‘আপনার একটা ভোট না পেলে মনে রাখবেন আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকতে পারবো না। তাই ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমস্ত ভোটারকে ভোট দিতে যেতে হবে। আপনাদের সবার একটি করে ভোট আমার দরকার।’ বুধবার খিদিরপুর নির্বাচনী জনসভায় ভোটারদের কাছে এই অনুরোধ জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নন্দীগ্রামে হারায় সাংবিধানিক শর্ত মেনে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হলে ৬ মাসের মধ্যে উপভোটে জিতে আসতে হবে মমতাকে। সে কথা মনে করিয়ে তার বক্তব্য, ‘তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। কিন্তু আমি যদি জিততে না পারি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অন্য কেউ হবে। আমি হতে পারব না। তাই আপনার ভোটটা আমার প্রয়োজন? ঝড়-বৃষ্টি থাকলেও আপনারা ভোট দিতে বেরোবেন।’
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘এনআরসি, সিএএ, এনপিআর নিয়ে, নোটবন্দির বিরুদ্ধে আমিই লড়বো। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহকে দাদা ভাই বলে সম্বোধন করি। এটা আমাদের সৌজন্য। কিন্তু তাই বলে, দেশে তালিবান শাসন জারি করতে দেব না। দেশকে টুকরো হতে দেব না। কেউ মা বলি, কেউ আম্মা বলেন। প্রয়োজনে একজনের রক্ত অন্যের শরীরে দান, এটাই হিন্দুস্থান। বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে তিনি আরও বলেন, চারটে জায়গায় উপনির্বাচন বাকি আছে। আমরাই জিতব। বিজেপি জিততে পারবে না।
বাংলার মানুষের পাশে সবসময় থাকার বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আপনাদের ছেড়ে আমার কোন দিনই যাওয়া সম্ভব নয়। ত্রিপুরায় গেলে মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়। তৃণমূলকে আটকাতে ত্রিপুরায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এখানেও তো পূজা হয়, ১৪৪ ধারা জারি করা হয় না। কিন্তু ত্রিপুরা সরকার বলছে, পূজার সময় তারা ১৪৪ ধারা জারি রেখেছে। আপনারা শান্তিতে ভোট দিন। যদি কেউ বদমাইশি করে তবে ওদের ফাঁদে পা দেবেন না। আমরা ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় লড়ব। প্রয়োজনে ত্রিপুরায় খেলা হবে।
ওদিকে ভবানীপুরে প্রচারে বেরিয়ে ফের পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেয়ার অভিযোগ তুললেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। তিনি আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী তথা ভবানীপুর আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি যে ওয়ার্ডে, সেই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
ভবানীপুরের মানুষের মনজয় করতে মরিয়া প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। কিন্তু খোদ মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় ভোট প্রচারে বাধা দিচ্ছে পুলিশ, পুলিশ নির্দিষ্ট একটি পার্টির হয়ে কাজ করছে। প্রিয়াঙ্কা পুরো ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। আগামী ৩০ তারিখের নির্বাচনে মানুষ পুলিশের এই ভূমিকার জবাব দেবেন। প্রিয়াঙ্কা বলেন, আমার বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার মন্ত্রিসভার বাঘা বাঘা মন্ত্রীকে নামিয়েছেন। পুলিশকে সাদা পোশাকে নামিয়েছে। সরকারি প্রশাসনকেও কাজে লাগাচ্ছে। আর আমি ও আমার দল এদের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছি।
ফের বড় ভাঙনের মুখে মুর্শিদাবাদ কংগ্রেস। রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠন বলতে ছিল মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে এই দুই জেলা থেকেও কংগ্রেসের প্রাপ্তি শূন্য। ভোটের পর থেকে মুর্শিদাবাদে একাধিক নেতা দলত্যাগ করেছেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছেন অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠ ৫ বারের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক। তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন বলে জানা গেছে।
শুধু তিনিই নন, এদিন তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতাকর্মীও তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরের। ৩০ সেপ্টেম্বর মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে নির্বাচন রয়েছে। সেই নির্বাচনী রণে রয়েছে কংগ্রেসও। কংগ্রেসের কফিনে আরও পেরেক পুঁততে চান একসময়ে অধীর চৌধুরীর অনুগত বলে পরিচিত একাধিক নেতা। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পর থেকে মুর্শিদাবাদের অনেক কংগ্রেস নেতাই অধীর চৌধুরীর সঙ্গ ছেড়েছেন। এর মধ্যে যেমন ছিলেন জঙ্গিপুরের প্রাক্তন সংসদ সদস্য অভিজিত মুখোপাধ্যায়, তেমনই দেখা গিয়েছিল হরিহরপাড়ার কংগ্রেস প্রার্থী মীর আলমগীর পলাশকেও। মীর আলমগীর পলাশ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ছিলেন।
তৃণমূলে যোগ দেয়াদের তালিকায় ছিলেন যুব কংগ্রেসের সহসভাপতি রাশিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক উৎপল কু-ু, সেবাদল চেয়ারম্যান হাবিবুল রহমান। এছাড়াও বহরমপুর টাউন কংগ্রেসের সভাপতি কার্তিকচন্দ্র সাহা এবং বহরমপুর (পূর্ব) ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি আশিস দে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন জুলাইয়ে। যাদের সাহায্য নিয়ে জয়, তাদেরই অধীর চৌধুরী মর্যাদা দেননি বলে অভিযোগ করেছিলেন দলত্যাগীরা।
এদিকে রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই বিজেপির সদ্য সভাপতি ড. সুকান্ত মজুমদার তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। আর বুধবার সকালে দিলীপ ঘোষ জানালেন তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
বুধবার সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণের সময়ে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি গঠন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, নতুন কমিটি গঠনের সময়-তারিখ-দিন তার পক্ষে কাউকে জানানো সম্ভব নয়। নতুন সভাপতি এসেছেন এবং তিনিই কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করবেন। তবে দিলীপ ঘোষ আশা করছেন খুব তাড়াতাড়ি নতুন কমিটি গঠনের কাজ হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
‘আপনার একটা ভোট না পেলে মনে রাখবেন আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকতে পারবো না। তাই ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমস্ত ভোটারকে ভোট দিতে যেতে হবে। আপনাদের সবার একটি করে ভোট আমার দরকার।’ বুধবার খিদিরপুর নির্বাচনী জনসভায় ভোটারদের কাছে এই অনুরোধ জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নন্দীগ্রামে হারায় সাংবিধানিক শর্ত মেনে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হলে ৬ মাসের মধ্যে উপভোটে জিতে আসতে হবে মমতাকে। সে কথা মনে করিয়ে তার বক্তব্য, ‘তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। কিন্তু আমি যদি জিততে না পারি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অন্য কেউ হবে। আমি হতে পারব না। তাই আপনার ভোটটা আমার প্রয়োজন? ঝড়-বৃষ্টি থাকলেও আপনারা ভোট দিতে বেরোবেন।’
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘এনআরসি, সিএএ, এনপিআর নিয়ে, নোটবন্দির বিরুদ্ধে আমিই লড়বো। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহকে দাদা ভাই বলে সম্বোধন করি। এটা আমাদের সৌজন্য। কিন্তু তাই বলে, দেশে তালিবান শাসন জারি করতে দেব না। দেশকে টুকরো হতে দেব না। কেউ মা বলি, কেউ আম্মা বলেন। প্রয়োজনে একজনের রক্ত অন্যের শরীরে দান, এটাই হিন্দুস্থান। বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে তিনি আরও বলেন, চারটে জায়গায় উপনির্বাচন বাকি আছে। আমরাই জিতব। বিজেপি জিততে পারবে না।
বাংলার মানুষের পাশে সবসময় থাকার বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আপনাদের ছেড়ে আমার কোন দিনই যাওয়া সম্ভব নয়। ত্রিপুরায় গেলে মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়। তৃণমূলকে আটকাতে ত্রিপুরায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এখানেও তো পূজা হয়, ১৪৪ ধারা জারি করা হয় না। কিন্তু ত্রিপুরা সরকার বলছে, পূজার সময় তারা ১৪৪ ধারা জারি রেখেছে। আপনারা শান্তিতে ভোট দিন। যদি কেউ বদমাইশি করে তবে ওদের ফাঁদে পা দেবেন না। আমরা ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় লড়ব। প্রয়োজনে ত্রিপুরায় খেলা হবে।
