বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর শিকদার জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে সব অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধ করা শুরু হবে। তবে বর্তমানে যেসব অবৈধ হ্যান্ডসেটে সংযোগ চালু আছে সেগুলো নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর রমনায় বিটিআরসি কার্যালয়ে টেলিকম সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শ্যামসুন্দর শিকদার বলেন, করোনাকালে মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান খুব খারাপ। সারাদেশে অপারেটরদের সেবার মান যাচাইয়ে জরিপ চলছে। জরিপের তথ্যের ভিত্তিতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ফোরজি সেবায় গ্রাহক ভোগান্তির কথা স্বীকার করে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, এমন দুরবস্থার মধ্য দিয়েই ফাইভজি সেবা চালুর দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আশা করি ২০২৩ সালের মধ্যেই ফাইভজি সেবা চালু করতে পারবো। এজন্য তরঙ্গ বরাদ্দ, গাইডলাইনের কাজ চলছে।
সরকারি কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও ব্যবসায়ীদের হিসাবে, দেশে বর্তমানে প্রায় তিন কোটি অবৈধ হ্যান্ডসেট মানুষের হাতে রয়েছে। নকল মোবাইল সেট বৈধের সুযোগ, অবৈধ আমদানি, চুরি, স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও নকল হ্যান্ডসেট প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত, রাজস্ব ক্ষতি ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে আসছে বিটিআরসি। খসড়া নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, অপারেটররা তাদের লাইসেন্স নীতিমালা অনুযায়ী সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের ইএমআই নম্বর দিয়ে এই ডেটাবেজ তৈরি করবে।
ইএমআই নম্বর হল ১৫ ডিজিটের একটি স্বতন্ত্র সংখ্যা, যা বৈধ মোবাইল ফোনে থাকে। একটি মোবাইল ফোনের কি-প্যাডে *#০৬# পরপর চাপলে ওই মোবাইল ফোনের বিশেষ এই শনাক্তকরণ নম্বরটি পর্দায় ভেসে উঠে। অপারেটরদের ইআইআর তৈরির পর তা জাতীয় ইআইআর (এনইআইআর) এ সংযুক্ত হবে। এর ফলে সব অপারেটরদের ইআইআর খুব সহজেই নজরদারি করতে পারবে বিটিআরসি। ইআইআর ও এনইআইআর বাস্তব সময়ে সিঙ্ক্রোনাইজেশন হবে অর্থাৎ ইআইআরে ডেটা সংযুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা এনইআইআরে চলে আসবে।
গ্রাহকের হাতে যেসব নকল বা অবৈধ হ্যান্ডসেট রয়েছে, এই প্রক্রিয়া শুরু করার ছয় মাস পর্যন্ত নির্দিষ্ট সিমে তা চালু রাখার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছিল। অর্থাৎ যে সিমে মোবাইল চালু থাকবে সেই সিমের মাধ্যমেই তা নিবন্ধিত ধরে নেওয়া হবে। ছয় মাস পর কোনো নকল, অবৈধভাবে আমদানি করা বা ক্লোন হ্যান্ডসেটে সিম কাজ করবে না।
মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদশে মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) যুগ্ম সম্পাদক মো. মেজবাহ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে যেগুলো তৈরি হচ্ছে ও আমদানি হচ্ছে তার ইএমইআই ডেটা বিটিআরসিতে জমা দেওয়া হচ্ছে। সবাই এখন ডেটাবেজে আপলোড করছে। এনইআইআর শুরু হলে অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধ হলে বৈধ ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগ বাড়বে।
বিটিআরসি বার বার সতর্কতা জানিয়ে বলে আসছে, মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে আইএমইআইর মাধ্যমে সেটটির বৈধতা যাচাই করে নিতে হবে। বিক্রেতার কাছ থেকে হ্যান্ডসেট কেনার রশিদ নিতে হবে।
মোবাইল ফোনের বৈধতা যাচাইয়ের পদ্ধতি হল মোবাইল ফোনের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে KYD স্পেস ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। মোবাইল ফোনের প্যাকেটে প্রিন্টেড স্টিকার থেকে অথবা *#০৬# ডায়াল করার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট হ্যান্ডসেটের আইএমইআই জানা যাবে।
