দীর্ঘ দেড় বছর পর খুলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার। সেই সঙ্গে খুলছে বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের সেমিনার কক্ষ। করোনা প্রতিরোধী টিকা নেয়ার সনদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র দেখিয়ে গ্রন্থাগারে প্রবেশ করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করলেও বিজ্ঞান গ্রন্থাগারে শুরুতেই দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগারে প্রবেশকে কেন্দ্র করে কর্তৃপক্ষের সাথে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় কাউকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা যায়নি। পরে প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা যথাযথ বিধি-নিষেধ মেনে গ্রন্থাগারে প্রবেশ করছেন। তবে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো খুবই কম। প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থীর পড়ার ব্যবস্থা থাকলেও দুপুর পর্যন্ত মাত্র ১০০ শিক্ষার্থী গ্রন্থাগারে প্রবেশ করেছে।
এদিকে, বিজ্ঞান গ্রন্থাগারে অনার্স ফাইনাল ইয়ার ও মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের বাইরে অন্য ইয়ারের শিক্ষার্থীদের প্রবেশে বাধা দেয় লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ। এটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্ক বাধে। এক পর্যায়ে জোর করে সব শিক্ষার্থী ঢুকে পড়ে এবং তর্কাতর্কি শুরু হয়। পরে প্রক্টর এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। নির্দেশনার বাইরে কোনো শিক্ষার্থী প্রবেশ করতে পারবেন না।
দুপরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গ্রন্থগার পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শন শেষে উপাচার্য বলেন, আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছি সেটা শিক্ষার্থীরা অনুসরণ করে দায়িত্বশীল আচরণ করেছে। তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, তাদের দিয়েই জাতি গঠন হবে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য রক্ষা করে একটা নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সাথে সাথে অন্যান্য যারা স্টকহোল্ডার আছে সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্বশীল আচরণ করলে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য একটা নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবো। স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যাওয়ার আমাদের যে প্রক্রিয়া, সে প্রক্রিয়ায় সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা কবে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকবে ক্যাম্পাস, এটাই তো আমাদের প্রত্যাশা। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়েই আগামী নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের অনুষ্ঠান করতে। আমরা একটি নিয়মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি ধাপে ধাপে আমরা সকল শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনতে পারব।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের স্বার্থেই হল খুলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় ৫ তারিখ খুলবে। আমরা তার আগেই লাইব্রেরি খুলে দিয়েছি। যাতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারেন। ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা কোনো বিশৃঙ্খলা করবেন না এটাই আমাদের প্রত্যাশা। সবাই নিয়ম মেনে আইডি কার্ড দেখিয়ে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে যথাসময়ে লাইব্রেরীতে প্রবেশ করবেন। এবং নির্দিষ্ট সময়ে লাইব্রেরি ত্যাগ করবেন।’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটে স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা থাকবে।
যেসব শিক্ষার্থী অন্তত কভিড ১৯-এর প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তারা স্বাস্থ্যবিধি এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর-এসওপি অনুসরণ করে টিকা গ্রহণের সনদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখিয়ে লাইব্রেরিগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
রোববার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
দীর্ঘ দেড় বছর পর খুলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার। সেই সঙ্গে খুলছে বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের সেমিনার কক্ষ। করোনা প্রতিরোধী টিকা নেয়ার সনদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র দেখিয়ে গ্রন্থাগারে প্রবেশ করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করলেও বিজ্ঞান গ্রন্থাগারে শুরুতেই দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগারে প্রবেশকে কেন্দ্র করে কর্তৃপক্ষের সাথে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় কাউকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা যায়নি। পরে প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা যথাযথ বিধি-নিষেধ মেনে গ্রন্থাগারে প্রবেশ করছেন। তবে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো খুবই কম। প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থীর পড়ার ব্যবস্থা থাকলেও দুপুর পর্যন্ত মাত্র ১০০ শিক্ষার্থী গ্রন্থাগারে প্রবেশ করেছে।
এদিকে, বিজ্ঞান গ্রন্থাগারে অনার্স ফাইনাল ইয়ার ও মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের বাইরে অন্য ইয়ারের শিক্ষার্থীদের প্রবেশে বাধা দেয় লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ। এটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্ক বাধে। এক পর্যায়ে জোর করে সব শিক্ষার্থী ঢুকে পড়ে এবং তর্কাতর্কি শুরু হয়। পরে প্রক্টর এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। নির্দেশনার বাইরে কোনো শিক্ষার্থী প্রবেশ করতে পারবেন না।
দুপরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গ্রন্থগার পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শন শেষে উপাচার্য বলেন, আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছি সেটা শিক্ষার্থীরা অনুসরণ করে দায়িত্বশীল আচরণ করেছে। তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, তাদের দিয়েই জাতি গঠন হবে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য রক্ষা করে একটা নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সাথে সাথে অন্যান্য যারা স্টকহোল্ডার আছে সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্বশীল আচরণ করলে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য একটা নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবো। স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যাওয়ার আমাদের যে প্রক্রিয়া, সে প্রক্রিয়ায় সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা কবে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকবে ক্যাম্পাস, এটাই তো আমাদের প্রত্যাশা। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়েই আগামী নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের অনুষ্ঠান করতে। আমরা একটি নিয়মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি ধাপে ধাপে আমরা সকল শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনতে পারব।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের স্বার্থেই হল খুলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় ৫ তারিখ খুলবে। আমরা তার আগেই লাইব্রেরি খুলে দিয়েছি। যাতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারেন। ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা কোনো বিশৃঙ্খলা করবেন না এটাই আমাদের প্রত্যাশা। সবাই নিয়ম মেনে আইডি কার্ড দেখিয়ে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে যথাসময়ে লাইব্রেরীতে প্রবেশ করবেন। এবং নির্দিষ্ট সময়ে লাইব্রেরি ত্যাগ করবেন।’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটে স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা থাকবে।
যেসব শিক্ষার্থী অন্তত কভিড ১৯-এর প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তারা স্বাস্থ্যবিধি এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর-এসওপি অনুসরণ করে টিকা গ্রহণের সনদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখিয়ে লাইব্রেরিগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।