ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য রেহমান খালেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য আরাফাত রহমান শৈশবের উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি সাখাওয়াত ফাহাদ এবং সাধারন সম্পাদক রাগীব নাঈম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, "ছাত্রলীগ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে যে জুলুম-নির্যাতনের সংস্কৃতি অব্যাহত রেখেছে উক্ত ঘটনা তারই আরেকটি উপমা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ভিন্নমতাবলম্বী ছাত্রদের জন্য বাস করা যেন অসম্ভব। প্রতিনিয়ত গনরুম-গেস্টরুম কালচারের মাধ্যমে বিশেষ করে নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রদের ভিন্নমতকে দমন ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামে জড়িত হতে জোর করা হয়। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের হলে আবরার ফাহাদের ঘটনায় ছাত্রলীগ যে ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তারপরও তাদের আচার আচরণে কোনরূপ পরিবর্তন আসেনি। এই ধারা চলমান থাকলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলোতে কোনো ছাত্র আর নিরাপদ বোধ করবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো ছাত্রদের নিরাপত্তার ব্যাপারটি নিশ্চিত করা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ছাত্রলীগের এই কার্যকলাপগুলি সম্পর্কে জানার পরেও তারা অনেকটা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। রেহমান খালেদের ঘটনাটিও প্রক্টর স্যারকে জানানোর পরও আদতে কোনো বিচার হবে নাকি তা নিয়ে আমরা সন্দিহান। আমরা উক্ত ঘটনার অতি দ্রুত এবং সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।"
প্রসঙ্গত, গত ৮ অক্টোবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের পুকুরপাড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র রেহমান খালেদের উপর হামলা করে ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মী। ভিন্নমত দমন, বিভিন্ন ফেইসবুক পোস্টের জের ধরেই এবং নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনের ইচ্ছা থেকেই এই হামলা হয়েছে বলে দাবি করছেন ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন। পরবর্তীতে এই হামলার প্রতিবাদ জানাতে গেলে হামলা করা হয় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আরাফাত রহমান শৈশবের উপর।
রোববার, ১০ অক্টোবর ২০২১
ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য রেহমান খালেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য আরাফাত রহমান শৈশবের উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি সাখাওয়াত ফাহাদ এবং সাধারন সম্পাদক রাগীব নাঈম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, "ছাত্রলীগ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে যে জুলুম-নির্যাতনের সংস্কৃতি অব্যাহত রেখেছে উক্ত ঘটনা তারই আরেকটি উপমা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ভিন্নমতাবলম্বী ছাত্রদের জন্য বাস করা যেন অসম্ভব। প্রতিনিয়ত গনরুম-গেস্টরুম কালচারের মাধ্যমে বিশেষ করে নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রদের ভিন্নমতকে দমন ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামে জড়িত হতে জোর করা হয়। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের হলে আবরার ফাহাদের ঘটনায় ছাত্রলীগ যে ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তারপরও তাদের আচার আচরণে কোনরূপ পরিবর্তন আসেনি। এই ধারা চলমান থাকলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলোতে কোনো ছাত্র আর নিরাপদ বোধ করবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো ছাত্রদের নিরাপত্তার ব্যাপারটি নিশ্চিত করা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ছাত্রলীগের এই কার্যকলাপগুলি সম্পর্কে জানার পরেও তারা অনেকটা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। রেহমান খালেদের ঘটনাটিও প্রক্টর স্যারকে জানানোর পরও আদতে কোনো বিচার হবে নাকি তা নিয়ে আমরা সন্দিহান। আমরা উক্ত ঘটনার অতি দ্রুত এবং সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।"
প্রসঙ্গত, গত ৮ অক্টোবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের পুকুরপাড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র রেহমান খালেদের উপর হামলা করে ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মী। ভিন্নমত দমন, বিভিন্ন ফেইসবুক পোস্টের জের ধরেই এবং নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনের ইচ্ছা থেকেই এই হামলা হয়েছে বলে দাবি করছেন ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন। পরবর্তীতে এই হামলার প্রতিবাদ জানাতে গেলে হামলা করা হয় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আরাফাত রহমান শৈশবের উপর।