alt

শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের ফলে ভুল, অসন্তোষ

চ্যালেঞ্জের সুযোগ থাকছে : কর্তৃপক্ষ

মাহমুদ তানজীদ, জবি : মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১

প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের (মানবিক বিভাগ) ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। আর এরপরই বেধেছে গোল।

শিক্ষার্থীরা বলছে, তাদের প্রশ্নের উত্তরের সঙ্গে ফলাফলের মিল নেই। অনেকে বলছেন তারা যতগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তার চাইতে বেশি নাম্বার পেয়েছেন। আবার অনেকের অভিযোগ যা নম্বর পাবার কথা তার চাইতে অনেক কম নম্বর পেয়েছেন।

তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ভর্তি পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের সঠিক উত্তরের ঘর ভরাট করতে হয়। অর্ধেক ভরাট বা অস্পষ্ট হলে কম্পিউটারে সেটা রিড করে না। অনেক শিক্ষার্থী ওএমআর পূরণ করতে ভুল করে। তারা বলছেন এখানে ওএমআর সম্পূর্ণ কম্পিউটারের মাধ্যমে রিড হয়, তাই ফলাফল ‘ভুল হওয়ার প্রশ্নই আসে না’।

তারপরও ফলাফল নিয়ে কারও সন্দেহ থাকলে তা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ থাকছে বলে জানিয়েছেন তারা। কিন্তু অনেকে যতগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তার চাইতে বেশি নম্বর পেয়েছেন বলে যে অভিযোগ তার কোন জবাব পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল ৫টার সময় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ফলাফল প্রকাশের পরই শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

নরসিংদী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আবির, অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায়। তিনি ইংরেজিতে কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়েও ২২ নম্বর পেয়েছেন। আবার বাংলায় ৩১টি প্রশ্নের উত্তর দিলেও পেয়েছেন ৪ নম্বর। তিনি বাংলায় তার এর চাইতে বেশি নম্বর আশা করেছিলেন।

রাজধানীর দারুন্নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে এইচএসসি পাস করা আবু নোমান সালমান ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। প্রকাশিত ফলাফলে ১০০ নাম্বারের মধ্যে ২২.৫০ নাম্বার পান এ শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘বাংলা অংশে ৪০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের মধ্যে ৩৫টির উত্তর ভরাট করেছি। কিন্তু রেজাল্টে দেখাচ্ছে বাংলায় ২০ নম্বর। আবার ইংরেজিতে ৩৫টার মধ্যে ১৭/১৮র উত্তর দিয়েছি, ফলাফলে দেখাচ্ছে ইংরেজিতে ৩০ নম্বর।

‘আমি শতভাগ নিশ্চিত হয়েই উত্তর করেছিলাম। আমার হিসাব অনুযায়ী আমি ৪৩/৪৪ মার্কস পাওয়ার কথা। কিন্তু অতিরিক্ত ভরাট দেখিয়ে সেটা আবার মাইনাস দেখাচ্ছে, পেয়েছি ২২.৫০,’ বলেন সালমান।

এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার্থী। পরিবারের সঙ্গে অনেক যুদ্ধ করে প্রায় দুই বছর ধরে প্রস্তুতি নিলাম। অনেক স্বপ্ন ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। কিন্তু, গুচ্ছ পরীক্ষার এমন ফলাফলে আমার সব শেষ হয়ে গেল।’

একই বিড়ম্বনায় পড়েছেন ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করা মুবাশ্বির আহমেদ। প্রকাশিত ফলাফলে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৪৬ নম্বর পেয়েছেন এই শিক্ষার্থী। তবে ভর্তি পরীক্ষার বাংলা অংশে ৪০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর করলেও প্রকাশিত ফলাফলে বাংলা অংশে ২৮ নম্বর দেখানো হয়েছে। মুবাশ্বির বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারব কি না- তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর সুযোগ পেলেও এত কম নম্বরের জন্য আমি ভালো সাবজেক্ট পাব না। আমাদের স্বপ্ন নিয়ে এ রকম খেলা করার কোন মানে হয় না।’

মুন্সীগঞ্জের আরেক শিক্ষার্থী সজিব হাসান ফল প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘ইংরেজি থেকে ৩৫টা প্রশ্নের সবই পূরণ করেছি, কমন ছিল ২৭টা। এখন রেজাল্ট অনুযায়ী আমি নাকি ৩১টা আনসার করছি, যেখানে ১১টাই আবার ভুল!’

