চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক আইনের মামলায় পুলিশের অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানি হবে ১৫ নভেম্বর। ঢাকা মহানগরের ভারপ্রাপ্ত দায়রা জজ রবিউল আলম মঙ্গলবার শুনানির এই তারিখ নির্ধারণ করেন। এর আগে আদালত এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য আজকের দিন ঠিক করেছিল।
আজ মঙ্গলবার সকালে পরীমনি ও মামলার আরও দুই অভিযুক্ত আদালতে হাজির হয়ে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ছুটিতে থাকায় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম ভারপ্রাপ্ত বিচারক হিসেবে এ আদেশ দেন।
পরীমণির পক্ষে আইনজীবী নিলাঞ্জনা রিফাত সুরভী আগের শর্তে জামিনের আর্জি জানিয়ে বলেন, এই চিত্রনায়িকার শুটিংয়ের শিডিউল আছে, সেজন্য হাজিরার লম্বা বিরতি দিয়ে তারিখ প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল কোনো আপত্তি করেননি।
এদিন সকাল ৯টায় আদালত প্রাঙ্গণে এসে গেইটের বাইরে অপেক্ষা করেন পরীমণি। সাড়ে ৯টার দিকে গেইট খোলা হলে তিনি মহনগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস কক্ষে প্রবেশ করে সোফায় বসে শুনানির জন্য অপেক্ষা করেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মামলার শুনানি শুরু হয় এবং সাত মিনিটেই তা শেষ হয়। এর পরই পরীমনি আদালত ছেড়ে চলে যান।
মামলার অপর দুই অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হলেন আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেন। তারাও জামিনে আছেন।
গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব এবং সেখান থেকে ‘বিপুল মাদক উদ্ধার’ করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব। পরে তাকে গুলশান থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বেশ কয়েক দফা রিমান্ডের পর ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগপর্যন্ত পরীমনির জামিন মঞ্জুর করে। পরে ১০ অক্টোবর পরীমনি ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।
মামলার দুই মাসের মাথায় ৪ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্রে ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
পরে ১৩ অক্টোবর মামলাটি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরীমনির বাসা থেকে জব্দ মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়।
পরীমনি বিভিন্ন জায়গা থেকে এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে ‘অবৈধ’ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। আরও অভিযোগ পরীমনি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।
মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক আইনের মামলায় পুলিশের অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানি হবে ১৫ নভেম্বর। ঢাকা মহানগরের ভারপ্রাপ্ত দায়রা জজ রবিউল আলম মঙ্গলবার শুনানির এই তারিখ নির্ধারণ করেন। এর আগে আদালত এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য আজকের দিন ঠিক করেছিল।
আজ মঙ্গলবার সকালে পরীমনি ও মামলার আরও দুই অভিযুক্ত আদালতে হাজির হয়ে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ছুটিতে থাকায় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম ভারপ্রাপ্ত বিচারক হিসেবে এ আদেশ দেন।
পরীমণির পক্ষে আইনজীবী নিলাঞ্জনা রিফাত সুরভী আগের শর্তে জামিনের আর্জি জানিয়ে বলেন, এই চিত্রনায়িকার শুটিংয়ের শিডিউল আছে, সেজন্য হাজিরার লম্বা বিরতি দিয়ে তারিখ প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল কোনো আপত্তি করেননি।
এদিন সকাল ৯টায় আদালত প্রাঙ্গণে এসে গেইটের বাইরে অপেক্ষা করেন পরীমণি। সাড়ে ৯টার দিকে গেইট খোলা হলে তিনি মহনগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস কক্ষে প্রবেশ করে সোফায় বসে শুনানির জন্য অপেক্ষা করেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মামলার শুনানি শুরু হয় এবং সাত মিনিটেই তা শেষ হয়। এর পরই পরীমনি আদালত ছেড়ে চলে যান।
মামলার অপর দুই অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হলেন আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেন। তারাও জামিনে আছেন।
গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব এবং সেখান থেকে ‘বিপুল মাদক উদ্ধার’ করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব। পরে তাকে গুলশান থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বেশ কয়েক দফা রিমান্ডের পর ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগপর্যন্ত পরীমনির জামিন মঞ্জুর করে। পরে ১০ অক্টোবর পরীমনি ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।
মামলার দুই মাসের মাথায় ৪ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্রে ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
পরে ১৩ অক্টোবর মামলাটি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরীমনির বাসা থেকে জব্দ মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়।
পরীমনি বিভিন্ন জায়গা থেকে এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে ‘অবৈধ’ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। আরও অভিযোগ পরীমনি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।