পারমাণবিক সাবমেরিন বিক্রির চুক্তিকে কেন্দ্র করে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলার অভিযোগ তুলেছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভেস লে ড্রিয়ান। এই চুক্তির প্রতিবাদে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার দেশ দুটিতে নিযুক্ত নিজেদের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠিয়েছিল ফ্রান্স। এরপর এমন অভিযোগ উঠল। খবর বিবিসির
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার টেলিভিশন চ্যানেল ফ্রান্স-২-এর সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এ অভিযোগ আনেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এই নিরাপত্তা চুক্তির মাধ্যমে দেশ দুটি ফ্রান্সের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গ ও অপমানজনক আচরণ করেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে চুক্তি হয়। এইউকেইউএস নামের এই চুক্তির অধীনে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিনের প্রযুক্তি সরবরাহ করবে ওই দুই দেশ। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার এই চুক্তির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফ্রান্স। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দেশটির সাবমেরিন–সংশ্লিষ্ট একটি চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তির আর্থিক মূল্য চার হাজার কোটি মার্কিন ডলার। দুই দেশের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার নতুন এই চুক্তির মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ফ্রান্সকে বিষয়টি জানানো হয়।
নতুন এই চুক্তি মিত্রদেশগুলোর সম্পর্কের মধ্যে ‘মারাত্মক সংকট’ সৃষ্টি করেছে বলে উল্লেখ করেন জ্যঁ-ইভেস লে ড্রিয়ান। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের সম্পর্কের ইতিহাসে এই প্রথম আমরা আমাদের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে আনলাম। এটি একটি গুরুতর রাজনৈতিক পদক্ষেপ। দুই দেশের সম্পর্কে সংকট কতটা, তা এ থেকে বোঝা যাচ্ছে।’
এর আগে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত নিজ দেশের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠায় ফ্রান্স। বর্তমান পরিস্থিতির পুনরায় মূল্যায়ন করতেই তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ত্রিদেশীয় নিরাপত্তা চুক্তিতে রয়েছে যুক্তরাজ্যও। তবে সেখানে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরতে বলা হয়নি। এ নিয়ে জ্যঁ-ইভেস লে ড্রিয়ানের ভাষ্য, যুক্তরাজ্য থেকে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠানোর কোনো মানে হয় না। দেশটিকে ‘সুযোগসন্ধানী’ বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।
২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ফ্রান্সের নৌযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নেভাল গ্রুপের কাছ থেকে তারা নতুন সাবমেরিন তৈরি করে নেবে। নতুন এই সাবমেরিন প্রতিস্থাপিত হবে পুরোনো কলিন্স সাবমেরিনের জায়গায়। গত জুনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন যখন ফ্রান্সে গিয়েছিলেন, তখন দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁও দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার কথা বলেছিলেন।
দুই সপ্তাহ আগেও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছিলেন, তাঁরা ফ্রান্সের কাছ থেকেই এই সাবমেরিন তৈরি করে নেবেন। কিন্তু দুই সপ্তাহের ব্যবধানে হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদলে ফেলে অস্ট্রেলিয়া।
কী আছে অকাস চুক্তিতে
মূলত বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের প্রভাব মোকাবেলার জন্যই নতুন এই অকাস জোট গঠন করা হয়েছে। ওই অঞ্চলে বহু বছর ধরেই সংকট বিরাজ করছে এবং এর জের ধরে উত্তেজনাও চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বুধবার অকাস গঠনের কথা ঘোষণা করেন।
এই তিন নেতার এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অকাসের আওতায় প্রথম উদ্যোগ হিসেবে আমরা পরমাণু-চালিত সাবমেরিন সক্ষমতা অর্জনে সহায়তায় অঙ্গীকার করছি। এটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতায় এবং আমাদের যৌথ স্বার্থের সহায়তায় মোতায়েন করা হবে।’
নবগঠিত অকাস জোটের তিনটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে তাতে পরমাণু শক্তি-চালিত সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ তৈরির জন্য অস্ট্রেলিয়াকে প্রযুক্তি সরবরাহ করার কথা বলা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণে অ্যাডেলেইডে এসব সাবমেরিন নির্মাণ করা হবে।
অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউটের একজন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মাইকেল শোব্রিজ বলেছেন, ‘একটি পারমাণবিক সাবমেরিনের প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রচণ্ড সক্ষমতা রয়েছে। এর ফলে কোনো অঞ্চলে এর বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। বিশ্বের মাত্র ছটি দেশের পারমাণবিক সাবমেরিন রয়েছে।’
অস্ট্রেলিয়ার জন্য সাবমেরিন নির্মাণের পাশাপাশি গোয়েন্দা ও কোয়ান্টাম প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তি বিনিময়ের কথা বলা হয়েছে এই চুক্তিতে।
কেন ক্ষুব্ধ ফ্রান্স
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার এই নতুন উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই ক্রদ্ধ হয়েছে প্যারিস। কারণ তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই চুক্তির ফলে অস্ট্রেলিয়ার সাথে তাদের পূর্ব-স্বাক্ষরিত বহু কোটি ডলারের একটি সমঝোতার অবসান ঘটেছে।
দুহাজার ষোল সালে অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে ৩,৭০০ কোটি ডলার মূল্যের সেই চুক্তি সই হয়েছিল, যার আওতায় অস্ট্রেলিয়ার জন্য ১২টি সাবমেরিন নির্মাণ করার কথা ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিষয়ক বিবিসির সংবাদদাতা বারবারা প্লেট-আশার বলছেন, অকাস চুক্তিটি ফ্রান্সের জন্য একদিকে অর্থনৈতিক ধাক্কা। তেমনি নতুন এই নিরাপত্তা চুক্তির ঘোষণা ফরাসী নেতাদের জন্য বিস্ময়করও, কারণ এবিষয়ে তাদের কোনো ধারণা ছিল না।
নতুন এই জোট গঠনের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ফ্রান্সকে এবিষয়ে অবহিত করা হয়।
বারবারা প্লেট-আশার বিবিসির ওয়েবসাইটে এই ঘটনার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে লিখেছেন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠানোর ঘটনা সম্ভবত নজিরবিহীন। আমেরিকার প্রাচীনতম বন্ধু ফ্রান্স। হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারাও একথা উল্লেখ করেছেন।
রোববার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
পারমাণবিক সাবমেরিন বিক্রির চুক্তিকে কেন্দ্র করে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলার অভিযোগ তুলেছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভেস লে ড্রিয়ান। এই চুক্তির প্রতিবাদে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার দেশ দুটিতে নিযুক্ত নিজেদের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠিয়েছিল ফ্রান্স। এরপর এমন অভিযোগ উঠল। খবর বিবিসির
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার টেলিভিশন চ্যানেল ফ্রান্স-২-এর সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এ অভিযোগ আনেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এই নিরাপত্তা চুক্তির মাধ্যমে দেশ দুটি ফ্রান্সের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গ ও অপমানজনক আচরণ করেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে চুক্তি হয়। এইউকেইউএস নামের এই চুক্তির অধীনে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিনের প্রযুক্তি সরবরাহ করবে ওই দুই দেশ। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার এই চুক্তির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফ্রান্স। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দেশটির সাবমেরিন–সংশ্লিষ্ট একটি চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তির আর্থিক মূল্য চার হাজার কোটি মার্কিন ডলার। দুই দেশের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার নতুন এই চুক্তির মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ফ্রান্সকে বিষয়টি জানানো হয়।
নতুন এই চুক্তি মিত্রদেশগুলোর সম্পর্কের মধ্যে ‘মারাত্মক সংকট’ সৃষ্টি করেছে বলে উল্লেখ করেন জ্যঁ-ইভেস লে ড্রিয়ান। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের সম্পর্কের ইতিহাসে এই প্রথম আমরা আমাদের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে আনলাম। এটি একটি গুরুতর রাজনৈতিক পদক্ষেপ। দুই দেশের সম্পর্কে সংকট কতটা, তা এ থেকে বোঝা যাচ্ছে।’
