ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিলের পর প্রথমবারের মতো অঞ্চলটির মূল ধারার রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে মোদির বাসভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক তিন ঘণ্টা স্থায়ী হয়।
বৈঠক শেষে বের হয়ে কাশ্মিরি নেতারা জানিয়েছেন, রাজ্য মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মোদি। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন জম্মু ও কাশ্মিরের আটটি রাজনৈতিক দলের ১৪ জন নেতা। এর মধ্যে চার জন সাবেক মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। ২০১৮ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির সরকারের ওপর থেকে বিজেপি সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকেই অঞ্চলটিতে রাষ্ট্রপতির শাসন চলছে। কাশ্মিরে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া পুনরায় ফিরিয়ে আনাই এই বৈঠকের লক্ষ্য। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি কাশ্মিরের সংসদীয় আসন পুনর্নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তা চেয়েছেন। ২০১৯ সালে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে এসব আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে চায় মোদির সরকার।
২০১৯ সালের ১ আগস্ট সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ এবং তার ছেলে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওর আবদুল্লাহ নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন। এর তিন দিন পর ৪ আগস্ট তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পার্লামেন্টে ঘোষণা দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়।
কাশ্মিরের সাতটি দলের জোট গুপকর অ্যালায়েন্স জানায় তারা মোদির সঙ্গে বৈঠকে পূর্ণ রাজ্যের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার ওপর জোর দেবেন। এই জোটের নেতৃত্বে রয়েছেন মেহবুবা মুফতি ও ফারুক আবদুল্লাহ। কংগ্রেসও একই দাবির কথা জানিয়েছে।
সরকারি একটি বলেছে, ‘বৈঠকের মূল ফোকাস ছিলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমরা জম্মু ও কাশ্মিরের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল নির্বাচনের মতো সফলভাবে পার্লামেন্টারি নির্বাচন আয়োজনের ওপর জোর দিয়েছেন।’
ওই সূত্রটি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ধৈর্য্য সহকারে সব অংশগ্রহণকারীর মতামত এবং পরামর্শ শোনেন। এছাড়া সকালেই খোলামেলাভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে উপস্থিত বেশিরভাগ নেতাকেই কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিলের আগে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী। সম্ভাব্য বিক্ষোভ ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেয় নরেন্দ্র মোদির সরকার।
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিলের পর প্রথমবারের মতো অঞ্চলটির মূল ধারার রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে মোদির বাসভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক তিন ঘণ্টা স্থায়ী হয়।
বৈঠক শেষে বের হয়ে কাশ্মিরি নেতারা জানিয়েছেন, রাজ্য মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মোদি। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন জম্মু ও কাশ্মিরের আটটি রাজনৈতিক দলের ১৪ জন নেতা। এর মধ্যে চার জন সাবেক মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। ২০১৮ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির সরকারের ওপর থেকে বিজেপি সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকেই অঞ্চলটিতে রাষ্ট্রপতির শাসন চলছে। কাশ্মিরে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া পুনরায় ফিরিয়ে আনাই এই বৈঠকের লক্ষ্য। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি কাশ্মিরের সংসদীয় আসন পুনর্নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তা চেয়েছেন। ২০১৯ সালে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে এসব আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে চায় মোদির সরকার।
২০১৯ সালের ১ আগস্ট সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ এবং তার ছেলে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওর আবদুল্লাহ নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন। এর তিন দিন পর ৪ আগস্ট তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পার্লামেন্টে ঘোষণা দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়।
কাশ্মিরের সাতটি দলের জোট গুপকর অ্যালায়েন্স জানায় তারা মোদির সঙ্গে বৈঠকে পূর্ণ রাজ্যের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার ওপর জোর দেবেন। এই জোটের নেতৃত্বে রয়েছেন মেহবুবা মুফতি ও ফারুক আবদুল্লাহ। কংগ্রেসও একই দাবির কথা জানিয়েছে।
সরকারি একটি বলেছে, ‘বৈঠকের মূল ফোকাস ছিলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমরা জম্মু ও কাশ্মিরের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল নির্বাচনের মতো সফলভাবে পার্লামেন্টারি নির্বাচন আয়োজনের ওপর জোর দিয়েছেন।’
ওই সূত্রটি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ধৈর্য্য সহকারে সব অংশগ্রহণকারীর মতামত এবং পরামর্শ শোনেন। এছাড়া সকালেই খোলামেলাভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে উপস্থিত বেশিরভাগ নেতাকেই কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিলের আগে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী। সম্ভাব্য বিক্ষোভ ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেয় নরেন্দ্র মোদির সরকার।