স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার খবরের ‘কোনো সত্যতা নেই’ বলে দাবি করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
আজ (২৪ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার চট্টগ্রামের পাহাড়তলিতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের শহীদ বীরকন্যা প্রীতিলতার ৮৯তম আত্মাহুতি দিবসে তার ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
করোনা মহামারীতে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর দেশের স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। এরপর গত দুই সপ্তাহে গোপালগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁওয়ে কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সংক্রমিত হওয়ার খবর আসে সংবাদমাধ্যমে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নওফেল বলেন, “করোনার সংক্রমণ এখন কমেছে অনেক। আমরা একটা গাইডলাইন দিয়ে দিয়েছি, একদিনের বেশি যাতে করে কেউ না আসে।
“করোনা সংক্রমণ তারা ঘরে থাকলে হত না বা স্কুলে যাওয়ার কারণে হয়েছে এটার কোনো সত্যতা এখন পর্যন্ত নেই। তারা স্কুলে না গেলেও তো অন্যান্য জায়গায়, আত্মীয় স্বজনের বাসায়, বিনোদনের জায়গায় সবখানে যাচ্ছিলেন। সুনির্দিষ্ট কিছু জায়গায় আমরা দেখেছি এটা হয়েছে। আমরা প্রিকশনের ব্যবস্থা নিয়েছি।”
আরেক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, মাস্টারদা সূর্য সেন ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার থেকে শুরু করে ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের কথা পাঠ্যপুস্তকে আনতে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
“পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের কাজ এখনো শেষ হয়নি। মূল শিক্ষাক্রম অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মাত্র। এখন এই পর্যায়ে এসে সব পাঠ্যপুস্তকে তা সংযুক্ত করব।”
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহে অস্ত্রাগারসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা দখলের পর চারদিন ব্রিটিশ শাসন মুক্ত ছিল চট্টগ্রাম। পরে ২২ এ্রপ্রিল জালালাবাদ যুদ্ধে বিপ্লবীদের সাথে সম্মুখ সমরে ১২ জন বিপ্লবী শহীদ হন এবং ৮২ জন ব্রিটিশ সৈন্য নিহত হয়।
১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মাস্টারদার নির্দেশে সে সময়ের ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করেন বিপ্লবীরা, নেতৃত্বে ছিলেন বীরকন্যা প্রীতিলতা। গুলিতে আহত প্রীতিলতা পরে সায়ানাইড পানে আত্মাহুতি দেন।
বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে মাস্টারদা সূর্য সেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারসহ ছয় বিপ্লবীকে বিভিন্ন সময় প্রাণদ- দেওয়া হয়।
পুলিশের হাতে, কারাগারে ও নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহে মোট ৫৪ জন বিপ্লবী শহীদ হয়েছিলেন।
শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার খবরের ‘কোনো সত্যতা নেই’ বলে দাবি করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
আজ (২৪ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার চট্টগ্রামের পাহাড়তলিতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের শহীদ বীরকন্যা প্রীতিলতার ৮৯তম আত্মাহুতি দিবসে তার ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
করোনা মহামারীতে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর দেশের স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। এরপর গত দুই সপ্তাহে গোপালগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁওয়ে কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সংক্রমিত হওয়ার খবর আসে সংবাদমাধ্যমে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নওফেল বলেন, “করোনার সংক্রমণ এখন কমেছে অনেক। আমরা একটা গাইডলাইন দিয়ে দিয়েছি, একদিনের বেশি যাতে করে কেউ না আসে।
“করোনা সংক্রমণ তারা ঘরে থাকলে হত না বা স্কুলে যাওয়ার কারণে হয়েছে এটার কোনো সত্যতা এখন পর্যন্ত নেই। তারা স্কুলে না গেলেও তো অন্যান্য জায়গায়, আত্মীয় স্বজনের বাসায়, বিনোদনের জায়গায় সবখানে যাচ্ছিলেন। সুনির্দিষ্ট কিছু জায়গায় আমরা দেখেছি এটা হয়েছে। আমরা প্রিকশনের ব্যবস্থা নিয়েছি।”
আরেক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, মাস্টারদা সূর্য সেন ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার থেকে শুরু করে ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের কথা পাঠ্যপুস্তকে আনতে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
“পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের কাজ এখনো শেষ হয়নি। মূল শিক্ষাক্রম অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মাত্র। এখন এই পর্যায়ে এসে সব পাঠ্যপুস্তকে তা সংযুক্ত করব।”
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহে অস্ত্রাগারসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা দখলের পর চারদিন ব্রিটিশ শাসন মুক্ত ছিল চট্টগ্রাম। পরে ২২ এ্রপ্রিল জালালাবাদ যুদ্ধে বিপ্লবীদের সাথে সম্মুখ সমরে ১২ জন বিপ্লবী শহীদ হন এবং ৮২ জন ব্রিটিশ সৈন্য নিহত হয়।
১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মাস্টারদার নির্দেশে সে সময়ের ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করেন বিপ্লবীরা, নেতৃত্বে ছিলেন বীরকন্যা প্রীতিলতা। গুলিতে আহত প্রীতিলতা পরে সায়ানাইড পানে আত্মাহুতি দেন।
বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে মাস্টারদা সূর্য সেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারসহ ছয় বিপ্লবীকে বিভিন্ন সময় প্রাণদ- দেওয়া হয়।
পুলিশের হাতে, কারাগারে ও নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহে মোট ৫৪ জন বিপ্লবী শহীদ হয়েছিলেন।