আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ২৯ শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অর্থায়ন নিয়ে মতবিরোধের কারণে আলোচনা শনিবারেও গড়ায়। কিন্তু বাড়তি এই আলোচনাও সুরাহার পথ খুঁজে পায়নি। ধনী এবং গরিব দেশগুলোর মধ্যে তহবিল বরাদ্দের বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্কের এক পর্যায়ে কয়েকটি দেশের ওয়াকআউট পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে।
তহবিল নিয়ে ধনী-গরিব দেশগুলোর বিতর্ক
শনিবারের আলোচনায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য সম্পদশালী দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বছরে ৩০ হাজার কোটি ডলারের জলবায়ু তহবিলের প্রস্তাব দেয়, যা আগের প্রস্তাবের চেয়ে বেশি। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর দাবী ছিল ৫০ হাজার কোটি ডলার, যা তারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় মনে করে।
ছোট দ্বীপদেশগুলোর প্রতিবাদ ও ওয়াকআউট
তহবিল নিয়ে দ্বিমত এবং তাদের দাবিকে গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগে বেশ কয়েকটি ছোট দ্বীপদেশ, বিশেষত ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলো, আলোচনা থেকে বেরিয়ে যায়। এই দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাবের ঝুঁকিতে রয়েছে এবং পর্যাপ্ত তহবিল ছাড়া তাদের পক্ষে উপযুক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা অসম্ভব বলে মনে করছে।
শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য বড় অর্থনীতির দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বছরে ২৫০ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ছোট অর্থনীতির দেশগুলো এই প্রস্তাবকে তীব্র সমালোচনা করে এবং এটিকে ‘অপমানজনক’ আখ্যা দেয়। জলবায়ু সংকট নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন এই সহায়তার পরিমাণকে ‘তামাশা’ এবং ‘অপ্রতুল’ হিসেবে অভিহিত করে।
কপ২৯-এর প্রেসিডেন্ট মুক্তার বাবায়েভ এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “সময় আমাদের হাতে নেই।” সম্মেলনের প্রায় ২০০টি দেশ এখনো মতপার্থক্য দূর করে একটি অর্থবহ চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। তবে শনিবারের আলোচনার পরও কোনও সমঝোতা অর্জিত হয়নি, যা সম্মেলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ২৯ শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অর্থায়ন নিয়ে মতবিরোধের কারণে আলোচনা শনিবারেও গড়ায়। কিন্তু বাড়তি এই আলোচনাও সুরাহার পথ খুঁজে পায়নি। ধনী এবং গরিব দেশগুলোর মধ্যে তহবিল বরাদ্দের বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্কের এক পর্যায়ে কয়েকটি দেশের ওয়াকআউট পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে।
তহবিল নিয়ে ধনী-গরিব দেশগুলোর বিতর্ক
শনিবারের আলোচনায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য সম্পদশালী দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বছরে ৩০ হাজার কোটি ডলারের জলবায়ু তহবিলের প্রস্তাব দেয়, যা আগের প্রস্তাবের চেয়ে বেশি। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর দাবী ছিল ৫০ হাজার কোটি ডলার, যা তারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় মনে করে।
ছোট দ্বীপদেশগুলোর প্রতিবাদ ও ওয়াকআউট
তহবিল নিয়ে দ্বিমত এবং তাদের দাবিকে গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগে বেশ কয়েকটি ছোট দ্বীপদেশ, বিশেষত ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলো, আলোচনা থেকে বেরিয়ে যায়। এই দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাবের ঝুঁকিতে রয়েছে এবং পর্যাপ্ত তহবিল ছাড়া তাদের পক্ষে উপযুক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা অসম্ভব বলে মনে করছে।
শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য বড় অর্থনীতির দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বছরে ২৫০ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ছোট অর্থনীতির দেশগুলো এই প্রস্তাবকে তীব্র সমালোচনা করে এবং এটিকে ‘অপমানজনক’ আখ্যা দেয়। জলবায়ু সংকট নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন এই সহায়তার পরিমাণকে ‘তামাশা’ এবং ‘অপ্রতুল’ হিসেবে অভিহিত করে।
কপ২৯-এর প্রেসিডেন্ট মুক্তার বাবায়েভ এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “সময় আমাদের হাতে নেই।” সম্মেলনের প্রায় ২০০টি দেশ এখনো মতপার্থক্য দূর করে একটি অর্থবহ চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। তবে শনিবারের আলোচনার পরও কোনও সমঝোতা অর্জিত হয়নি, যা সম্মেলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।