বৃহস্পতিবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২১
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর শিকদার জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে সব অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধ করা শুরু হবে। তবে বর্তমানে যেসব অবৈধ হ্যান্ডসেটে সংযোগ চালু আছে সেগুলো নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর রমনায় বিটিআরসি কার্যালয়ে টেলিকম সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শ্যামসুন্দর শিকদার বলেন, করোনাকালে মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান খুব খারাপ। সারাদেশে অপারেটরদের সেবার মান যাচাইয়ে জরিপ চলছে। জরিপের তথ্যের ভিত্তিতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ফোরজি সেবায় গ্রাহক ভোগান্তির কথা স্বীকার করে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, এমন দুরবস্থার মধ্য দিয়েই ফাইভজি সেবা চালুর দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আশা করি ২০২৩ সালের মধ্যেই ফাইভজি সেবা চালু করতে পারবো। এজন্য তরঙ্গ বরাদ্দ, গাইডলাইনের কাজ চলছে।
সরকারি কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও ব্যবসায়ীদের হিসাবে, দেশে বর্তমানে প্রায় তিন কোটি অবৈধ হ্যান্ডসেট মানুষের হাতে রয়েছে। নকল মোবাইল সেট বৈধের সুযোগ, অবৈধ আমদানি, চুরি, স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও নকল হ্যান্ডসেট প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত, রাজস্ব ক্ষতি ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে আসছে বিটিআরসি। খসড়া নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, অপারেটররা তাদের লাইসেন্স নীতিমালা অনুযায়ী সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের ইএমআই নম্বর দিয়ে এই ডেটাবেজ তৈরি করবে।
ইএমআই নম্বর হল ১৫ ডিজিটের একটি স্বতন্ত্র সংখ্যা, যা বৈধ মোবাইল ফোনে থাকে। একটি মোবাইল ফোনের কি-প্যাডে *#০৬# পরপর চাপলে ওই মোবাইল ফোনের বিশেষ এই শনাক্তকরণ নম্বরটি পর্দায় ভেসে উঠে। অপারেটরদের ইআইআর তৈরির পর তা জাতীয় ইআইআর (এনইআইআর) এ সংযুক্ত হবে। এর ফলে সব অপারেটরদের ইআইআর খুব সহজেই নজরদারি করতে পারবে বিটিআরসি। ইআইআর ও এনইআইআর বাস্তব সময়ে সিঙ্ক্রোনাইজেশন হবে অর্থাৎ ইআইআরে ডেটা সংযুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা এনইআইআরে চলে আসবে।
গ্রাহকের হাতে যেসব নকল বা অবৈধ হ্যান্ডসেট রয়েছে, এই প্রক্রিয়া শুরু করার ছয় মাস পর্যন্ত নির্দিষ্ট সিমে তা চালু রাখার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছিল। অর্থাৎ যে সিমে মোবাইল চালু থাকবে সেই সিমের মাধ্যমেই তা নিবন্ধিত ধরে নেওয়া হবে। ছয় মাস পর কোনো নকল, অবৈধভাবে আমদানি করা বা ক্লোন হ্যান্ডসেটে সিম কাজ করবে না।
মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদশে মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) যুগ্ম সম্পাদক মো. মেজবাহ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে যেগুলো তৈরি হচ্ছে ও আমদানি হচ্ছে তার ইএমইআই ডেটা বিটিআরসিতে জমা দেওয়া হচ্ছে। সবাই এখন ডেটাবেজে আপলোড করছে। এনইআইআর শুরু হলে অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধ হলে বৈধ ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগ বাড়বে।
বিটিআরসি বার বার সতর্কতা জানিয়ে বলে আসছে, মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে আইএমইআইর মাধ্যমে সেটটির বৈধতা যাচাই করে নিতে হবে। বিক্রেতার কাছ থেকে হ্যান্ডসেট কেনার রশিদ নিতে হবে।
মোবাইল ফোনের বৈধতা যাচাইয়ের পদ্ধতি হল মোবাইল ফোনের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে KYD স্পেস ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। মোবাইল ফোনের প্যাকেটে প্রিন্টেড স্টিকার থেকে অথবা *#০৬# ডায়াল করার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট হ্যান্ডসেটের আইএমইআই জানা যাবে।