ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পরীক্ষার ফলাফলে অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছিল ২০১৭ সালে। এঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি। অভিযুক্ত দুই অধ্যাপক হচ্ছেন বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন ও বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুস সবুর খান।
বিভাগ ও সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে বিভাগের তৃতীয় বর্ষ ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সেখানে প্রত্যাশিত নম্বর না পাওয়ায় পুন:নিরীক্ষণের আবেদন করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তাতেও পরিবর্তন না আসায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর ফের আবেদন করে শিক্ষার্থীরা। এতে ১১ শিক্ষার্থীর ৩২ স্থানে নম্বর কম-বেশি করার প্রমাণ পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষার্থীদের সাথে অনিয়ম করার অভিযোগ ওঠলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন(ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে কলা অনুষদের বর্তমান ডিন অধ্যাপক আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন-আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন ও সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা। কিন্তু এরই মধ্যে প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হতে চলছে। এখনো দেয়া হয়নি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠলে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হয়। বেশ কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় তদন্ত রিপোর্ট দিতে পরিকল্পিপতভাবে সময় নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন সংবাদকে বলেন, অধিকতর তদন্তের জন্য আমাদেরকে ঘটনাটির দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। এটা অনেক বড় কাজ ছিলো। আমরা তখন ফলাফলগুলো বের করেছিলাম। অনেকের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। কিন্তু করোনার কারণে তখন তদন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন আমরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের খুব শীঘ্রই ডাকবো। আশা করছি, আগামী মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো।
তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন সংবাদকে বলেন, কোভিডের কারণে আমরা তদন্তের কাজটি এগিয়ে নিতে পারিনি। তদন্ত কাজ অনেক এগিয়েছে। কিন্তু এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত কমিটির প্রধান হয়তো শীগ্রই সভা ডাকবেন। যা যা করার দরকার আমরা করবো।
অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবদুস সবুর খান বলেন, ফলাফল নিরীক্ষণে সমস্যা হয়েছে বলেই আমি নিজে থেকেই চিঠি দিয়ে সেটা সংশোধন করে দিয়েছিলাম। দেশেতো আরো অনেক সমস্যা আছে।এখন আবার নতুন করে এটা মাথা ব্যাথার কারণ হলো কেন?
সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পরীক্ষার ফলাফলে অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছিল ২০১৭ সালে। এঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি। অভিযুক্ত দুই অধ্যাপক হচ্ছেন বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন ও বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুস সবুর খান।
বিভাগ ও সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে বিভাগের তৃতীয় বর্ষ ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সেখানে প্রত্যাশিত নম্বর না পাওয়ায় পুন:নিরীক্ষণের আবেদন করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তাতেও পরিবর্তন না আসায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর ফের আবেদন করে শিক্ষার্থীরা। এতে ১১ শিক্ষার্থীর ৩২ স্থানে নম্বর কম-বেশি করার প্রমাণ পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষার্থীদের সাথে অনিয়ম করার অভিযোগ ওঠলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন(ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে কলা অনুষদের বর্তমান ডিন অধ্যাপক আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন-আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন ও সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা। কিন্তু এরই মধ্যে প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হতে চলছে। এখনো দেয়া হয়নি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠলে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হয়। বেশ কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় তদন্ত রিপোর্ট দিতে পরিকল্পিপতভাবে সময় নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন সংবাদকে বলেন, অধিকতর তদন্তের জন্য আমাদেরকে ঘটনাটির দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। এটা অনেক বড় কাজ ছিলো। আমরা তখন ফলাফলগুলো বের করেছিলাম। অনেকের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। কিন্তু করোনার কারণে তখন তদন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন আমরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের খুব শীঘ্রই ডাকবো। আশা করছি, আগামী মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো।
তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন সংবাদকে বলেন, কোভিডের কারণে আমরা তদন্তের কাজটি এগিয়ে নিতে পারিনি। তদন্ত কাজ অনেক এগিয়েছে। কিন্তু এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত কমিটির প্রধান হয়তো শীগ্রই সভা ডাকবেন। যা যা করার দরকার আমরা করবো।
অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবদুস সবুর খান বলেন, ফলাফল নিরীক্ষণে সমস্যা হয়েছে বলেই আমি নিজে থেকেই চিঠি দিয়ে সেটা সংশোধন করে দিয়েছিলাম। দেশেতো আরো অনেক সমস্যা আছে।এখন আবার নতুন করে এটা মাথা ব্যাথার কারণ হলো কেন?