প্রকাশিত ফলাফলে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৫৭.৫০ নম্বর পান এই শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘ইংরেজিতে এত কম নম্বর পাওয়া কোনভাবেই সম্ভব না। বিশ্বাস করেন, এদেশ থেকে এর চেয়ে বেশি আশা করি নাই, আর করবও না। ভর্তি আয়োজক কমিটি, যাদের অবহেলার কারণে আমাদের স্বপ্ন ধ্বংস হচ্ছে, তাদের বিচার যেন আল্লাহ করে।’

শুধু আবির, সালমান, মুবাশ্বির আর সজিবই নয়, ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া অনেক শিক্ষার্থীই প্রকাশিত ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থী ওএমআর পূরণ করতে ভুল করে। অর্ধেক ভরাট, অস্পষ্ট হলে কম্পিউটারে সেটা রিড করে না। এখানে ওএমআর সম্পূর্ণ কম্পিউটারের মাধ্যমে রিড হয়, তাই ফলাফল ভুল হওয়ার প্রশ্নই আসে না। এরপরও যারা চ্যালেঞ্জ করতে চায়, বাণিজ্য অনুষদের পরীক্ষার পর আমরা একটা নোটিশ দেব। নির্ধারিত ফি দিয়ে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ফলাফল চেক করতে পারবে।’

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আজ আমাদের ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সর্বোচ্চ মার্কস ৯৩.৭৫ আর সর্বনিম্ন মার্কস (মাইনাস) -০.৭।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে অভিযোগ করেছে এগুলো ভিত্তিহীন। কম্পিউটারে রেজাল্ট কাউন্ট হয়েছে, ভুল হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে কোন শিক্ষার্থী যদি অভিযোগের বিষয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাহলে পরীক্ষা শেষে আমরা তাদের পুনঃনিরীক্ষণের ব্যবস্থা করব।’

ছবি

তৃতীয় দফায় তিনদিন শ্রেণি কার্যক্রম বর্জনে ঘোষণা কুবি শিক্ষক সমিতির

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ১ম বর্ষ ভর্তির আবেদনের ২য় মেধা তালিকা প্রকাশ

ছবি

বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে অব্যাহতি

ছবি

এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু মঙ্গলবার, চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত

ছবি

স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরন

ছবি

রাবি-চবির অধিভুক্ত হল ৯ সরকারি কলেজ

ছবি

১১ মের মধ্যেই এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

নতুন শিক্ষাক্রম : আগের ধাচেই শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি এনটিআরসিএ’র

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে ফি আদায় করলে ব্যবস্থা

ছবি

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ৩০ জুন, রুটিন প্রকাশ

ছবি

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে : হাইকোর্ট

ছবি

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির দাবিতে দেশব্যাপী মানববন্ধন করবে ছাত্রলীগ

ছবি

তিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে তিন ক্যাম্পাসে চলছে পাল্টাপাল্টি মহড়া

ছবি

৩০টি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব স্থগিত:এনবিআর

ছবি

শিক্ষায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় স্তরে পারিবারিক ব্যয় বেড়েছে

শিক্ষায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় স্তরে পারিবারিক ব্যয় বেড়েছে

কক্সবাজারে ওয়্যারলেস অডিও ডিভাইসসহ দুইজন আটক

ছবি

মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে, বেড়েছে মাদ্রাসায়

ছবি

দুর্নীতির অভিযোগে বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বরখাস্ত

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৬ দিনের ছুটি শুরু

ছবি

শনিবার স্কুল খোলা রাখার ইঙ্গিত: শিক্ষামন্ত্রী নওফেল

উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সমাপনী পরীক্ষা পাঁচ ঘণ্টা করার প্রস্তাব এনসিটিবির

ছবি

ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদ

ছবি

এইচএসসি পরীক্ষা কার কোন কেন্দ্রে, তালিকা প্রকাশ

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের শতাধিক ‘ট্রেড কোর্সের’ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই সংস্থার দ্বন্দ্ব

ছবি

ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের ২০০ বছর বয়সী ভবন ভাঙার প্রতিবাদে মানববন্ধন

কেমব্রিজ পরীক্ষায় ডিপিএস শিক্ষার্থীদের অনন্য সাফল্য

ছবি

বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে

সিমাগো র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ভর্তির ফল ১৮ মার্চ

ছবি

রাবির ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৪৫.৩ শতাংশ

ছবি

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত রোজায় স্কুল খোলা

ছবি

রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখতে কোনো বাধা নেই

ছবি

দ্বিতীয় দিনে পাঁচ দফা দাবিতে জাবির প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

ছবি

অপরিকল্পিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙে দিলো ছাত্র ইউনিয়ন

tab

শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের ফলে ভুল, অসন্তোষ

চ্যালেঞ্জের সুযোগ থাকছে : কর্তৃপক্ষ

মাহমুদ তানজীদ, জবি

মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১

প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের (মানবিক বিভাগ) ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। আর এরপরই বেধেছে গোল।

শিক্ষার্থীরা বলছে, তাদের প্রশ্নের উত্তরের সঙ্গে ফলাফলের মিল নেই। অনেকে বলছেন তারা যতগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তার চাইতে বেশি নাম্বার পেয়েছেন। আবার অনেকের অভিযোগ যা নম্বর পাবার কথা তার চাইতে অনেক কম নম্বর পেয়েছেন।

তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ভর্তি পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের সঠিক উত্তরের ঘর ভরাট করতে হয়। অর্ধেক ভরাট বা অস্পষ্ট হলে কম্পিউটারে সেটা রিড করে না। অনেক শিক্ষার্থী ওএমআর পূরণ করতে ভুল করে। তারা বলছেন এখানে ওএমআর সম্পূর্ণ কম্পিউটারের মাধ্যমে রিড হয়, তাই ফলাফল ‘ভুল হওয়ার প্রশ্নই আসে না’।