এর আগে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত নিজ দেশের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠায় ফ্রান্স। বর্তমান পরিস্থিতির পুনরায় মূল্যায়ন করতেই তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ত্রিদেশীয় নিরাপত্তা চুক্তিতে রয়েছে যুক্তরাজ্যও। তবে সেখানে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরতে বলা হয়নি। এ নিয়ে জ্যঁ-ইভেস লে ড্রিয়ানের ভাষ্য, যুক্তরাজ্য থেকে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠানোর কোনো মানে হয় না। দেশটিকে ‘সুযোগসন্ধানী’ বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।
২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ফ্রান্সের নৌযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নেভাল গ্রুপের কাছ থেকে তারা নতুন সাবমেরিন তৈরি করে নেবে। নতুন এই সাবমেরিন প্রতিস্থাপিত হবে পুরোনো কলিন্স সাবমেরিনের জায়গায়। গত জুনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন যখন ফ্রান্সে গিয়েছিলেন, তখন দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁও দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার কথা বলেছিলেন।
দুই সপ্তাহ আগেও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছিলেন, তাঁরা ফ্রান্সের কাছ থেকেই এই সাবমেরিন তৈরি করে নেবেন। কিন্তু দুই সপ্তাহের ব্যবধানে হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদলে ফেলে অস্ট্রেলিয়া।
কী আছে অকাস চুক্তিতে
মূলত বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের প্রভাব মোকাবেলার জন্যই নতুন এই অকাস জোট গঠন করা হয়েছে। ওই অঞ্চলে বহু বছর ধরেই সংকট বিরাজ করছে এবং এর জের ধরে উত্তেজনাও চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বুধবার অকাস গঠনের কথা ঘোষণা করেন।
এই তিন নেতার এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অকাসের আওতায় প্রথম উদ্যোগ হিসেবে আমরা পরমাণু-চালিত সাবমেরিন সক্ষমতা অর্জনে সহায়তায় অঙ্গীকার করছি। এটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতায় এবং আমাদের যৌথ স্বার্থের সহায়তায় মোতায়েন করা হবে।’
নবগঠিত অকাস জোটের তিনটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে তাতে পরমাণু শক্তি-চালিত সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ তৈরির জন্য অস্ট্রেলিয়াকে প্রযুক্তি সরবরাহ করার কথা বলা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণে অ্যাডেলেইডে এসব সাবমেরিন নির্মাণ করা হবে।
অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউটের একজন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মাইকেল শোব্রিজ বলেছেন, ‘একটি পারমাণবিক সাবমেরিনের প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রচণ্ড সক্ষমতা রয়েছে। এর ফলে কোনো অঞ্চলে এর বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। বিশ্বের মাত্র ছটি দেশের পারমাণবিক সাবমেরিন রয়েছে।’
অস্ট্রেলিয়ার জন্য সাবমেরিন নির্মাণের পাশাপাশি গোয়েন্দা ও কোয়ান্টাম প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তি বিনিময়ের কথা বলা হয়েছে এই চুক্তিতে।
কেন ক্ষুব্ধ ফ্রান্স
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার এই নতুন উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই ক্রদ্ধ হয়েছে প্যারিস। কারণ তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই চুক্তির ফলে অস্ট্রেলিয়ার সাথে তাদের পূর্ব-স্বাক্ষরিত বহু কোটি ডলারের একটি সমঝোতার অবসান ঘটেছে।
দুহাজার ষোল সালে অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে ৩,৭০০ কোটি ডলার মূল্যের সেই চুক্তি সই হয়েছিল, যার আওতায় অস্ট্রেলিয়ার জন্য ১২টি সাবমেরিন নির্মাণ করার কথা ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিষয়ক বিবিসির সংবাদদাতা বারবারা প্লেট-আশার বলছেন, অকাস চুক্তিটি ফ্রান্সের জন্য একদিকে অর্থনৈতিক ধাক্কা। তেমনি নতুন এই নিরাপত্তা চুক্তির ঘোষণা ফরাসী নেতাদের জন্য বিস্ময়করও, কারণ এবিষয়ে তাদের কোনো ধারণা ছিল না।
নতুন এই জোট গঠনের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ফ্রান্সকে এবিষয়ে অবহিত করা হয়।
বারবারা প্লেট-আশার বিবিসির ওয়েবসাইটে এই ঘটনার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে লিখেছেন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠানোর ঘটনা সম্ভবত নজিরবিহীন। আমেরিকার প্রাচীনতম বন্ধু ফ্রান্স। হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারাও একথা উল্লেখ করেছেন।