুতির জন্য প্রফেসরস প্রকাশনীর ‘কমপ্লিট এক্সাম’ বইটি বেশ কাজে দেবে।
গণিত : পাটিগণিত অংশে ঐকিক নিয়ম, ল.সা.গু, গ.সা.গু, শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, অনুপাত-সমানুপাত অধ্যায়গুলো ভালোভাবে চর্চা করতে হবে। বীজগণিতের উৎপাদক, বর্গ ও ঘনসংবলিত সূত্রাবলি এবং প্রয়োগ, সূচক ও লগারিদম অধ্যায় থেকে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক, যেন ঠিকভাবে দেওয়া যায়, সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
জ্যামিতির ক্ষেত্রে রেখা, কোণ, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, ক্ষেত্রফল ও বৃত্ত অধ্যায় থেকেও যেন কিছু বাদ না যায়। অনেক সময় প্রশ্নে এমন কিছু ‘সমস্যা’ দেওয়া থাকে, যেগুলোর সমাধানে অনেক সময় লেগে যায়। এর জন্য আগে থেকেই বড় ও জটিল সমস্যা বা অঙ্কের সমাধানের টেকনিক বা সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি সম্পর্কে জানা থাকতে হবে। নমুনা প্রশ্ন দেখে বেশি বেশি চর্চা করলেই সহজ ও অল্প সময়ে সমাধানের টেকনিক বের করা যাবে।
সাধারণ জ্ঞান : প্রতিদিন পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালগুলো দেখলেই সাধারণ জ্ঞানে আপডেটেড থাকা যায়। নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার করলে দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালগুলোর অফিশিয়াল পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন। তাহলে সেসব সাইটের খবরগুলো সময়ে সময়ে নজরে আসবে। তথ্যমূলক কোনো লেখাই যেন বাদ না পড়ে যায়, এর জন্য প্রতিদিন অন্তত দু-একটি ছাপা পত্রিকা ও অন্যান্য প্রকাশনা দেখতে পারেন। পরিবেশ ও চিকিৎসা বিজ্ঞান, বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু, প্রাচীন বাংলার ইতিহাস ও সভ্যতা, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম, নদ-নদী আর আন্তর্জাতিক অংশের জন্য বিভিন্ন দেশের ভৌগোলিক পরিচিতি, মুদ্রা, দিবস, পুরস্কার ও সম্মাননা, জাতিসংঘ, প্রাত্যহিক জীবনে বিজ্ঞান, তথ্য-প্রযুক্তি, রোগব্যাধি, খেলাধুলা, ক্রিকেট ইত্যাদির ওপর প্রশ্ন থাকবে।
গুরুত্বপূর্ণ বই : বিগত বছরগুলোর শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ও বিসিএস প্রশ্নগুলো চর্চা করলে প্রিলিমিনারির প্রস্তুতি অনেকটাই হয়ে যায়। বাজারে এসব পরীক্ষার ‘প্রশ্ন ব্যাংক’ বই আকারে পাওয়া যায়। এছাড়া বাজারে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সহায়ক বিভিন্ন বই পাওয়া যায়। এগুলো সংগ্রহ করে পড়তে পারেন।