তারপরও ফলাফল নিয়ে কারও সন্দেহ থাকলে তা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ থাকছে বলে জানিয়েছেন তারা। কিন্তু অনেকে যতগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তার চাইতে বেশি নম্বর পেয়েছেন বলে যে অভিযোগ তার কোন জবাব পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল ৫টার সময় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ফলাফল প্রকাশের পরই শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

নরসিংদী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আবির, অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায়। তিনি ইংরেজিতে কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়েও ২২ নম্বর পেয়েছেন। আবার বাংলায় ৩১টি প্রশ্নের উত্তর দিলেও পেয়েছেন ৪ নম্বর। তিনি বাংলায় তার এর চাইতে বেশি নম্বর আশা করেছিলেন।

রাজধানীর দারুন্নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে এইচএসসি পাস করা আবু নোমান সালমান ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। প্রকাশিত ফলাফলে ১০০ নাম্বারের মধ্যে ২২.৫০ নাম্বার পান এ শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘বাংলা অংশে ৪০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের মধ্যে ৩৫টির উত্তর ভরাট করেছি। কিন্তু রেজাল্টে দেখাচ্ছে বাংলায় ২০ নম্বর। আবার ইংরেজিতে ৩৫টার মধ্যে ১৭/১৮র উত্তর দিয়েছি, ফলাফলে দেখাচ্ছে ইংরেজিতে ৩০ নম্বর।

‘আমি শতভাগ নিশ্চিত হয়েই উত্তর করেছিলাম। আমার হিসাব অনুযায়ী আমি ৪৩/৪৪ মার্কস পাওয়ার কথা। কিন্তু অতিরিক্ত ভরাট দেখিয়ে সেটা আবার মাইনাস দেখাচ্ছে, পেয়েছি ২২.৫০,’ বলেন সালমান।

এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার্থী। পরিবারের সঙ্গে অনেক যুদ্ধ করে প্রায় দুই বছর ধরে প্রস্তুতি নিলাম। অনেক স্বপ্ন ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। কিন্তু, গুচ্ছ পরীক্ষার এমন ফলাফলে আমার সব শেষ হয়ে গেল।’

একই বিড়ম্বনায় পড়েছেন ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করা মুবাশ্বির আহমেদ। প্রকাশিত ফলাফলে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৪৬ নম্বর পেয়েছেন এই শিক্ষার্থী। তবে ভর্তি পরীক্ষার বাংলা অংশে ৪০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর করলেও প্রকাশিত ফলাফলে বাংলা অংশে ২৮ নম্বর দেখানো হয়েছে। মুবাশ্বির বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারব কি না- তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর সুযোগ পেলেও এত কম নম্বরের জন্য আমি ভালো সাবজেক্ট পাব না। আমাদের স্বপ্ন নিয়ে এ রকম খেলা করার কোন মানে হয় না।’

মুন্সীগঞ্জের আরেক শিক্ষার্থী সজিব হাসান ফল প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘ইংরেজি থেকে ৩৫টা প্রশ্নের সবই পূরণ করেছি, কমন ছিল ২৭টা। এখন রেজাল্ট অনুযায়ী আমি নাকি ৩১টা আনসার করছি, যেখানে ১১টাই আবার ভুল!’

প্রকাশিত ফলাফলে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৫৭.৫০ নম্বর পান এই শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘ইংরেজিতে এত কম নম্বর পাওয়া কোনভাবেই সম্ভব না। বিশ্বাস করেন, এদেশ থেকে এর চেয়ে বেশি আশা করি নাই, আর করবও না। ভর্তি আয়োজক কমিটি, যাদের অবহেলার কারণে আমাদের স্বপ্ন ধ্বংস হচ্ছে, তাদের বিচার যেন আল্লাহ করে।’

শুধু আবির, সালমান, মুবাশ্বির আর সজিবই নয়, ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া অনেক শিক্ষার্থীই প্রকাশিত ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থী ওএমআর পূরণ করতে ভুল করে। অর্ধেক ভরাট, অস্পষ্ট হলে কম্পিউটারে সেটা রিড করে না। এখানে ওএমআর সম্পূর্ণ কম্পিউটারের মাধ্যমে রিড হয়, তাই ফলাফল ভুল হওয়ার প্রশ্নই আসে না। এরপরও যারা চ্যালেঞ্জ করতে চায়, বাণিজ্য অনুষদের পরীক্ষার পর আমরা একটা নোটিশ দেব। নির্ধারিত ফি দিয়ে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ফলাফল চেক করতে পারবে।’

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আজ আমাদের ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সর্বোচ্চ মার্কস ৯৩.৭৫ আর সর্বনিম্ন মার্কস (মাইনাস) -০.৭।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে অভিযোগ করেছে এগুলো ভিত্তিহীন। কম্পিউটারে রেজাল্ট কাউন্ট হয়েছে, ভুল হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে কোন শিক্ষার্থী যদি অভিযোগের বিষয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাহলে পরীক্ষা শেষে আমরা তাদের পুনঃনিরীক্ষণের ব্যবস্থা করব।’

back to top