উসকানি দিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির অভিযোগে সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় কাতিফ শহরে এক তরুণের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে দেশটির সরকার। এই তরুণের বিরুদ্ধে উসকানি সৃষ্টি এবং বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অভিযোগ এনেছিল রিয়াদ।
তার বিরুদ্ধে আরও কিছু অভিযোগ এনেছিল সৌদি। কাতিফ হচ্ছে সৌদি আরবের শিয়া মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি অঞ্চল।
গতকাল (মঙ্গলবার) সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তরুণের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ব্যাপারে একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মুস্তাফা বিন হাশেম বিন ঈসা আল-দারভিশ নামে এই তরুণের মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে। সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় দাম্মাম প্রদেশে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
সৌদি সরকারের অভিযোগ, মুস্তাফা দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল, জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলেছিল, সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হত্যার জন্য একটি সন্ত্রাসী চক্র গড়ে তুলেছিল এবং উসকানি দিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো মুস্তাফার বিরুদ্ধে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু সৌদি সরকার এসব আহ্বানকে উপেক্ষা করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
২০১৫ সালে কাতিফ শহর থেকে মুস্তাফাকে আটক করা হয়। তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর। তবে সৌদি সরকারের দাবি, অপরাধে জড়িত হওয়ার সময় তার বয়স ১৯ বছরের বেশি ছিল। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে মুস্তাফার অপরাধের কোনো তারিখের উল্লেখ করা হয়নি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও বিষয়টিতে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি। তবে তারা বলছে, সম্ভবত ২০১১ বা ২০১২ সালে সংঘটিত বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অপরাধে তাকে আটক করা হয়েছিল।
অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় কোনো অপরাধের জন্য গতবছর থেকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধ রেখেছে সৌদি আরব।
আরব বসন্তের সময়ে তরুণ শিয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল সৌদি রাজতন্ত্রকে। তাদের চাওয়া ছিল চাকরি, সব কিছুতে আরও ভালো সুযোগ-সুবিধা এবং রাষ্ট্রসমর্থিত অতিরক্ষণশীল বিভিন্ন সুন্নি ইনস্টিটিউশন ও আলেমদের থেকে বৈষম্যমূলক পরিস্থিতির অবসান।
ইউরোপীয়ান সৌদি অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটসের হিসাবে এ বছর এখখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি।
২০১৯ সালে সৌদি আরব ৩৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল, যার মধ্যে ৩৪ জন ছিল শিয়া মুসলিম। ২০১৬ সালে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে একদিনে ৪৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল; যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন শিয়া নেতা নিমর আল-নিমর। এই শিয়া নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর পাকিস্তান থেকে ইরানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনার জেরে ছেদ পড়া ইরান-সৌদি কূটনৈতিক সম্পর্ক এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
সৌদি আরবে সক্রিয় অস্ত্রধারী শিয়া বিভিন্ন গোষ্ঠীর পেছনে ইরানের সমর্থন রয়েছে বলে বহু দিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে সৌদি।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।
বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
উসকানি দিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির অভিযোগে সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় কাতিফ শহরে এক তরুণের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে দেশটির সরকার। এই তরুণের বিরুদ্ধে উসকানি সৃষ্টি এবং বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অভিযোগ এনেছিল রিয়াদ।
তার বিরুদ্ধে আরও কিছু অভিযোগ এনেছিল সৌদি। কাতিফ হচ্ছে সৌদি আরবের শিয়া মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি অঞ্চল।
গতকাল (মঙ্গলবার) সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তরুণের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ব্যাপারে একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মুস্তাফা বিন হাশেম বিন ঈসা আল-দারভিশ নামে এই তরুণের মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে। সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় দাম্মাম প্রদেশে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
সৌদি সরকারের অভিযোগ, মুস্তাফা দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল, জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলেছিল, সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হত্যার জন্য একটি সন্ত্রাসী চক্র গড়ে তুলেছিল এবং উসকানি দিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো মুস্তাফার বিরুদ্ধে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু সৌদি সরকার এসব আহ্বানকে উপেক্ষা করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
২০১৫ সালে কাতিফ শহর থেকে মুস্তাফাকে আটক করা হয়। তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর। তবে সৌদি সরকারের দাবি, অপরাধে জড়িত হওয়ার সময় তার বয়স ১৯ বছরের বেশি ছিল। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে মুস্তাফার অপরাধের কোনো তারিখের উল্লেখ করা হয়নি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও বিষয়টিতে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি। তবে তারা বলছে, সম্ভবত ২০১১ বা ২০১২ সালে সংঘটিত বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অপরাধে তাকে আটক করা হয়েছিল।
অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় কোনো অপরাধের জন্য গতবছর থেকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধ রেখেছে সৌদি আরব।
আরব বসন্তের সময়ে তরুণ শিয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল সৌদি রাজতন্ত্রকে। তাদের চাওয়া ছিল চাকরি, সব কিছুতে আরও ভালো সুযোগ-সুবিধা এবং রাষ্ট্রসমর্থিত অতিরক্ষণশীল বিভিন্ন সুন্নি ইনস্টিটিউশন ও আলেমদের থেকে বৈষম্যমূলক পরিস্থিতির অবসান।
ইউরোপীয়ান সৌদি অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটসের হিসাবে এ বছর এখখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি।
২০১৯ সালে সৌদি আরব ৩৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল, যার মধ্যে ৩৪ জন ছিল শিয়া মুসলিম। ২০১৬ সালে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে একদিনে ৪৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল; যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন শিয়া নেতা নিমর আল-নিমর। এই শিয়া নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর পাকিস্তান থেকে ইরানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনার জেরে ছেদ পড়া ইরান-সৌদি কূটনৈতিক সম্পর্ক এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
সৌদি আরবে সক্রিয় অস্ত্রধারী শিয়া বিভিন্ন গোষ্ঠীর পেছনে ইরানের সমর্থন রয়েছে বলে বহু দিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে সৌদি।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।