ওদিকে ভবানীপুরে প্রচারে বেরিয়ে ফের পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেয়ার অভিযোগ তুললেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। তিনি আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী তথা ভবানীপুর আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি যে ওয়ার্ডে, সেই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
ভবানীপুরের মানুষের মনজয় করতে মরিয়া প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। কিন্তু খোদ মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় ভোট প্রচারে বাধা দিচ্ছে পুলিশ, পুলিশ নির্দিষ্ট একটি পার্টির হয়ে কাজ করছে। প্রিয়াঙ্কা পুরো ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। আগামী ৩০ তারিখের নির্বাচনে মানুষ পুলিশের এই ভূমিকার জবাব দেবেন। প্রিয়াঙ্কা বলেন, আমার বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার মন্ত্রিসভার বাঘা বাঘা মন্ত্রীকে নামিয়েছেন। পুলিশকে সাদা পোশাকে নামিয়েছে। সরকারি প্রশাসনকেও কাজে লাগাচ্ছে। আর আমি ও আমার দল এদের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছি।
ফের বড় ভাঙনের মুখে মুর্শিদাবাদ কংগ্রেস। রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠন বলতে ছিল মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে এই দুই জেলা থেকেও কংগ্রেসের প্রাপ্তি শূন্য। ভোটের পর থেকে মুর্শিদাবাদে একাধিক নেতা দলত্যাগ করেছেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছেন অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠ ৫ বারের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক। তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন বলে জানা গেছে।
শুধু তিনিই নন, এদিন তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতাকর্মীও তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরের। ৩০ সেপ্টেম্বর মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে নির্বাচন রয়েছে। সেই নির্বাচনী রণে রয়েছে কংগ্রেসও। কংগ্রেসের কফিনে আরও পেরেক পুঁততে চান একসময়ে অধীর চৌধুরীর অনুগত বলে পরিচিত একাধিক নেতা। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পর থেকে মুর্শিদাবাদের অনেক কংগ্রেস নেতাই অধীর চৌধুরীর সঙ্গ ছেড়েছেন। এর মধ্যে যেমন ছিলেন জঙ্গিপুরের প্রাক্তন সংসদ সদস্য অভিজিত মুখোপাধ্যায়, তেমনই দেখা গিয়েছিল হরিহরপাড়ার কংগ্রেস প্রার্থী মীর আলমগীর পলাশকেও। মীর আলমগীর পলাশ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ছিলেন।
তৃণমূলে যোগ দেয়াদের তালিকায় ছিলেন যুব কংগ্রেসের সহসভাপতি রাশিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক উৎপল কু-ু, সেবাদল চেয়ারম্যান হাবিবুল রহমান। এছাড়াও বহরমপুর টাউন কংগ্রেসের সভাপতি কার্তিকচন্দ্র সাহা এবং বহরমপুর (পূর্ব) ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি আশিস দে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন জুলাইয়ে। যাদের সাহায্য নিয়ে জয়, তাদেরই অধীর চৌধুরী মর্যাদা দেননি বলে অভিযোগ করেছিলেন দলত্যাগীরা।
এদিকে রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই বিজেপির সদ্য সভাপতি ড. সুকান্ত মজুমদার তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। আর বুধবার সকালে দিলীপ ঘোষ জানালেন তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
বুধবার সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণের সময়ে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি গঠন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, নতুন কমিটি গঠনের সময়-তারিখ-দিন তার পক্ষে কাউকে জানানো সম্ভব নয়। নতুন সভাপতি এসেছেন এবং তিনিই কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করবেন। তবে দিলীপ ঘোষ আশা করছেন খুব তাড়াতাড়ি নতুন কমিটি গঠনের কাজ হয়ে যাবে।