ফিলিস্তিনি অভিনেত্রী মাইশা আবদ এলহাদির ওপর গুলি চালিয়েছে দখলদার ইসরাইলি সেনা। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। ইসরায়েলের হাইফা নগরীতে একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার পর দেশটির সামরিক বাহিনী তার ওপর গুলি চালায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে তিনি হামলায় আহত হওয়ার খবর জানান।
‘অ্যাঞ্জেল’ মাইশা লেখেন- ‘রোববার আমি হাইফায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলাম। আমরা স্লোগান দিচ্ছিলাম, গান করছিলাম, কণ্ঠ ব্যবহার করে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলাম। ব্যক্তিগতভাবে আমি বিক্ষোভে স্লোগান দিচ্ছিলাম এবং ঘটনার ভিডিও করছিলাম। বিক্ষোভ শুরুর কিছুক্ষণ পর সৈন্যরা স্টেন ও গ্যাস গ্রেনেড চালানো শুরু করে এবং আমি অনুধাবন করলাম, কিছু সময়ের মধ্যে সেগুলোর মাত্রা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি ফুটপাতে দাঁড়িয়েছিলাম, এমন জায়গায় যেটা আমার কাছে নিরাপদ বলে মনে হয়েছিল। আমি একা ছিলাম এবং আমি কারও জন্য হুমকির কারণ ছিলাম না। আমি আমার গাড়ির দিকে যেতে থাকি। এ সময় আমি আমার খুব কাছেই গুমোট আওয়াজ শুনতে পাই এবং আমি অনুভব করলাম, আমার জিনস ছিঁড়ে গেছে! এটাই আমার প্রথম অনুভূতি! এটাই আমার প্রথম অনুভূতি! আমি হাঁটার চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। আমি বুঝতে পারলাম, আমার পা থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ ঘটছে। আমার পায়ের চামড়া চিঁড়ে গেছে।’
পোস্টের শেষে মাইশা ইসরাইলের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন, ‘পুলিশ ও দখলদার বাহিনী যেকোনো ফিলিস্তিনিকে নির্বিশেষে আক্রমণ কিংবা হত্যা করতে দ্বিধা করছে না। সে তাদের জন্য হুমকির কারণ হোক কিংবা না হোক। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে ইসরায়েলি সেনাদের হামলা প্রথমবার নয়। একজন ফিলিস্তিনি হিসেবে আমার কোনো সন্দেহ নেই, আমি প্রতিনিয়ত হুমকির মুখোমুখি হচ্ছি। তবে এবার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে। আমরা যুদ্ধের একেবারে সামনে রয়েছি। একমাত্র ভাগ্যই আমাদেরকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।’
পূর্ব জেরুজালেমের আরব অধ্যুষিত এলাকা শেখ জাররাহ থেকে চারটি ফিলিস্তিনি পরিবারকে বাড়িছাড়া করার এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনি ও আরব ইসরায়েলিরা বিক্ষোভ শুরু করে। ওই ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো গত প্রায় ৭০ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছেন, হঠাৎ করে কয়েকজন কট্টরপন্থী ইহুদি তার মালিকানা দাবি করে।
জেরুজালেম নগর কর্তৃপক্ষ ও শহরের একটি নিম্ন-আদালত সেই দাবি মেনে নিয়ে রায় দেওয়ার পর বিক্ষোভ জোরালো হয়। এরই মধ্যে রোজার শুরুতে পুলিশ জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের ওপর কিছু বিধিনিষেধ বসালে পরিস্থিতির আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে।
রোববার, ১৬ মে ২০২১
ফিলিস্তিনি অভিনেত্রী মাইশা আবদ এলহাদির ওপর গুলি চালিয়েছে দখলদার ইসরাইলি সেনা। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। ইসরায়েলের হাইফা নগরীতে একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার পর দেশটির সামরিক বাহিনী তার ওপর গুলি চালায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে তিনি হামলায় আহত হওয়ার খবর জানান।
‘অ্যাঞ্জেল’ মাইশা লেখেন- ‘রোববার আমি হাইফায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলাম। আমরা স্লোগান দিচ্ছিলাম, গান করছিলাম, কণ্ঠ ব্যবহার করে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলাম। ব্যক্তিগতভাবে আমি বিক্ষোভে স্লোগান দিচ্ছিলাম এবং ঘটনার ভিডিও করছিলাম। বিক্ষোভ শুরুর কিছুক্ষণ পর সৈন্যরা স্টেন ও গ্যাস গ্রেনেড চালানো শুরু করে এবং আমি অনুধাবন করলাম, কিছু সময়ের মধ্যে সেগুলোর মাত্রা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি ফুটপাতে দাঁড়িয়েছিলাম, এমন জায়গায় যেটা আমার কাছে নিরাপদ বলে মনে হয়েছিল। আমি একা ছিলাম এবং আমি কারও জন্য হুমকির কারণ ছিলাম না। আমি আমার গাড়ির দিকে যেতে থাকি। এ সময় আমি আমার খুব কাছেই গুমোট আওয়াজ শুনতে পাই এবং আমি অনুভব করলাম, আমার জিনস ছিঁড়ে গেছে! এটাই আমার প্রথম অনুভূতি! এটাই আমার প্রথম অনুভূতি! আমি হাঁটার চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। আমি বুঝতে পারলাম, আমার পা থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ ঘটছে। আমার পায়ের চামড়া চিঁড়ে গেছে।’
পোস্টের শেষে মাইশা ইসরাইলের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন, ‘পুলিশ ও দখলদার বাহিনী যেকোনো ফিলিস্তিনিকে নির্বিশেষে আক্রমণ কিংবা হত্যা করতে দ্বিধা করছে না। সে তাদের জন্য হুমকির কারণ হোক কিংবা না হোক। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে ইসরায়েলি সেনাদের হামলা প্রথমবার নয়। একজন ফিলিস্তিনি হিসেবে আমার কোনো সন্দেহ নেই, আমি প্রতিনিয়ত হুমকির মুখোমুখি হচ্ছি। তবে এবার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে। আমরা যুদ্ধের একেবারে সামনে রয়েছি। একমাত্র ভাগ্যই আমাদেরকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।’
পূর্ব জেরুজালেমের আরব অধ্যুষিত এলাকা শেখ জাররাহ থেকে চারটি ফিলিস্তিনি পরিবারকে বাড়িছাড়া করার এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনি ও আরব ইসরায়েলিরা বিক্ষোভ শুরু করে। ওই ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো গত প্রায় ৭০ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছেন, হঠাৎ করে কয়েকজন কট্টরপন্থী ইহুদি তার মালিকানা দাবি করে।
জেরুজালেম নগর কর্তৃপক্ষ ও শহরের একটি নিম্ন-আদালত সেই দাবি মেনে নিয়ে রায় দেওয়ার পর বিক্ষোভ জোরালো হয়। এরই মধ্যে রোজার শুরুতে পুলিশ জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের ওপর কিছু বিধিনিষেধ বসালে পরিস্থিতির আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে।