চীনের সাংহাইয়ে ৩ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর কার্যত হুলস্থুল সৃষ্টি হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চীন এ পর্যন্ত বেশ সফল। আর তা সম্ভব হয়েছে তাদের কঠোর জিরো-কোভিড নীতির কারণে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ঠেকাতে চীনারা কতটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তার নমুনা দেখা গেলো আরও একবার। ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে কিছু সংখ্যক স্কুলও।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। মাত্র তিনজন করোনা রোগী শনাক্তের পর চীনা কর্তৃপক্ষের নেওয়া এই পদক্ষেপে এটি স্পষ্ট যে, জিরো-কোভিড নীতি নিশ্চিতে কঠোরভাবে কাজ করছে বেইজিং।
করোনাভাইরাস মহামারি সারাবিশ্বেই প্রকট আকার ধারণ করলেও শুরু থেকে তা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে চীন। মূলত কঠোর ভ্রমণ বিধিনিষেধ ও লকডাউনের কারণেই ভাইরাসে নতুন সংক্রমণ এবং প্রাণহানি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে দেশটি। কিন্তু অভ্যন্তরীণ ভাবে মাঝে মাঝেই চীনের কিছু এলাকায় সংখ্যায় অল্প হলেও সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। এরপরই সেসব এলাকায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বেইজিং।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংহাইয়ের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনায় আক্রান্ত ৩ জনই একে অপরের বন্ধু এবং গত সপ্তাহে তারা পার্শ্ববর্তী সুঝোও শহরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। এমনকি তিনজনই করোনার টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছিলেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এদিকে ফ্লাইট ট্র্যাকার সংস্থা ভেরিফ্লাইটের তথ্য অনুযায়ী, ৩ করোনা রোগী শনাক্তের পর সাংহাই শহরের দু’টি বড় বিমানবন্দর থেকে পূর্ব নির্ধারিত পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে ভ্রমণও আপাতত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সাংহাই প্রাদেশিক সরকার।
একইসঙ্গে সাংহাইয়ের ৬টি হাসপাতলের বহির্বিভাগেও সেবাদান বন্ধ করা হয়েছে।
সংহাই থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরবর্তী শহর সুঝৌতে সব পর্যটন স্পট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের শহর থেকে বেরোতে করোনা নেগেটিভ সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
স্যাটেলাইট শহর জুঝৌয়ের সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের বাসে চড়ে শহরত্যাগে দেওয়া হয়েছে সাময়িক নিষেধজ্ঞা।
নতুন শনাক্ত এক রোগীর সঙ্গে প্রতিবেশী হাংঝৌয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তার যোগাযোগ থাকায় পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। আগামী ফেব্রুয়ারিতে শীতকালীন অলিম্পিক সামনে রেখে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে বেইজিংয়ে।
বৃহস্পতিবারের ব্রিফিংয়ে সাংহাই করোনা প্রতিরোধ টাস্কফোর্সের প্রধান ঝাং ওয়েনহং বলেন, চীন ‘ডাইনামিক জিরো-কোভিড’-এ প্রচুর অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। তাই আমাদের কৌশল পরিবর্তন হবে না। তিনি স্থানীয়দের সতর্ক করে বলেছেন, ভবিষ্যতে হয়তো এটিই মহামারিবিরোধী স্বাভাবিক পরিস্থিতি হয়ে উঠবে।
চীন অবশ্য আগেই করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু ফের নতুন করে কয়েকজন আক্রান্ত হওয়ায় শুরুতেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পথে হেঁটেছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১
চীনের সাংহাইয়ে ৩ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর কার্যত হুলস্থুল সৃষ্টি হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চীন এ পর্যন্ত বেশ সফল। আর তা সম্ভব হয়েছে তাদের কঠোর জিরো-কোভিড নীতির কারণে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ঠেকাতে চীনারা কতটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তার নমুনা দেখা গেলো আরও একবার। ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে কিছু সংখ্যক স্কুলও।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। মাত্র তিনজন করোনা রোগী শনাক্তের পর চীনা কর্তৃপক্ষের নেওয়া এই পদক্ষেপে এটি স্পষ্ট যে, জিরো-কোভিড নীতি নিশ্চিতে কঠোরভাবে কাজ করছে বেইজিং।
করোনাভাইরাস মহামারি সারাবিশ্বেই প্রকট আকার ধারণ করলেও শুরু থেকে তা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে চীন। মূলত কঠোর ভ্রমণ বিধিনিষেধ ও লকডাউনের কারণেই ভাইরাসে নতুন সংক্রমণ এবং প্রাণহানি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে দেশটি। কিন্তু অভ্যন্তরীণ ভাবে মাঝে মাঝেই চীনের কিছু এলাকায় সংখ্যায় অল্প হলেও সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। এরপরই সেসব এলাকায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বেইজিং।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংহাইয়ের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনায় আক্রান্ত ৩ জনই একে অপরের বন্ধু এবং গত সপ্তাহে তারা পার্শ্ববর্তী সুঝোও শহরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। এমনকি তিনজনই করোনার টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছিলেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এদিকে ফ্লাইট ট্র্যাকার সংস্থা ভেরিফ্লাইটের তথ্য অনুযায়ী, ৩ করোনা রোগী শনাক্তের পর সাংহাই শহরের দু’টি বড় বিমানবন্দর থেকে পূর্ব নির্ধারিত পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে ভ্রমণও আপাতত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সাংহাই প্রাদেশিক সরকার।
একইসঙ্গে সাংহাইয়ের ৬টি হাসপাতলের বহির্বিভাগেও সেবাদান বন্ধ করা হয়েছে।
সংহাই থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরবর্তী শহর সুঝৌতে সব পর্যটন স্পট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের শহর থেকে বেরোতে করোনা নেগেটিভ সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
স্যাটেলাইট শহর জুঝৌয়ের সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের বাসে চড়ে শহরত্যাগে দেওয়া হয়েছে সাময়িক নিষেধজ্ঞা।
নতুন শনাক্ত এক রোগীর সঙ্গে প্রতিবেশী হাংঝৌয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তার যোগাযোগ থাকায় পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। আগামী ফেব্রুয়ারিতে শীতকালীন অলিম্পিক সামনে রেখে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে বেইজিংয়ে।
বৃহস্পতিবারের ব্রিফিংয়ে সাংহাই করোনা প্রতিরোধ টাস্কফোর্সের প্রধান ঝাং ওয়েনহং বলেন, চীন ‘ডাইনামিক জিরো-কোভিড’-এ প্রচুর অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। তাই আমাদের কৌশল পরিবর্তন হবে না। তিনি স্থানীয়দের সতর্ক করে বলেছেন, ভবিষ্যতে হয়তো এটিই মহামারিবিরোধী স্বাভাবিক পরিস্থিতি হয়ে উঠবে।
চীন অবশ্য আগেই করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু ফের নতুন করে কয়েকজন আক্রান্ত হওয়ায় শুরুতেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পথে হেঁটেছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।