অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের কর্মকর্তারা আগামী মাস থেকে টিকা নেওয়া ভ্রমণার্থীদের কোনোরকম বিধিনিষেধ ছাড়াই সিডনিতে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছেন।
তবে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় এ শহরে কোয়ারেন্টিনবিহীন ভ্রমণ চালুতে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারেরও সায় লাগবে।
বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার নিউ সাউথ ওয়েলস কর্তৃপক্ষ নভেম্বর থেকে সিডনিতে টিকা নেওয়া বিদেশি ভ্রমণার্থীদের জন্য কোয়ারেন্টিন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানালেও এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এ বিষয়ে তার অবস্থান জানাননি।
“আমরা সারা বিশ্বের জন্য সিডনি ও নিউ সাউথ ওয়েলসকে খুলে দিতে যাচ্ছি, দিনটি হতে যাচ্ছে ১ নভেম্বর। সেদিন থেকে আমরা সারা বিশ্বকে বলতে পারবো, আমরা সবাইকে সমানভাবে দেখছি। যদি আপনি টিকার সব ডোজ নিয়ে থাকেন, তাহলে এই অপরূপ রাজ্যে আপনি আসতে পারেন,” বলেছেন চলতি মাসেই রাজ্য প্রিমিয়ারের দায়িত্ব নেওয়া ডমিনিক প্যারোটে।
মহামারী শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকেই অস্ট্রেলিয়া তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়; কেবলমাত্র বিদেশে আটকা পড়া নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদেরই তারা ১৪ দিন নিজখরচে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকার শর্তে ভেতরে ঢুকতে দিয়েছে।
গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন নভেম্বর থেকে সীমান্তে বিধিনিষেধ শিথিল করে অস্ট্রেলিয়ানদের দেশের বাইরে যাওয়া এবং বিদেশে থাকাদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া সহজ করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
ক্যানবেরা নভেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করা ব্যক্তিদের ৭দিন ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ রাখার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু নর্থ সাউথ ওয়েলসের প্রস্তাব হচ্ছে টিকার সব ডোজ নেওয়া এবং ফ্লাইটে ওঠার আগে কোভিড পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ আসা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টিনে থাকার নিয়মই তুলে দেওয়া।
এক্ষেত্রে যে ভিসা ও দেশে প্রবেশ সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সরকারের ‘সবুজ সংকেত’ লাগবে তা মানছেন রাজ্যটির কর্মকর্তারাও। তাদের ভাষ্য, কোয়ারেন্টিন পুরোপুরি তুলে দেওয়ার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে রাজ্যের অর্থনীতিকে বিশ্বের সঙ্গে ফের সংযুক্ত করা।
“আমি নিউ সাউথ ওয়েলসকে বিশ্বের সঙ্গে পুনরায় যুক্ত করতে চাই। আমরা একটি বিচ্ছিন্ন রাজ্য হয়ে বেঁচে থাকতে পারবো না,” বলেছেন প্যারোটে।
১ নভেম্বর থেকে রাজ্যের দ্বার খুলে দিলে পর্যটন শিল্প ব্যাপক উপকৃত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবারই সিডনি ১০৭ দিনের লকডাউন শেষে বেরিয়ে এসেছে, আর এখনই কর্তৃপক্ষ নিউ সাউথ ওয়েলসকে পুরোপুরি খুলে দেওয়ার জন্য তৎপর।
নিউ সাউথ ওয়েলসই এক্ষেত্রে ‘দেশকে নেতৃত্ব দেবে’, বলছে রাজ্যটির কর্তৃপক্ষ।
নভেম্বর থেকে সিডনি বিদেশি ভ্রমণার্থীদের স্বাগত জানানো শুরু করলেও সেসময় অস্ট্রেলিয়া থাকা দেশটির অনেক নাগরিকেরই নিজ দেশের অনেক রাজ্যে যাওয়া নিষিদ্ধ থাকতে পারে।
নিজেদের কোভিডমুক্ত রাখতে কুইন্সল্যান্ড, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, সাউথ অস্ট্রেলিয়া, তাসমানিয়া ও নর্দার্ন টেরিটরি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আছে এমন রাজ্যগুলোর বাসিন্দাদের জন্য তাদের সীমান্ত বন্ধ রেখেছে। কবে থেকে এই সীমান্ত খুলে দেওয়া হতে পারে, তার কোনো সময়সীমাও জানায়নি তারা।
শুক্রবার প্যারোটে এই অসঙ্গতির বিষয়টিও তুলে ধরেছেন।
“আমার মনে হয় নিউ সাউথ ওয়েলসের লোকজন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ব্রুম যাওয়ার আগে ইন্দোনেশিয়ার বালি যেতে পারবে,” বলেছেন তিনি।
শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের কর্মকর্তারা আগামী মাস থেকে টিকা নেওয়া ভ্রমণার্থীদের কোনোরকম বিধিনিষেধ ছাড়াই সিডনিতে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছেন।
তবে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় এ শহরে কোয়ারেন্টিনবিহীন ভ্রমণ চালুতে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারেরও সায় লাগবে।
বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার নিউ সাউথ ওয়েলস কর্তৃপক্ষ নভেম্বর থেকে সিডনিতে টিকা নেওয়া বিদেশি ভ্রমণার্থীদের জন্য কোয়ারেন্টিন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানালেও এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এ বিষয়ে তার অবস্থান জানাননি।
“আমরা সারা বিশ্বের জন্য সিডনি ও নিউ সাউথ ওয়েলসকে খুলে দিতে যাচ্ছি, দিনটি হতে যাচ্ছে ১ নভেম্বর। সেদিন থেকে আমরা সারা বিশ্বকে বলতে পারবো, আমরা সবাইকে সমানভাবে দেখছি। যদি আপনি টিকার সব ডোজ নিয়ে থাকেন, তাহলে এই অপরূপ রাজ্যে আপনি আসতে পারেন,” বলেছেন চলতি মাসেই রাজ্য প্রিমিয়ারের দায়িত্ব নেওয়া ডমিনিক প্যারোটে।
মহামারী শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকেই অস্ট্রেলিয়া তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়; কেবলমাত্র বিদেশে আটকা পড়া নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদেরই তারা ১৪ দিন নিজখরচে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকার শর্তে ভেতরে ঢুকতে দিয়েছে।
গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন নভেম্বর থেকে সীমান্তে বিধিনিষেধ শিথিল করে অস্ট্রেলিয়ানদের দেশের বাইরে যাওয়া এবং বিদেশে থাকাদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া সহজ করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
ক্যানবেরা নভেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করা ব্যক্তিদের ৭দিন ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ রাখার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু নর্থ সাউথ ওয়েলসের প্রস্তাব হচ্ছে টিকার সব ডোজ নেওয়া এবং ফ্লাইটে ওঠার আগে কোভিড পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ আসা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টিনে থাকার নিয়মই তুলে দেওয়া।
এক্ষেত্রে যে ভিসা ও দেশে প্রবেশ সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সরকারের ‘সবুজ সংকেত’ লাগবে তা মানছেন রাজ্যটির কর্মকর্তারাও। তাদের ভাষ্য, কোয়ারেন্টিন পুরোপুরি তুলে দেওয়ার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে রাজ্যের অর্থনীতিকে বিশ্বের সঙ্গে ফের সংযুক্ত করা।
“আমি নিউ সাউথ ওয়েলসকে বিশ্বের সঙ্গে পুনরায় যুক্ত করতে চাই। আমরা একটি বিচ্ছিন্ন রাজ্য হয়ে বেঁচে থাকতে পারবো না,” বলেছেন প্যারোটে।
১ নভেম্বর থেকে রাজ্যের দ্বার খুলে দিলে পর্যটন শিল্প ব্যাপক উপকৃত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবারই সিডনি ১০৭ দিনের লকডাউন শেষে বেরিয়ে এসেছে, আর এখনই কর্তৃপক্ষ নিউ সাউথ ওয়েলসকে পুরোপুরি খুলে দেওয়ার জন্য তৎপর।
নিউ সাউথ ওয়েলসই এক্ষেত্রে ‘দেশকে নেতৃত্ব দেবে’, বলছে রাজ্যটির কর্তৃপক্ষ।
নভেম্বর থেকে সিডনি বিদেশি ভ্রমণার্থীদের স্বাগত জানানো শুরু করলেও সেসময় অস্ট্রেলিয়া থাকা দেশটির অনেক নাগরিকেরই নিজ দেশের অনেক রাজ্যে যাওয়া নিষিদ্ধ থাকতে পারে।
নিজেদের কোভিডমুক্ত রাখতে কুইন্সল্যান্ড, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, সাউথ অস্ট্রেলিয়া, তাসমানিয়া ও নর্দার্ন টেরিটরি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আছে এমন রাজ্যগুলোর বাসিন্দাদের জন্য তাদের সীমান্ত বন্ধ রেখেছে। কবে থেকে এই সীমান্ত খুলে দেওয়া হতে পারে, তার কোনো সময়সীমাও জানায়নি তারা।
শুক্রবার প্যারোটে এই অসঙ্গতির বিষয়টিও তুলে ধরেছেন।
“আমার মনে হয় নিউ সাউথ ওয়েলসের লোকজন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ব্রুম যাওয়ার আগে ইন্দোনেশিয়ার বালি যেতে পারবে,” বলেছেন তিনি।