মিয়ানমারের দক্ষিণপূর্বের কারেন রাজ্যে একটি সশস্ত্রগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা ডেমোসো নামক অঞ্চলে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলার পর গ্রামবাসীরা ঘরবাড়ি ছেড়ে জঙ্গলে পালিয়ে গেছে।ওই গ্রামটির নাম মি মেহে’র। বর্তমানে সেখানে কেউ নেই!
মি মেহ এবং গ্রামের সবাই মিলে শুধু একটি কাপড় দিয়েই তারা শিবির নির্মাণ করে। যার শুধু পেছনের অংশ ঢাকা আর খুব সামান্য পরিমানে মাটির অংশ ঢেকে রাখে। খবর আল-জাজিরার
২৭ মে আল-জাজিরা যখন তার মি’র সঙ্গে কথা বলছিলো তখন তিনি ভারী বৃষ্টির মধ্যেই খাবার ও পানির খোঁজে যাচ্ছিলেন। বৃষ্টিতে তার জামা কাপড় ভিজে গিয়েছিলো এবং এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তিনি গোসল করেননি।
তবে, মি’র জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় ছিলো তার নিরাপত্তা। প্রায়ই, তাদের মাথার উপর দিয়ে জেট বিমান উড়ে যায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে...আমি সত্যিই ভীত কারণ সামরিক মানুষদের কোন মানবিকতা নেই।তারা যেকোন সময় আমাদের হত্যা করতে পারে।’
এই প্রতিবেদনটির জন্য আল-জাজিরা মি মেহের ছদ্মনাম ব্যবহার করেছে। যাতে করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো কয়েকজনের সাক্ষাতকার নিতে পেরেছে এই প্রতিবেদনটির জন্য। কারণ, সামরিক বাহিনীর সমালোচনা বা বিরোধিতা যারা করে তাদের গ্রেপ্তার বা মেরে ফেলা হয়।
মি মেহে’র গ্রামটি শান রাজ্যের কাছাকাছি। যেখানে কিছুদিন আগেই সেখানকার মানুষজন পালাতে বাধ্য হয়েছিল। জাতিসংঘের তথ্যমতে, ডেমোসোর ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৮৫ হাজার মানুষ ১০ দিনের মধ্যে পালিয়ে যায়।
কারেন রাজ্যের এক স্থানীয় নেতা বলেন, ‘বার্মা সরকার নির্বিচারে নিরীহ মানুষদের হত্যা করছে। সেখানে জনগণের নিজেকে নিজেই রক্ষা করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।’ তিনি আরও জানান, বার্মা সরকারের মতো তাদের ক্ষমতা নেই, অস্ত্র নেই। তবুও তারা এই অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করার জন্য তাদের যথেষ্ঠ সদিচ্ছা ও মনোবল রয়েছে।
সোমবার, ০৭ জুন ২০২১
মিয়ানমারের দক্ষিণপূর্বের কারেন রাজ্যে একটি সশস্ত্রগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা ডেমোসো নামক অঞ্চলে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলার পর গ্রামবাসীরা ঘরবাড়ি ছেড়ে জঙ্গলে পালিয়ে গেছে।ওই গ্রামটির নাম মি মেহে’র। বর্তমানে সেখানে কেউ নেই!
মি মেহ এবং গ্রামের সবাই মিলে শুধু একটি কাপড় দিয়েই তারা শিবির নির্মাণ করে। যার শুধু পেছনের অংশ ঢাকা আর খুব সামান্য পরিমানে মাটির অংশ ঢেকে রাখে। খবর আল-জাজিরার
২৭ মে আল-জাজিরা যখন তার মি’র সঙ্গে কথা বলছিলো তখন তিনি ভারী বৃষ্টির মধ্যেই খাবার ও পানির খোঁজে যাচ্ছিলেন। বৃষ্টিতে তার জামা কাপড় ভিজে গিয়েছিলো এবং এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তিনি গোসল করেননি।
তবে, মি’র জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় ছিলো তার নিরাপত্তা। প্রায়ই, তাদের মাথার উপর দিয়ে জেট বিমান উড়ে যায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে...আমি সত্যিই ভীত কারণ সামরিক মানুষদের কোন মানবিকতা নেই।তারা যেকোন সময় আমাদের হত্যা করতে পারে।’
এই প্রতিবেদনটির জন্য আল-জাজিরা মি মেহের ছদ্মনাম ব্যবহার করেছে। যাতে করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো কয়েকজনের সাক্ষাতকার নিতে পেরেছে এই প্রতিবেদনটির জন্য। কারণ, সামরিক বাহিনীর সমালোচনা বা বিরোধিতা যারা করে তাদের গ্রেপ্তার বা মেরে ফেলা হয়।
মি মেহে’র গ্রামটি শান রাজ্যের কাছাকাছি। যেখানে কিছুদিন আগেই সেখানকার মানুষজন পালাতে বাধ্য হয়েছিল। জাতিসংঘের তথ্যমতে, ডেমোসোর ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৮৫ হাজার মানুষ ১০ দিনের মধ্যে পালিয়ে যায়।
কারেন রাজ্যের এক স্থানীয় নেতা বলেন, ‘বার্মা সরকার নির্বিচারে নিরীহ মানুষদের হত্যা করছে। সেখানে জনগণের নিজেকে নিজেই রক্ষা করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।’ তিনি আরও জানান, বার্মা সরকারের মতো তাদের ক্ষমতা নেই, অস্ত্র নেই। তবুও তারা এই অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করার জন্য তাদের যথেষ্ঠ সদিচ্ছা ও মনোবল রয়েছে।